।। মোঃ রজ্জব আলী / নেকবর হোসেন।।
কুমিল্লা দাউদকান্দি মডেল মসজিদ ও ইসলামী সেন্টার প্রাঙ্গনে লাইকি ভিডিওতে মডেলিং করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া ও মসজিদের কেয়ারটেকারকে হেনেস্তা করা লাইকি নির্মাতা ইয়াছিনকে অবশেষে গ্রেফতার করেছে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। তাঁর সাথে অংশ নেয়া লাইকি সহযোগী যুবতীকেও খোঁজছে পুলিশ।
আজ রবিবার সকালে কুমিল্লা পুলিশ সুপার ফারুক আহাম্মেদ এক প্রেস কন্ফারেন্স করে ইয়াছিনকে আটকের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।পরে ইয়াছিনকে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করা হয়।
সম্প্রতি কুমিল্লার দাউদকান্দি মডেল মসজিদের বারান্দায় কয়েকজন তরুণ তরুণী টিকটক- লাইকি ভিডিও শুটিং করা কালে মসজিদের কেয়ারটেকারকে হেনস্তা করা, ও ধর্মীয় অনুভূতীতে আঘাত করে ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তীতে তাদের ধারণ করা ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তারা দোষীদের শনাক্ত করে শাস্তির দাবি জানান। এরই প্রেক্ষিতে কুমিল্লার সহকারী পুলিশ সুপার (দাউদকান্দি সার্কেল) মো. জুয়েল রানা জানিয়ে ছিলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। ইতোমধ্যে তাদের পরিচয় শনাক্ত করতে পুলিশ প্রশাসন কাজ করছে।
এরই মধ্যে গতকাল রাতে দাউদকান্দি সার্কেল এএসপি. মোঃ জুয়েল রানার নেতৃত্বে কুমিল্লার একটি ডিবি টিম জেলার দ্বেবিদার থানার মরিচাকান্দি গ্রাম থেকে লাইকার ইয়াসিনকে গ্রেফতার করেন। লাইকার ইয়াসিনকে ধরতে দাউদকান্দি সার্কেল এএসপি বহুল আলোচিত “হানি ট্র্যাপ” এর কৌশল এপ্লাই করেন। এর মাধ্যমে লাইকার ইয়াসিনকে আকৃষ্ট করে তার নাম ঠিকানা সংগ্রহপূর্বক তাকে গ্রেফতার করা হয়।
তার বিরুদ্ধে পবিত্র মসজিদে লাইকী ভিডিও তৈরি, কেয়ারটেকারকে হেনস্থা, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এর অভিযোগ রয়েছে। তাকে আজ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে কুমিল্লার দাউদকান্দি কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে মডেল মসজিদটি উদ্বোধন করা হয় গত জুন মাসে। দৃষ্টিনন্দন মসজিদটি দেখতে প্রতিনিয়ত সেখানে অনেকে যান। এ মসজিদ প্রাঙ্গণে গত ২১ জুলাই একটি নাচগানের ভিডিও ধারণ করে অনলাইন ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম লাইকিতে প্রকাশ করা হয়। এ নিয়ে স্হানীয়দের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়,মসজিদের সিঁড়ি বেয়ে উঠে সামনের খোলা স্থানে হিন্দি গানের সঙ্গে দুই তরুণ-তরুণী নাচা-নাচি করছেন।
প্র/স