প্রভাত সংবাদ ডেস্ক: রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই। সুবিধা বুঝে যে যার মতো ঝুলে পরে। তেমনি মত বদলালেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় । বিজেপি ছেড়েছিলেন আগেই। আভাস দিয়েছিলেন তৃণমূলে আসার। এবার আর মুখের কথা নয়। পুরো ভোটের আগে সোজা বহরমপুরের তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে ভোট প্রচারে নেমে পড়লেন অভিনেত্রী। ভোট চাইলেন জোড়াফুলের জন্য।
দলের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এদিন সাদার উপরে নীল সুতোর কাজ করা সালোয়ার কামিজে সেজেছিলেন শ্রাবন্তী। একটি বুমেরাং ভিডিও শেয়ার করেছেন তিনি ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে। বুধবার বহরমপুর পুরভোটের তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে প্রচারে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই নাকি তিনি ভোট চাওয়ার পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুখ্যাতিও করেন।
বহরমপুরে জনসভা ও রোড শোতে অংশ নিয়েছিলেন শ্রাবন্তী। সঙ্গে ছিলেন বহরমপুর টাউন তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়ও। শ্রাবন্তী নাকি দাবি করেন, তিনি জোড়াফুলেই আছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভীষণ আন্তরিক, সবার বিপদে পাশে থাকেন। তাই জোড়াফুলেই ভোট দিন।
প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনীতিতে পা দিয়েছিলেন শ্রাবন্তী। আট মাস পর বিজেপির সঙ্গত্যাগ করেন টলিউড অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই টুইট করে জানান এ খবর। দল ছাড়ার কারণ হিসেবে তাঁর যুক্তি, বাংলার জন্য কাজ করার কোনো ইচ্ছা বা আন্তরিকতা নেই বিজেপির মধ্যে। তাই তাঁর এই সিদ্ধান্ত।
এদিকে বিজেপি ছাড়ার দিনই আবার তৃণমূলে যোগদানের জল্পনা বাড়িয়ে দেন শ্রাবন্তী। এবার কি তবে তৃণমূলমুখী শ্রাবন্তী? জল্পনা উড়িয়ে দেননি টলি অভিনেত্রী। তাঁর ছোট্ট উত্তর ছিল, ‘সময়ই উত্তর দিক’। নিজের জন্মদিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাঠানো শুভেচ্ছা বার্তা নিয়েও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন শ্রাবন্তী।
এরপরেই গত বছর নভেম্বর মাসে গোসাবায় সবুজ শিবিরের একটি দলীয় সভায় উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী। দলীয় উত্তরীয় পরিয়ে দেওয়া হয় তাঁর গলায়। সভামঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়ে শ্রাবন্তী বলেন, “আমি বাংলার মেয়ে। বাংলার জন্যই কাজ করতে চাই। আপনাদের কাছে অনুরোধ, আমাকে আপন করে নিন। আপনাদের জন্য কাজ করতে চাই।”
সভামঞ্চে দলীয় উত্তরীয় পরানো হয় শ্রাবন্তীকে। বিধায়ক শওকত মোল্লা সে সময়ে জানিয়েছিলেন, তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন শ্রাবন্তী। যদিও এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো স্পষ্ট মন্তব্য করেননি অভিনেত্রী।
বা/হা/নি