1. provatsangbad@gmail.com : প্রভাত সংবাদ : প্রভাত সংবাদ
  2. mdjoy.jnu@gmail.com : dainikjoybarta.online : Shah Zoy
সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ০৭:০৩ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
দক্ষিণ মধ্যম হালিশহরে ঐকতান পরিবার’র রবীন্দ্র জয়ন্তী স্মরণানুষ্ঠান কুমিল্লায় পশুরহাটের ইজারাদারদের সাথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মতবিনিময় সভা কুমিল্লায় আগ্নেয়াস্ত্র সহ কিশোর গ্যাং লিডার গ্রেফতার কুমিলা বুড়িচংয়ে খামার ব্যবস্থাপনা ও সম্প্রসারণ বায়োগ্যাস প্রযুক্তি বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধন কুমিল্লা গোলাবাড়ি সীমান্ত দিয়ে ১৩ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করেছে বিএসএফ কুমিল্লায় পৃথক দু’টি লাশ উদ্ধার কুমিল্লা বুড়িচংয়ে অগ্নিকাণ্ডে ৪টি ঘর পুড়ে ছাই; ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়ায় ডোবার পানিতে পরে মামা ভাগনের মৃত্যু কুমিল্লা বুড়িচংয়ে ৩৬ টাকা দরে বোরো ধান ক্রয় কার্যক্রম শুরু কুমিল্লা বুড়িচংয়ে আ’লীগ নেতা সাহেব আলী চেয়ারম্যান গ্রেফতার

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার পাওয়া গেলো ৩ কোটি ৭ লাখ টাকা

  • প্রকাশিত: শনিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২১
  • ২৮৮ বার পড়া হয়েছে

প্রভাত সংবাদ ডেস্ক : কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সের আটটি লোহার সিন্দুক খুলে গণনা করে ৩ কোটি ৭ লাখ ১৭ হাজার ৫৮৫ টাকা পাওয়া গেছে। সর্বশেষ গণনার চার মাস ১৬ দিন পর গণনা করে এই টাকা পাওয়া গেছে।

সর্বশেষ গত ১৯ জুন দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। সেসময় দানবাক্স খুলে পাওয়া গিয়েছিল ২ কোটি ৩৩ লাখ ৯৩ হাজার ৭৭৯ টাকা। তাছাড়া বরাবরের মতো এবারও পাওয়া গেছে প্রচুর বৈদেশিক ও দেশীয় খুচরা মুদ্রা এবং স্বর্ণালঙ্কার।

শনিবার সকাল ৯টা থেকে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা খানম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মো. নাজমুল ইসলাম সরকার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলী সিদ্দিকী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিহাবুল আরিফ, শফিকুল ইসলাম, অর্ণব দত্ত, পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুক্তিযোদ্ধা মো. শওকতউদ্দিন ভুঁইয়ার উপস্থিতিতে মসজিদ প্রাঙ্গণে রক্ষিত সিন্দুকগুলো খোলা হয়। পরে টাকা বাছাইয়ের কাজ শুরু এবং বাছাইয়ের পর প্রথমে ১২ বস্তায় টাকাগুলো ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত টাকা গণনার কাজ চলে। গণনা শেষে রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা টাকাগুলো বুঝে নেন। পাগলা মসজিদের নামে রূপালী ব্যাংকে একটি অ্যাকাউন্ট আছে। প্রতিবারই সিন্দুক খোলার পর প্রাপ্ত টাকা গণনা করে রূপালী ব্যাংকের হিসাবে জমা দেওয়া হয়। সাধারণত ৩-৪ মাস পরপর এই সিন্দুকগুলো খোলা হয়।

জেলা শহরের নরসুন্দা নদীর তীরে স্থাপিত দুই শতাব্দী প্রাচীন মসজিদটি দেশজুড়ে পরিচিত। ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদকে ঘিরে রয়েছে অনেক জনশ্রুতি। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসলমান এই মসজিদে আসে। তারা দান ও মানত করে যায়। তাছাড়া প্রতিদিনই লোকজন গরু-ছাগল, হাঁস-মুরগি প্রভৃতি নিয়ে আসে। ওইগুলো বিক্রি করে মসজিদের ফান্ডে জমা দেওয়া হয়। অন্য সম্প্রদায়ের লোকজনও এই মসজিদে এসে দান ও মানত করেন।

পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মুক্তিযোদ্ধা মো. শওকতউদ্দিন ভুঁইয়া জানান, পাগলা মসজিদের ফান্ড থেকে জেলার বিভিন্ন মসজিদের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণমূলক কাজে অর্থ বরাদ্দ করা হয়ে থাকে। তাছাড়া জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য অর্থ অনুদান দেওয়া ছাড়াও বিভিন্ন সেবামূলক কাজে অর্থ বরাদ্দ করা হয়।
ই/ফা

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন