1. provatsangbad@gmail.com : প্রভাত সংবাদ : প্রভাত সংবাদ
  2. mdjoy.jnu@gmail.com : dainikjoybarta.online : Shah Zoy
শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০১:৪৪ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
গোমতী নদীতে মাটি কাটার ব্যাপারে কোনো প্রকার ছাড় দেয়া হবে না- জেলা প্রশাসক কুমিল্লা সংযম সাধনার মাসে বাজারে ভোগান্তি কেন? দেশে গণতন্ত্র উত্তোরণে বড় বাধা মব জাস্টিস বন্ধ চায় ইসলামী ফ্রন্ট  কুমিল্লায় অবৈধ ইটভাটা অপসারনের দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশ দৈনিক ইবি নিউজ ২৪ এর খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত কুমিল্লা হানকির জলায় অবৈধ ভাবে ফসলি জমির মাটি কাটার বিরুদ্ধে অভিযান, জব্দ ৩ টি ড্রাম ট্রাক,আটক-১ কুমিল্লায় হত্যা মামলায় যুব মহিলালীগ নেত্রী গ্রেফতার কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধে বৃদ্ধকে হত্যা,গ্রেফতার-৮ কুমিল্লায় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে যৌথ তদারকি অভিযান ইফতারের দোয়া ও গুরুত্ব

চা -এর যত ঔষধি গুণ!

  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
  • ২১৫ বার পড়া হয়েছে

চা মূলত ক্যামেলিয়া সিনেনসিন উদ্ভিদের পাতা, মুকুলের ও পর্বের কৃষিজ পণ্য যা বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় তৈরী করা হয়।
চা বলতে সুগন্ধযুক্ত এবং স্বাদবিশিষ্ট পানীয়কেও বােঝানাে হয়। চায়ের নামকরণ করা হয় গ্রীকদেবী থিয়া ‘ ’ (Thea) এর নামানুসারে। এর জন্মস্থান চীনদেশে। চা এর বৈজ্ঞানিক নাম Thea Sinensis এবং Camellia Sinensis। এটি Theaceae পরিবারের সদস্য। প্রধানত ৩ ভাবে যথা-দুধ চা, সবুজ চা ও লেবু চা বা আদা চা হিসেবে চা পান করা হয়।
লেবু চা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন নাম এ পরিচিত। এছাড়াও রং চা বা র চা বা লাল চা’র রয়েছে ব্যাপক কদর।
দুধ চাঃ
ক্লান্তিতে খুবই কার্যকরী হতে পারে। তাই জানা কিলেও আসুন জেনে নেই কিভাবে সহজে সতেজ হওয়ার দরকারী এক কাপ চা বানানাে যেতে পারে। প্রথমে পানি গরম করতে হবে। পানি ফুটতে শুরু করলে চুলা নিভিয়ে ফেলতে হবে |
গরম পানিতে প্রয়ােজন মত চা পাতা ঢেলে ৩-৪ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার প্রয়ােজন মত দুধ ও চিনি মিশিয়ে পান করতে পারেন। এটাই হবে শরীরকে সতেজ (সাময়িক) করার সত্যিকারের কার্যকরী চা।
নিয়মিত চা ও কফি পানে কমে হৃদরােগের ঝুঁকি। দেখা গেছে চা বা কফি হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ৫ গুণ কমিয়ে দেয়। এছাড়া এ সময় স্ট্রোকের কারণে মৃত্যুর ঝুঁকিও বাড়েনা বলে সম্প্রতি এক গবেষণায় পাওয়া গেছে।
নেদারল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারের গবেষকরা এ গবেষণাটি করেন। তারা বলেন, কফির চেয়ে চা-ই বেশি উপকারী। দিনে ৬ কাপ চা পানে করােনারি সমস্যার ঝুঁকি প্রায় ৪৫ শতাংশ কমে যায়। এদিকে দিনে ২ কাপ কফি
পানের অভ্যাস হৃদরােগের ঝুঁকি ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা দুটি পানীয় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের ফ্রি-রেডিক্যাল কমিয়ে দেয়। গবেষণার ফলাফল জার্নাল অফ অ্যামেরিকান হার্ট ফাউন্ডেশনে প্রকাশিত হয়।

গ্রিন টি বা সবুজ চাঃ
গ্রীন টি বা সবুজ চায়ের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলছে। বিশেষ করে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের কাছে। আর এই চায়ের প্রতি এই প্রজন্মের ছেলে মেয়েদেরও বেশ আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। বলা যায় ফিগার ঠিক রাখতে অনেকেই এই গ্রীন টি-এর প্রতি
বেশি ঝুঁকছেন। গ্রীন টি প্রথমে ছিলাে ওষুধ তারপর পানীয়তে পরিণত হয়েছে। এই চা কেবল পিপাসাই মেটায় না দূর করে ক্লান্তিও। | এই তথ্যগুলাে বিভিন্ন গবেষণার মধ্যে দিয়ে বেরিয়ে এসেছে।
জাপানের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যারা দিনে দুই কাপের বেশি গ্রীন টি পান করেন তারা মানসিকভাবে অনেক বেশি ফিট।

গবেষকরা বলেছেন যে, শারীরিক এবং মানসিকভাবে যারা ফিট তাদের জন্য গ্রীন টি বেশি উপকারে আসে। গ্রীন টি ইমিউন সিস্টেমকে আরাে শক্তিশালী করে। তবে এই চা নিয়মিত পান করতে হবে। সবুজ চায়ে রয়েছে ভিটামিন এ, সি,
ই, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ছাড়াও বিভিন্ন খনিজ উপাদান যা প্রতিটি মানুষের শরীরেই প্রয়ােজন। স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সাহায্য তাে করেই এমনকি নিয়মিত এই চা পান মানুষের আয়ু বাড়াতেও ভূমিকা রাখে।
গ্রীন টি তৈরির নিয়মাবলী চায়ের প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকে। উন্নতমানের এই ব্যয়বহুল চা শুধুমাত্র সৌখিন মানুষদের পক্ষেই পান করা সম্ভব। তবে সাধারণ মানের গ্রীন টি আজকাল প্রায় প্রতিটি সুপার মার্কেটেই পাওয়া যায়। নিয়মিত সবুজ
চা পান করলে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকিও কিছুটা কমিয়ে দেয়।
সবুজ চা পাতার আরও কিছু উপকারিতা:
১. কিডনি রােগের জন্য উপকারী।
২. হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।
৩. পােকামাকড় কামড়ালে যদি ওই স্থান চুলকায় ও ফুলে যায় তাহলে সবুজ চায়ের পাতা। ঢেকে দিলে আরাম বােধ হয়।
৪. রক্তে কোলেস্টোরেলের মাত্রা কমায়।
৫. ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী।
৬. এর লিকার দাঁতের ক্ষয়রােধ ও মাড়ি শক্ত করে।
৭. কাটা জায়গায় গ্রিন টির লিকার লাগালে রক্ত পড়া বন্ধ হয়।
৮. নিয়মিত চা পানে রক্ত চলাচল ভাল হয়।
৯. পেট পরিষ্কার রাখে আর মস্তিষ্ককে রাখে সচল।
আদা চাঃ
উপকরণ: পানি পরিমাণমত, এলাচি- por.blogspot.com খােসা চারটি, থাই পাতা দুটি, আদাকুচি এক টেবিল-চামচ, চিনি চার-পাঁচ চামচ,
মৌরি এক চা-চামচ, দারচিনির গুঁড়া এক চা-চামচ এবং চা-পাতা তিন-পাঁচ চামচ।
প্রণালী: বড় পাত্রে ওপরের সব উপকরণ (চা-পাতা ছাড়া) একসঙ্গে মিলিয়ে চুলায় দিয়ে ২-৩টা বলক তুলে নিতে হবে।
এখন চা-পাতা দিয়ে নেড়ে আবার ২-৩টা বলক তুলে চুলা বন্ধ করে ঢেকে রাখতে হবে। পাঁচ মিনিট পর হেঁকে গরম গরম পরিবেশন। ‘কেউ শখ করে আবার কারও অভ্যাস হয়ে গেছে আদা চায়ে। কাজের ফাঁকে, কখনাে আড্ডায় দেদার চলে চা পর্ব।
পথের ধারে গজিয়ে ওঠা ঝুপড়ি ঘরগুলােতেও অলস আর কর্মঠ মানুষ যখন চায়ের তৃষ্ণা মেটায়, তখন আদা চাকেই সঙ্গী
করে। আবার কারও ঘরে অনেক আয়ােজনে যত্নে তৈরি করা হয় আদা চা।
ঘরে কিংবা বাইরে শখ করে কিংবা অভ্যাসে যেমন করেই চা পান করেন, এই আদা চা কিন্তু ভারি উপকারী।
আদা চায়ের উপকারিতাঃ
* আদা চা বমি ভাব দূর করে।
* সাধারণ সর্দি-কাশিতে ওষুধের বিকল্প হিসেবে কাজ করে আদা চা।
* গলাব্যথায় গরম আদা চা পান করলে গলাব্যথা কমে যায়।
২ এসিডিটির বিরুদ্ধেও আদা চা কাজ করে।
* আদা চা পান করলে হজমের সমস্যা কমে।

চা সম্পর্কে ভুল ধারণাঃ
চা সম্পকে আমাদের অনেকের ভুল ধারণা আছে। চা খেলে রাতে ঘুম আসেনা। চা লিভারের ক্ষতি করে। চা চামড়া কালাে
করে। এরকম অনেক ভুল ধারণা চা সম্পর্কে শােনা যায়। যদিও চা খেলে গায়ের রঙ কাল হবে না। কারণ ত্বকের রঙ ণনির্ভর করে ম্যালানােসাইট কোষের সক্রিয়তার উপর। চা কোনােভাবেই ম্যালানােসাইট ত্বকের চকচকে ভাবটা ধরে রাখার
জন্য চা পালন করতে পারে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। চা পান করলে লিভারের কোন ক্ষতি হয়না। তবে এখানে মনে রাখতে হবে অতিরুক্ত পানকরলে উল্টো ফল, যেমন রাতে ঘুম কম হওয়া। অবসাদ আসতে পারে। কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে। তবে পান করতে হবে লাল চা এতে চা এর উপকারিতা পাওয়া যাবে।
আমরা সাধারণত সকালের নাস্তা বা দুপুরের খাবারের পর পরই চা বা কফি পান করি। অনেকেরই এটা প্রতিদিনের অভ্যাস। কেননা চা, কফি পান করার অনেক উপকারিতা রয়েছে। তবে এই অভ্যাস স্বাস্থ্যসম্মত নয়।
সঠিক সময়ে বা উপায়ে চা না পান করলে তা শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঘটায়। উপকারিতার পাশাপাশি শরীরে অন্য খাবার গুলাে থেকে প্রয়ােজনীয় পুষ্টি পাওয়া থেকে বঞ্চিত এবং হজমে বাঁধা সৃষ্টি করতে পারে। খাবার খাওয়ার আগে চা পান করলেও হজমে বাঁধাগ্রস্থ হয় যাতে খাবার থেকে প্রয়াজনীয় পুষ্টি পাওয়া যায় না।
খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চা পান উচিত নাঃ
১. চা খাবার থেকে আয়রন শােষণ করে। কারণ চা বা কফিতে রয়েছে পলিফেনন জেস্টানিন নামক উপাদান II
যা আয়রন শােষণ করে বা জেস্টানিনরে সঙ্গে আয়রন মিশে শরীর থেকে বের হয়ে যায়।
২. চা শরীরে থায়ামিন বা ভিটামিন বি শােষণ রােধ করে যা বেরিবেরি রােগের অন্যতম কারণ।
৩. চা খাবার থেকে আমিষ ও ভিটামিন শােষণ করে এবং শরীর এই খাবারগুলােকে হজম করতে পারে না।
৪. চা এর মধ্যে অ্যাসিডাম টেনিকামস ও জেসথিয়ােফিলিনস নামক উপাদান রয়েছে যা পাকস্থলীর হজম প্রক্রিয়া ব্যাহত
করে।
কখন চা বা কফি পান করবেনঃ
এসব সমস্যার কারণে চা পান করা বাদ দিয়ে
তাই কিছু নিয়ম মেনে চললে এসব পার্শ্ব পি, না অবশ্যই। কেননা চা ও কফি পান করার অনেক উপকারীতা আছে।
হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
১. খাবার খাওয়ার অন্তত: আধা ঘণ্টা | আগে অথবা খাবার খাওয়ার এক ঘণ্টা পরে চা পান করা।
২. সকাল, দুপুর এবং রাতের খাবারের ১ থেকে ২ ঘণ্টা পরে চা বা কফি পান করা।
৩. যাদের রক্তশূন্যতা আছে, কম বয়স্ক মেয়েরা বা যেসব নারীরা বৃদ্ধ নয় তাদের এই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
৪. যাদের হজমে ও অম্লত্বর সমস্যা রয়েছে তাদেরও এই সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
প্রভাত সংবাদ /র আ

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন