1. provatsangbad@gmail.com : প্রভাত সংবাদ : প্রভাত সংবাদ
  2. mdjoy.jnu@gmail.com : dainikjoybarta.online : Shah Zoy
সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ০৭:১৬ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
দক্ষিণ মধ্যম হালিশহরে ঐকতান পরিবার’র রবীন্দ্র জয়ন্তী স্মরণানুষ্ঠান কুমিল্লায় পশুরহাটের ইজারাদারদের সাথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মতবিনিময় সভা কুমিল্লায় আগ্নেয়াস্ত্র সহ কিশোর গ্যাং লিডার গ্রেফতার কুমিলা বুড়িচংয়ে খামার ব্যবস্থাপনা ও সম্প্রসারণ বায়োগ্যাস প্রযুক্তি বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধন কুমিল্লা গোলাবাড়ি সীমান্ত দিয়ে ১৩ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করেছে বিএসএফ কুমিল্লায় পৃথক দু’টি লাশ উদ্ধার কুমিল্লা বুড়িচংয়ে অগ্নিকাণ্ডে ৪টি ঘর পুড়ে ছাই; ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়ায় ডোবার পানিতে পরে মামা ভাগনের মৃত্যু কুমিল্লা বুড়িচংয়ে ৩৬ টাকা দরে বোরো ধান ক্রয় কার্যক্রম শুরু কুমিল্লা বুড়িচংয়ে আ’লীগ নেতা সাহেব আলী চেয়ারম্যান গ্রেফতার

জাহান্নামের ভয়াবহ শাস্তি (৩য় পর্ব)

  • প্রকাশিত: সোমবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২১
  • ২১৪ বার পড়া হয়েছে

প্রভাত সংবাদ ডেস্ক : জাহান্নামের আরাে কিছু শাস্তিঃ
জেলখানার মূল বিষয় যদিও বন্দী থাকা তবুও কোন কোন বন্দীদেরকে তাদের অপরাধ অনুযায়ী
জেলখানায় অতিরিক্ত শাস্তিও দেয়া হয়।
এমনিভাবে জাহান্নামের মূল শাস্তি হল আগুন কিন্তু এর পরও কাফের ও মুশরিকদেরকে তাদের
অপরাধ অনুযায়ী আরাে অনেক প্রকারের শাস্তি দেয়া হবে।। ঐ সমস্ত আযাবের বিস্তারিত বর্ণনা
পরবর্তীতে আসতেছে, তবে কতগুলাের উল্লেখ এখানেও করা হল।
১- বিষাক্ত, দুরগন্ধময়, খাবার এবং উত্তপ্ত গরম
পানীয় পরিবেশনের মাধ্যমে শাস্তিঃ
পানা-হারের বিষয়ে মানুষ কত উন্নত মনভাব রাখে তা প্রত্যেকে তার নিজের আলােকে চিন্তা
করতে পারে। যে খাবার গলে বাসী হয়ে গেছে, তার রুচীসম্মত হয় নাই তাতে সে স্পর্শ করাও ভাল মনে করে না। কোন কোন মানুষ খাবারে লবন মরিচের সামান্য কম বেশি কেও সহ্য করে না। স্বাদ ব্যতীত, খাবার দাবার মানুষের স্বাস্থ্যের সাথেও গভীর সম্পর্ক রাখে, তাই উন্নত বিশ্বে খাদ্য দ্রব্যের প্রতি অত্যন্ত সজাগ দৃষ্টি রাখা হয়। বাহারী স্বাদের জন্য মানুষ কত আজীব আজীব পানাহার তৈরী করে, কোন অতিরঞ্জন ব্যতীতই বলা যায় যে, তার সঠিক
পরিসংখান পেশ করা অসম্ভব। পৃথিবীতে এত বাহারী স্বাদের পাগল মানুষ যখন পরকালে স্বীয়
কৃতকর্মের পরীক্ষার জন্য সম্মুক্ষীণ হবে, তখন সর্বপ্রথম তার যে চাহিদা দেখা দিবে তা হল পানির
মারাত্তক পিপাসা। নবীগণের সরদার মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) স্বীয় হাউজে
(জান্নাতে প্রবেশের পূর্বে হাশরের মাঠে) আসন গ্রহণ করবেন, যেখানে তিনি নিজ হাতে পানি
সরবরাহ করে ঈমানদারদের পিপাসা মিটাবেন। কাফের মুশরেকরাও তাদের পিপাসা মিটানাের
জন্য হাউজের নিকট আসবে, কিন্তু আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিজ হাতে
তাদেরকে দূরে সরিয়ে দিবেন। (ইবনে মাজা)
বিদআতীরাও পানি পান করার জন্য আসার জন্য চেষ্টা করবে কিন্তু তাদেরকেও দূরে সরিয়ে
দেয়া হবে। (বােখারী)
কাফের, মুশরিক ও বিদআতীরা হাশরের মাঠে এ দীর্ঘ সময় পর্যন্ত পিপাশাত অবস্থায় অতিক্রম
করবে এবং শেষ পর্যন্ত এ অবস্থায়ই জাহান্নামে যাবে। (সূরা মারইয়াম -৮৬)
জাহান্নামে যাওয়ার পর যখন তারা খাবার চাইবে তখন তাদেরকে জাকুম বৃক্ষ ও কাটা বিশিষ্ট
ঘাস দেয়া হবে।

জাহান্নামীরা অরুচীসত্ত্বেও এক লােমা করে মুখে দিবে তাতে তাদের ক্ষুধা তাে মিঠবেই না বরং
শাস্তির মাত্রা আরাে বৃদ্ধি পাবে। উল্লেখ্য জাকুম বৃক্ষ ও কাটা বিশিষ্ট ঘাস জাহান্নামেই উৎপন্ন
হবে। এর অর্থ হল এইযে, এ উভয় খাবার এতটা গরম তাে অবশ্যই হবে যতটা গরম হবে
জাহান্নামের আগুন। বরং বলা যেতে পারে যে এখাবার আগুনের কয়লার ন্যায় হবে, যা
জাহান্নামীরা তাদের ক্ষুধা মিঠানাের জন্য গলদকরণ করবে। মূলত জাহান্নামের খাবার তার
বেদনাদায়ক আযাবেরই এক প্রকার কঠিন আযাব হবে। আল্লাহ মাফ করে!
খাওয়ার পর
জাহান্নামী পানি চাবে, তখন পাহারাদার তাদেরকে জাহান্নামের শাস্তির স্থান থেকে তার ঝর্ণার
নিকট নিয়ে আসবে, যেখানে কঠিন গরম পানি দিয়ে তাদেরকে সাদর সম্ভাষণ জানানাে হবে। ঐ
পানি জাহান্নামের উত্তপ্ত আগুনে বাষ্প না হয়ে পানি হয়ে থাকবে।সম্ভবত কোন শক্ত পাথর হবে
যা জাহান্নামের আগুনে বিগলিত হয়ে পানিতে পরিণত হয়েছে, আর তাই জাহান্নামীদের পানীয়
হবে। (আল্লাহ্ ই এব্যাপারে ভাল জানেন।)
জাহান্নামী তা পান করতে গেলে প্রথম ঢােকেই তাদের মুখের সমস্ত গােস্ত গলে নীচে নেমে
যাবে (মােস্তাদরাক হাকেম)
আর পানির যে অংশ পেটে যাবে তার মাধ্যমে তার সমস্ত নাড়ী-ভুঁড়ি কেটে পিঠ দিয়ে গড়িয়ে
পায়ে এসে পড়বে। (তিরমিযী)
মূলত তা পান করাও বেদনাদায়ক শাস্তিরই আরেক প্রকার শাস্তি হবে। এ আদর আপ্যায়নের পর
দারওয়ান তাকে আবার জাহান্নামের শাস্তির স্থানে নিয়ে যাবে।
জাহান্নামের পানাহারে জাহান্নামীরা অতিষ্ঠ হয়ে জান্নাতীদের নিকট আবেদন করবে যে, কিছু পানি
বা অন্য কোন কিছু আমাদেরকেও পান করার জন্য দাও। জান্নাতীরা বলবে জান্নাতের পানাহার
আল্লাহ্ কাফেরদের জন্য হারাম করেছেন। (সূরা আরাফ -৫০)
জাহান্নামের উত্তপ্ত আগুন বেদনাদায়ক হওয়া সত্ত্বেও বিষাক্ত, দুরগন্ধ ময়, ও কাটা বিশিষ্ট হবে।
সাথে সাথে গরম পানি, দুর্গন্ধময় রক্ত, বমি ইত্যাদি পানীয় রূপে কঠিন আযাব হিসেবে দুষ্ট
প্রকৃতির লোকদেরকে দেয়া হবে। সর্বজ্ঞ ও সর্ববিষয়ে অবগত তাে একমাত্র আল্লাহ্ কিন্তু
কোরআন ও হাদীস গবেষণার মাধ্যমে যতটুকু বুঝা যায় তাহল এই যে, কাফেরদের জীবনের
মূল দুটি বিষয়ের ওপর, আর তা হল পেট ও রিপুর গােলামী।
এ উভয় বিষয় এমন পানাহারের দাবী করে যাতে তার চাহিদার আগুন আরাে উত্তপ্ত হয়, চাই তা
হালাল ভাবে তােক আর হারাম ভাবে, জায়েয পদ্ধতিতে হােক আর নাজায়েয পদ্ধতিতে, পাক
হােক আর নাপাক, যুলমের মাধ্যমে অর্জিত হােক না খিয়ানতের মাধ্যমে, লুটপাটের মাধ্যমে
অজিত হােক না চুরী ডাকাতির মাধ্যমে তার কোন যাচাই বাছাই নেই। তাই কোরআন মাজীদে
কোন কোন স্থানে কাফেরদেরকে জাহান্নামে শাস্তির সাথে সাথে যথেষ্ট পানাহার করতে এবং
আনন্দ করার ভৎসনা ও দেয়া হয়েছে।
সূরা হিজরে এরশাদ হয়েছেঃ
درهم يأكلوا وتمتعوا ويلههم الأمل فسوف يعلمون ( سورة الحجر -3 )
অর্থঃ “তাদেরকে ছেড়ে দাও, তারা খেতে থাকুক, ভােগ করতে থাকুক এবং আশা তাদেরকে
মােহাচ্ছন্ন রাখুক, পরিণামে তারা বুঝবে। (সূরা হিজর -৩)
সূরা মুরসালেতে এরশাদ হয়েছেঃ
كلوا وتمتعوا قليلا إنكم مجرمون ( سورة المرسلات -46 )
অর্থঃ“ তােমরা অল্প কিছু দিন পানাহার ও ভােগ করে নাও, তােমরা তাে অপরাধী ”। (সূরা
মুরসালাত- ৪৬)
অন্যত্র এরশাদ হয়েছেঃ
والذين كفروا يتمعون ويأكلون كما تأكل الأنعام والنار مثوى لهم ( سورة محمد -۱۲ )
অর্থঃ“ আর যারা কুফরী করে তারা ভােগ-বিলাসে লিপ্ত থাকে, জন্তু জানােয়ারের ন্যায় উদরপূর্তি
করে, তাদের নিবাস জাহান্নাম ”। (সূরা মুহাম্মদ- ১২)
অত এব পেট ও রিপুর গােলাম পৃথিবীতে ভাল ভাল পানাহারে তৃপ্তীলাভ করে যখন স্বীয় স্রষ্টার
নিকট উপস্থিত হবে, তখন কুফরীর পরিবর্তে জাহান্নামের আগুন আর সুস্বাদু খাবারের পরিবর্তে
উত্তপ্ত, কাটা বিশিষ্ট, ঘাস গরম পানি অসহ্য দুর গন্ধময় রক্ত ও বমির মাধ্যমে সাদর সম্ভাষণ
জানানাে হবে। (আল্লাহ্ এব্যাপারে ভাল জানেন)
উল্লেখ্য যে, কাফেরদের জন্য তাে চিরস্থায়ী জাহান্নাম আছেই সাথে সাথে অন্যান্য আযাবও
থাকবে। এমনিভাবে হালাল হারামের মাঝে পার্থক্য না কারী মুসলমানও জাহান্নাম ও ঐ সমস্ত
পানাহারের শাস্তি ভােগ করবে, যা কিতাব ও সুন্নাত দ্বারা প্রমাণিত। এতীমের সম্পদ
ভােগকারীর ব্যাপারে তাে কোরআনে স্পষ্ট বর্ণনা এসেছে যে,
إن الذين يأكلون أموال اليتامى ظلما إما يأكلون في بطونهم تارا وسيصلون سعيا ( سورة النساء -۱۰ )
অর্থঃ“ যারা অন্যায়ভাবে এতীমদের ধন-সম্পদ গ্রাস করে নিশ্চয়ই তারা স্বীয় উদরে অগ্নি ব্যতীত
কিছুই ভক্ষণ করে না এবং সত্বরই তারা অগ্নি শিখায় উপনীত হবে ”। (সূরা নীসা- ১০)

মদ পানকারীদের ব্যাপারে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এরশাদ করেছেন তাদেরকে
জাহান্নামে জাহান্নামীদের ঘাম পান করানাে হবে ”(মুসলিম)
মােসনাদ আহমদে অন্য এক বর্ণনায় এসেছে ব্যভীচার কারী নরও নারীর লজ্জাস্থান থেকে নির্গত
দুর্গন্ধময় নিকৃষ্ট পদার্থও মদ পান কারীদের পানীয় হবে।( আল্লাহ’ই এব্যাপারে ভাল জানেন)
অতএব হে এতীম ও বিধবাদের সম্পদ গ্রাসকারীরা! অন্যের সম্পদে অন্যায়ভাবে হস্ত
ক্ষেপকারীরা, রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুণ্ঠন কারীরা, জুয়া, সুদ ঘােষের উপার্জনে নির্মিত অট্টালিকায় বসবাস
কারীরা, হে মদ ও যুবক যুবতী নিয়ে মত্ত ব্যক্তি বর্গ! একবার নয়, হাজার বার চিন্তা করে সিদ্ধান্ত
গ্রহণ কর যে, কি জাহান্নামে সৃষ্ট জাঙ্কুম বৃক্ষ, কাটা বিশিষ্ট ঘাস ভক্ষণ করবে? আগুনে পােড়ানাে
মানুষের শরীর থেকে নির্গত ঘাম ও বমি মিশ্রিত খাবার খাবে? দুরগন্ধময় নিকৃষ্ট এবং কাল
পানির উত্তপ্ত পান পাত্র পান করে জীবন রক্ষা করবে?
فهل من مدکر )
অর্থঃ“ অতঃপর আছে কি কোন উপদেশ গ্রহণকারী
————————-(চলবে)
তথ্য সূত্র : জাহান্নামের বর্নণা।
প্রভাত সংবাদ /র আ

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন