প্রভাত সংবাদ ডেস্ক : বাংলায় একটি প্রবাদ আছে, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালুর কনা, বিন্দু বিন্দু জল, গড়ে তুলে মহাদেশ সাগর অতল।
আর সেই প্রবাদবাক্য অক্ষরে অক্ষরে পালন করলেন আসামের এক ব্যক্তি। পেশায় তিনি একজন দোকানদার। ইচ্ছে ছিল, টাকা জমিয়ে একটা দু’চাকা গাড়ি কিনবেন। সেই মোতাবেক খুচরো টাকাও জমিয়ে যাচ্ছিলেন। অতঃপর সেই সব খুচরো টাকা এককাট্টা করে সোজা পৌঁছে গেলেন বাইকের শোরুমে। কিনে ফেললেন সুজ়ুকির একটি চমৎকার স্কুটার। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বহু মানুষ ওই ব্যক্তির প্রশংসা করেছেন, মানুষটি প্রেরণাও যুগিয়েছেন বহু মানুষকে।
ফেসবুকে এই ঘটনাটি শেয়ার করেছেন জনপ্রিয় ইউটিউবার হীরক জে দাস। ফেসবুকে তিনি বেশ কয়েকটি ছবি দিয়ে ঘটনাটি সম্পর্কে জানিয়েছেন। পোস্ট করেছেন একটি ইউটিউব ভিডিও।
হীরক তাঁর ভিডিওতে দাবি করেছেন যে, ওই দোকানদার একটি টু-হুইলার কেনার জন্য প্রায় সাত থেকে আট মাস ধরে জীবনে কিছু পরিবর্তন করতে শুরু করেছিলেন। সব টাকা জমিয়ে সোজা চলে যান আসামের বরপেতা জেলায় সুজ়ুকির শোরুমে।
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, খুচরো পয়সা ভর্তি একটি বস্তা নিয়ে কঠিন কসরত করে বাইকের শোরুমে নিয়ে যাচ্ছেন তিন ব্যক্তি। তার পরে বস্তা থেকে খুচরো পয়সাগুলি বের করে রাখা হয় কয়েকটি প্লাস্টিকের ঝুড়িতে। আর সেই বালতিগুলি থেকে খুচরো পয়সার গণনা করতেও যেন শোরুমের কর্মীদের কালঘাম ছুটে যাওয়ার মতো অবস্থা। একবার একটি নতুন স্কুটারের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের পরিমাণে পৌঁছে যেতেই ভিডিওতে দেখা যায়, গর্বিত নতুন বাইকের মালিক কাগজপত্রে স্বাক্ষর করছেন এবং তাঁর স্বপ্নের গাড়ির চাবি সংগ্রহ করছেন।
ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল হয়েছে। দেখে নিন সেই ভিডিও :