1. provatsangbad@gmail.com : প্রভাত সংবাদ : প্রভাত সংবাদ
  2. mdjoy.jnu@gmail.com : dainikjoybarta.online : Shah Zoy
সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ০৪:০৮ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
দক্ষিণ মধ্যম হালিশহরে ঐকতান পরিবার’র রবীন্দ্র জয়ন্তী স্মরণানুষ্ঠান কুমিল্লায় পশুরহাটের ইজারাদারদের সাথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মতবিনিময় সভা কুমিল্লায় আগ্নেয়াস্ত্র সহ কিশোর গ্যাং লিডার গ্রেফতার কুমিলা বুড়িচংয়ে খামার ব্যবস্থাপনা ও সম্প্রসারণ বায়োগ্যাস প্রযুক্তি বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধন কুমিল্লা গোলাবাড়ি সীমান্ত দিয়ে ১৩ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করেছে বিএসএফ কুমিল্লায় পৃথক দু’টি লাশ উদ্ধার কুমিল্লা বুড়িচংয়ে অগ্নিকাণ্ডে ৪টি ঘর পুড়ে ছাই; ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়ায় ডোবার পানিতে পরে মামা ভাগনের মৃত্যু কুমিল্লা বুড়িচংয়ে ৩৬ টাকা দরে বোরো ধান ক্রয় কার্যক্রম শুরু কুমিল্লা বুড়িচংয়ে আ’লীগ নেতা সাহেব আলী চেয়ারম্যান গ্রেফতার

নিজেকে একটু সতেজ নির্মল করে তুলতে ঘুরে আসুন কুমিল্লা (শেষ পর্ব)

  • প্রকাশিত: সোমবার, ২৩ আগস্ট, ২০২১
  • ২৪৫ বার পড়া হয়েছে

মোঃ রজ্জব আলী।। শিক্ষা, সংস্কৃতি , ইতিহাস, ঐতিহ্যের প্রাচীন জনপদ কুমিল্লার দর্শনীয় স্থান গুলো যে কাউকে মুগ্ধ করবে। এক বার কুমিল্লায় এসে ঘুরে যান, দেখবেন বার বার ফিরে আসতে মন চাইবে। কি নেই কুমিল্লায়? সব গুলো স্থানের কথা স্বল্প পরিসরে ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। তাই উল্লেখ যোগ্য কিছু দর্শনীয় স্থানের কথা সংক্ষিপ্ত আকারে গত দুই পর্বে উল্লেখ করেছি। আজ শেষ পর্বে আরো কিছু স্থানের কথা উল্লেখ করা হলোঃ

শচীনদেব বর্মণের বাড়ি : জাতীয় কবির গান শেখার সুতিকাগার হিসেবে পরিচিত নগরীর বর্মণ হাউস। এ বর্মন হাউসেই একদিন জন্মেছিলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ শচীনদেব বর্মণ। বাড়িটি এখানো বিদ্যমান। দেখে যেতে ভুলবেন না যেন। ইতিমধ্যেই বাড়িটি জাদুঘরে রূপান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

অভয় আশ্রম : মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতি বিজড়িত স্থান কুমিল্লার অভয়াশ্রম। নগরীর প্রাণকেন্দ্র লাকসাম রোডে আড়াই একর জমির ওপর অভয় আশ্রমের অবস্থান। এখানে মহাত্মা গান্ধী ছাড়াও কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সীমান্ত গান্ধী আবদুল গাফফার খান, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহসহ বহু গুণীজনের আগমন ঘটেছিল। এ আশ্রমে থাকা দরিদ্র মানুষেরা খাদি তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করতো।

নবাব ফয়জুন্নেছার বাড়ি : বেগম রোকেয়ার জন্মেরও দেড়’শ বছর আগে যিনি নারী শিক্ষায় জোর দিয়েছিলেন তার নাম নওয়াব ফয়জুন্নেছা। লাকসামের পশ্চিমগাঁওয়ে ডাকাতিয়া নদীর তীরে দেখে আসুন নারী জাগরণের পথিকৃত নবাব ফয়জুন্নেছার (১৮৩৪-১৯০৩) বাড়ি। তিনি ছিলেন হোমনাবাদের জমিদার, একজন লেখিকা হিসেবেও তার খ্যাতি রয়েছে। এখানে রয়েছে তার নির্মিত ঐতিহ্যবাহী দশ গম্বুজ মসজিদও।

মুরাদনগরের জাহাপুর জমিদার বাড়ি : কুমিল্লার মুরাদনগরের জাহাপুরে গোমতি বিধৌত জাহাপুরের জমিদাররা। মুখোমুখি অবস্থানে দুটি সিংহ আপনাকে এ বাড়িতে নিঃশব্দে স্বাগত জানাবে। তবে জীবন্ত নয় ইট পাথরের সিংহ। প্রধান ফটকে সবসময় দু’জন রক্ষী থাকত। জমিদারি আমলে এলে পরিচয় দিয়ে ঢুকতে হতো।

জামবাড়ি : নগরীর প্রায় ৫ কিলোমিটার উত্তরে জামবাড়ির অবস্থান। জামবাড়ি এলাকা নাটক ও চলচ্চিত্রের শুটিং-এর জন্য নির্মাতাদের নিঃসন্দেহে পছন্দের স্থান। কয়েক বর্গমাইল বিস্তৃত এই এলাকায় রয়েছে ছোট-বড় কয়েকটি উঁচু-নিচু ঢিবি।

নূরজাহান ইকো পার্ক : মহানগরীর ইপিজেডের পূর্বপার্শ্বে নেউরা এলাকায় ব্যক্তি উদ্যেগে গড়ে তোলা হয়েছে একটি ইকোপার্ক। ৬৪০ শতক জমিতে নির্মিত এ পার্কের নাম নূরজাহান ইকো পার্ক। সম্পূর্ণ গ্রামীণ আর বাংলার লোকজ ঐতিহ্যের আদলে করা হয়েছে নূরজাহান ইকো পার্ক।

রাজেশপুর ইকো পার্ক : ৫৮৭ দশমিক ৮৯ একর এলাকা নিয়ে জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার গড়ে তোলা হয়েছে রাজেশপুর ইকো পার্ক। পূর্ব জোড়কানন এলাকা থেকে সড়কপথে ভারত সীমান্ত সংলগ্ন রাজেশপুর ইকো পার্কে যাওয়া যায়। এই ইকো পার্কে রয়েছে নানা প্রজাতির গাছপালা, পশু-পাখি এবং কৃত্রিম বাঘ-বানর, ভাল্লুকসহ নানান প্রাণীর ভাস্কর্য। শীতকালে এ পিকনিক স্পটে অনেক পিকনিক পার্টির আগমন ঘটে।

কেটিসিসি পর্যটন কেন্দ্র : কুমিল্লা সদর উপজেলা পরিষদের পাশে অবস্থিত কেটিটিসির পর্যটন কেন্দ্র। এখানে শিশুদের জন্য রয়েছে চমতৎকার একটি পার্ক। বাগিচাগাঁওয়ে রয়েছে বৃটিশ খেদাও আন্দোলনের অন্যতম নেতা অতীন রায়ের বাড়ি।

শাহ সুজা মসজিদ : ৩৫২ বছর ধরে কুমিল্লায় জেলায় স্ব মহিমায় টিকে আছে একটি কারুকার্য খচিত ধর্মীয় স্থাপনা যার নাম শাহ সুজা মসজিদ। এ মসজিদের নামকরণ, প্রতিষ্ঠাতার নাম ও প্রতিষ্ঠার তারিখ নিয়ে ভিন্নমত থাকলেও এ মসজিদ যে পাক ভারত উপমহাদেশের প্রাচীন মসজিদ গুলোর মধ্যে অন্যতম সে বিষয়ে কারো সন্দেহ নেই। গোমতী নদীর কোল ঘেষে কুমিল্লা শহরের মোগলটুলীতে এ মসজিদ তৈরী করা হয়েছিল।

বায়তুল আজগর জামে মসজিদ : দেবীদ্বারের ঐতিহ্য গুনাইঘর বায়তুল আজগর সাত গম্বুজ জামে মসজিদ এটি নির্মাণশৈলীর দিক থেকে দেশের বিখ্যাত মসজিদগুলোর অন্যতম মসজিদ হিসাবে দাবী করা হচ্ছে। গুনাইঘর বায়তুল আজগর সাত গম্বুজ জামে মসজিদটি কুমিল্লা জেলা সদর থেকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়ক হয়ে উত্তর-পশ্চিম কোনে দেবীদ্বার পৌর এলাকায় এবং দেবীদ্বার সদর থেকে দুই কিলোমিটার পশ্চিম দক্ষিণে গুনাইঘর গ্রামে অবস্থিত।

নূর মানিকচর জামে মসজিদ : দেবীদ্বারের সবচেয়ে পুরাতন মসজিদ নূর মানিকচর মসজিদ, যার বয়স প্রায় পাঁচশত বছর। জানা যায়, পঞ্চদশ শতাব্দীর আগে মরহুম সৈয়দ নূর আহমেদ কাদেরী পীর সাহেব এ মসজিদ নির্মাণ করেন। সৈয়দ নূর আহমেদ কাদেরী পীর সাহেব’র নামানুসারে ওই গ্রামের নামকরণ করা হয় নূর মানিকচর গ্রাম। এ মসজিদটি সাতগম্বুজ বিশিষ্ট। মসজিদটির দৈর্ঘ্য ১০ ফুট, প্রস্থ ০৫ ফুট।

৭০০ বছরের প্রাচীন মসজিদ : বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা গ্রামে রয়েছে প্রাচীনতম একটি মসজিদ। প্রায় ৭শ’ বছরের পুরানো এ মসজিদ। তাই একে দেশের সবচেয়ে প্রাচীন মসজিদ বলেও কেউ কেউ বলে থাকেন। মুসল্লিরা এখনও এ মসজিদে নামাজ আদায় করেন।

চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেন : কুমিল্লায় এসে একটু কৃত্রিম বিনোদনের ইচ্ছে জাগতেই পারে আপনার। তাহলে সোজা চলে যাবেন জেলা প্রশাসকের বাংলোর পাশে চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেনে। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা এসে ভিড় করেন সেখানে।

কুমিল্লা আসবেন আর চলে যাবেন খালি হাতে, এটা ভালো দেখায়না। চোখ বন্ধ করে কুমিল্লার কিনতে পারেন কুমিল্লার রসমালাই। যার খ্যাতি বিশ্বজুড়ে। কিনতে পারেন খাদি কাপড়ও। কেউ কেউ একে খদ্দরও বলে থাকেন।
তথ্য সূত্র : চ্যানেল আই অনলাইন।

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন