1. provatsangbad@gmail.com : প্রভাত সংবাদ : প্রভাত সংবাদ
  2. mdjoy.jnu@gmail.com : dainikjoybarta.online : Shah Zoy
সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ০৭:২৮ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
দক্ষিণ মধ্যম হালিশহরে ঐকতান পরিবার’র রবীন্দ্র জয়ন্তী স্মরণানুষ্ঠান কুমিল্লায় পশুরহাটের ইজারাদারদের সাথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মতবিনিময় সভা কুমিল্লায় আগ্নেয়াস্ত্র সহ কিশোর গ্যাং লিডার গ্রেফতার কুমিলা বুড়িচংয়ে খামার ব্যবস্থাপনা ও সম্প্রসারণ বায়োগ্যাস প্রযুক্তি বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধন কুমিল্লা গোলাবাড়ি সীমান্ত দিয়ে ১৩ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করেছে বিএসএফ কুমিল্লায় পৃথক দু’টি লাশ উদ্ধার কুমিল্লা বুড়িচংয়ে অগ্নিকাণ্ডে ৪টি ঘর পুড়ে ছাই; ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়ায় ডোবার পানিতে পরে মামা ভাগনের মৃত্যু কুমিল্লা বুড়িচংয়ে ৩৬ টাকা দরে বোরো ধান ক্রয় কার্যক্রম শুরু কুমিল্লা বুড়িচংয়ে আ’লীগ নেতা সাহেব আলী চেয়ারম্যান গ্রেফতার

দুই’শ মসজিদের ক্যালিগ্রাফি করেছেন অনিল কুমার

  • প্রকাশিত: বুধবার, ৭ জুলাই, ২০২১
  • ২৪৯ বার পড়া হয়েছে

প্রভাত সংবাদ ডেস্ক : একজন হিন্দুধর্মাম্বলী হওয়া সত্ত্বেও অনিল কুমার চৌহান গত ৩০ বছরে দুই’শরও বেশী মসজিদে পবিত্র কোরআনের আয়াতের ক্যালিগ্রাফি করেছেন।

না কেউ তাকে শেখায়নি ক্যালিগ্রাফি। নিজে নিজেই লিপির কলা ও কৌশল আয়ত্ত করেছেন। তারপর তাঁর ৩০ বছরের পেশাদারী জীবনে ২০০টিরও বেশি মসজিদের দেওয়ালে কুরআনের আয়াত আরবিতে ক্যালিগ্রাফি করেছেন। হায়দরাবাদের এই স্বশিক্ষিত শিল্পী প্রথম জীবনে উর্দুতে সাইনবোর্ড লিখে উপার্জন করতেন।

তাঁর কথায়,”আমি দরিদ্র হিন্দু পরিবারের সন্তান। আর্থিক কারণে দশম শ্রেণির পর পড়াশোনা ছেড়ে দিতে হয়। তবে আমি আঁকায় ভাল ছিলাম। তাই এটাকেই পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছিলাম।” শুধু মসজিদ নয়, চৌহান ৩০টি মন্দিরে দেব-দেবীর ছবি এঁকেছেন। অসংখ্য দরগা ও মঠের দেওয়ালেও শোভা পাচ্ছে তাঁর হস্তশিল্প।
তিনি জানান, ১০০টিরও বেশি মসজিদে ক্যালিগ্রাফি করার জন্য তিনি সাম্মানিক পেয়েছেন, তবে বহু মসজিদে বিনামূল্যে আরবি লিপি খোদাই করে দিয়েছেন। মসজিদের সঙ্গে তিনি এক আধ্যাত্মিক সংযোগ অনুভব করতেন, তার ফলে সাম্মানিক দাবি করতে তাঁর মন চাইত না। আরবি ও উর্দু ভাষা শিক্ষার জন্য চৌহান কোনও ইসলামিক স্কুল বা মাদ্রাসায় যাননি। কাজ করতে করতে তিনি উর্দু লিখতে ও পড়তে শিখেছেন। ধীরে ধীরে মানুষ তাঁর প্রতিভার কদর করতে শুরু করে এবং হায়দরাবাদের বিভিন্ন সৌধে কুরআনের আয়াত লেখার ডাক পেতে শুরু করেন। এই শহরের অধিকাংশ দোকানদার মুসলিম। তাই সাইনবোর্ডও লিখতে হত উর্দুতে।

ফলত, এই ভাষা শিখে নিতে মনস্থির করেন চৌহান। এ সব ৩০ বছর আগের কথা। এখন যদিও অধিকাংশ সাইনবোর্ড ইংরেজিতে লেখা হয়। যাইহোক, উর্দু না বুঝেই তিনি প্রথমে ক্যালিগ্রাফি করতেন এবং পরে এই ভাষার প্রেমে পড়ে যান। এমনটাই জানালেন শিল্পী চৌহান। তিনি আরো জানান,শিল্পের কোনও ধর্ম নেই। ঈশ্বর, আল্লাহ, যিশু–সবই এক। আমরা ঈশ্বরের সন্তান।

আমার এই যাত্রাপথ একেবারে কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। হিন্দু হওয়ার জন্য বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। এরপর হায়দরাবাদের জামিয়া নিজামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ফতোয়া দিয়ে বলে যে, চৌহানের এই কাজ করায় কোনও অসুবিধা নেই। কুরআনের সুরা ইয়াসিন ক্যালিগ্রাফি করেন তিনি। সেই ক্যানভাস আজও শোভা পাচ্ছে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গ্যালারিতে। চৌহান বলেন,”আমি বিশ্বাস করি, শ বন্ধুই মুসলমান। আমরা একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করি, ঘুরে বেড়াই, মাহফিলে যাই।”

বি/বি/নি

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন