1. provatsangbad@gmail.com : প্রভাত সংবাদ : প্রভাত সংবাদ
  2. mdjoy.jnu@gmail.com : dainikjoybarta.online : Shah Zoy
সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ১১:৫৫ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
কুমিল্লায় ২৪ ঘন্টায় ৭ জনের মরদেহ উদ্ধার দক্ষিণ মধ্যম হালিশহরে ঐকতান পরিবার’র রবীন্দ্র জয়ন্তী স্মরণানুষ্ঠান কুমিল্লায় পশুরহাটের ইজারাদারদের সাথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মতবিনিময় সভা কুমিল্লায় আগ্নেয়াস্ত্র সহ কিশোর গ্যাং লিডার গ্রেফতার কুমিলা বুড়িচংয়ে খামার ব্যবস্থাপনা ও সম্প্রসারণ বায়োগ্যাস প্রযুক্তি বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধন কুমিল্লা গোলাবাড়ি সীমান্ত দিয়ে ১৩ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করেছে বিএসএফ কুমিল্লায় পৃথক দু’টি লাশ উদ্ধার কুমিল্লা বুড়িচংয়ে অগ্নিকাণ্ডে ৪টি ঘর পুড়ে ছাই; ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়ায় ডোবার পানিতে পরে মামা ভাগনের মৃত্যু কুমিল্লা বুড়িচংয়ে ৩৬ টাকা দরে বোরো ধান ক্রয় কার্যক্রম শুরু

ফুল বিক্রি করে সংসার চলে সাবেক এই প্রেসিডেন্টের

  • প্রকাশিত: সোমবার, ১ নভেম্বর, ২০২১
  • ২৮২ বার পড়া হয়েছে

প্রভাত সংবাদ ডেস্ক : কোন দেশের প্রেসিডেন্ট মানে ক্ষমতাবান এক ব্যক্তি। যার সামনে এবং পিছনে নিরাপত্তা রক্ষী বাহিনী থাকে এবং বাসার সামনে পাহারাদার দিয়ে ঘেরা। তার চলার পথ বাধাহীন, রাজকীয় জীবন যাপন। কিন্তু উরুগুয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসে মুহিকা ফুল বিক্রি করে সেই টাকায় সংসার চালান। বিশ্বের গরিব প্রেসিডেন্ট বলা হয় এই সাবেক প্রেসিডেন্টকে।

২০১০ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি উরুগুয়ের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। পদে থাকাকালীন তিনি তার বরাদ্দকৃত বিলাসবহুল ভবন বা গাড়ি ব্যবহার করতেন না।। তিনি সব সময় মাথায় রাখতেন, তার জন্য যেন কোষাগার থেকে অতিরিক্ত টাকা ব্যয় না হয়। নিজের ১২ হাজার ডলারের মধ্যে মাত্র ৭৮০ ডলার রেখে বাকিটা দান করে দিতেন।

বর্তমানে তিনি কোন বিলাসবহুল বাড়িতে নয়, থাকেন স্ত্রীর মালিকাধীন এক ভাঙাচোরা খামারবাড়িতে। সেখানেই তিনি এবং তার স্ত্রী নিজের হাতে মাটি কোপানো, সার দেওয়া, পানি দেওয়া থেকে শুরু করে ফুল চাষের প্রত্যেকটি কাজ নিখুঁতভাবে করেন। তারপর সেই ফুল বাজারে বিক্রি করে নিজেদের অন্নসংস্থান হয়। হোসে মুহিকার কোন নিরাপত্তারক্ষীর প্রয়োজন পড়ে না। যেহেতু নিয়মের বহির্ভূত কেউ নয়, তাই নাম মাত্র দু’জন নিরাপত্তারক্ষীকে রেখে দিয়েছেন। তার সাথে আছে নিজের পোষ্য একটি কুকুর।

হোসে মুহিকা প্রতিদিন নিজের জামা কাপড় নিজে পরিস্কার করেন, তাও কোন নামিদামি ব্র্যান্ডের ওয়াশিং মেশিনে নয়। বাড়ির কাছে থাকা এক ভাঙা কুয়োর পানিতে দৈনন্দিন কাজ সারতে তিনি অভ্যস্ত। কর্দমাক্ত পথ পায়ে হেঁটেই প্রতিদিন পৌঁছান খামারবাড়িতে।

উরুগুয়ের প্রেসিডেন্ট এর জনপ্রিয়তাও কোন অংশে কম নয়। তবুও নিন্দুকের যেন কোন শেষ নেই। বক্তৃতার সময় তিনি চলতি ভাষায় গালিগালাজ করতেন এবং যা বলতেন ঠিক তাই করে দেখাতেন। এই কারণে বিরোধীরা তাকে পাগলা বুড়ো বললেও, প্রত্যেকে তার ভয়ে তটস্থ হয়ে থাকতেন।

১৯৩৫ হোসে মুহিকা জন্মগ্রহণ করেন এবং ৬০ থেকে ৭০ দশক পর্যন্ত মাত্র কয়েকজন সঙ্গী নিয়ে তিনি গরিলা দল গঠন করেন। এই দল রীতিমতো কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিল তৎকালীন অত্যাচারী শাসক গোষ্ঠীদের। ১৯৭০ সালে পেটে ৬ টি গুলি খেয়ে ধরা পড়েন সেনাবাহিনীর হাতে, তারপর সেখান থেকে দু বার পালিয়ে গেলেও ১৯৭২ সালে পুনরায় গ্রেফতার হন।

১৯৭২ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত জেলের মধ্যেই কাটান বিভীষিকাময় জীবন যাপন। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আবার সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করেন এবং ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে পৌঁছান। দেশের প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হয়েও কোন অন্যায় কাজকে তিনি প্রশ্রয় দেননি। বিলাসিতার সমস্ত সুযোগ থাকা সত্ত্বেও, অত্যন্ত সাধারণ মানুষের মতো তার জীবনযাপন বিশ্ববাসীকে বিস্মিত করে তুলেছে।
ই/ফা

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন