প্রভাত সংবাদ ডেস্ক : সংকীর্ণ আগুনের অন্ধকার রুমে ডুকিয়ে রাখার মাধ্যমে শাস্তি প্রদানঃ
জাহান্নামের ভয়াবহ শাস্তির একটি ধরণ এ হবে যে, জাহান্নামীকে তার হাত,পা ভারী জিঞ্জির দিয়ে
বেঁধে অত্যন্ত সংকীর্ণ ও অন্ধকার রুমের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে ওপর থেকে দরজা পরিপূর্ণভাবে বন্ধ
করে দেয়া হবে,ফলে সেখানে না বাতাস প্রবেশ করতে পারবে না সূর্যের কিরণ,আর না থাকবে
পালানাের মত কোন রাস্তা।
আবদুল্লাহ্ বিন ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) বলেনঃ “জাহান্নাম কাফেরের জন্য এত সংকীর্ণ হবে
যেমন বর্শার ফলা কাঠের মধ্যে সংকীর্ণ করে ডুকিয়ে দেয়া হয়।”
এ ভয়াবহ শাস্তির একটি অনুমান এভাবে করা যেতে পারে যে,কোন বড় প্রেসার কোকার যেখানে
এক হাজার মানুষ আটবে,সেখানে যদি জোরপূর্বক দু’হাজার মানুষ ডুকিয়ে দেয়া হয়,তাহলে
তাদের শ্বাস নেয়াও মুশকিল হবে,হাত,পা, জিঞ্জির দিয়ে বাঁধা,ফলে নড়া চড়াও করতে পারবে
না। আর ওপর দিয়ে প্রেসার কোকারের ঢাকনা মজবুত করে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং
জাহান্নামের আগুনে তা রান্না করার জন্য রাখা হয়েছে,এমতাবস্থায় কাফের মৃত্যু কামনা করবে।
কিন্তু তার মৃত্যু হবে না।
আল্লাহ্র বাণী“যখন এক শিকলে কয়েক জনকে বাঁধা অবস্থায় জাহান্নামের কোন সংকীর্ণ স্থানে
নিক্ষেপ করা হবে,তখন সেখানে তারা মৃত্যুকে ডাকবে। বলা হবে আজ তােমরা এক মৃত্যুকে
ডেকনা অনেক মৃত্যুকে ডাক”। (সূরা ফুরকান- ১৩,১৪)
কিন্তু দূর দূরান্তে মৃত্যুর কোন চিহ্ন পর্যন্ত থাকবে না। আগেই মৃত্যুকে জবাই করে দেয়া হয়েছে,আর কাফেররা সর্বদাই এ ভয়াবহ শাস্তিতে ডুবে থাকবে ।
কাফেরকে পদবেড়ী লাগিয়ে আগুনের সংকীর্ণ রুমে ডুকিয়ে ভয়াবহ শাস্তি কোন যালেমদেরকে
দেয়া হবে? এর উত্তরে সূরা ফুরকানে আল্লাহ্ তা’লা এরশাদ করেনঃ
وأعتدنا لمن كذب بالساعة سعيرا (سورة-۱۱ الفرقان)
অর্থঃ“যে কিয়ামতকে অস্বীকার করে আমি তার জন্য অগ্নি প্রস্তুত করে রেখেছি”। (সূরা ফুরকান-
১১)
কিয়ামতকে অস্বীকার করার স্বাভাবিক উদ্দেশ্য হল পৃথিবীতে পিতা-মাতার স্বাধীন জীবন যাপন,
দ্বীন ও মতাদর্শকে ঠাট্টা বিদ্রুপ করার স্বাধীনতা,ইসলামী নিদর্শনসমূহকে অবমাননা করার স্বাধীনতা,অশ্লীলতা ও উলঙ্গপানা বিস্তারের স্বাধীনতা,সৌন্দর্য ও শরীর প্রদর্শনের স্বাধীনতা,উলঙ্গ ছবি প্রকাশের স্বাধীনতা, গাইর মােহরেম( যাদের সাথে বিবাহ জায়েয) নারী-পুরুষের সাথে অবাধ মেলা মেশার স্বাধীনতা,গান, বাদ্য ও নৃত্য করার স্বাধীনতা, মদ পান ও ব্যভীচার করার স্বাধীনতা,গর্ভপাত করার স্বাধীনতা,যৌন চারিতার স্বাধীনতা ইচ্ছামত উলঙ্গ হওয়ার স্বাধীনতা।
প্রত্যেক ঐ বিষয়ের স্বাধীনতা যার মাধ্যমে নারী পুরুষের অবাধ যৌন চর্চা চলে। এ স্বাধীনতার
বিনিময়ে জাহান্নামের সংকীর্ণ ও অন্ধকার বাসস্থানে জিঞ্জিরাবদ্ধ পা নিয়ে কত বেদনা দায়ক এবং
দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ভােগ করতে হবে,হায় কাফেররা যদি তা আজ জানতে পারত!
কিন্তু হে মানব মন্ডলী! যারা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান রাখে,জান্নাত ও জাহান্নামকে
সত্য বলে জানে,একটু চিন্তা কর আর উত্তর দাও যে পৃথিবীর এ স্বাধীনতার বিনিময়ে,জাহান্নামের
এ বন্দীশলা গ্রহণ করতে কি প্রস্তুত আছ?আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের হালাল করা বিষয় সমূহকে
হারাম করে স্থায়ী ভাবে জাহান্নামের সংকীর্ণ ও অন্ধকার বাসস্থানে জীবন যাপন করা কি সহজ
বলে মনে করছ?
قل أذلك خير أم جنة الخلد التي وعد الموت (سورة الفرقان -۱۵)
অর্থঃ“তাদেরকে জিজ্ঞেস কর ? এটাই শ্রেয়,না স্থায়ী জান্নাত। যার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে
মুত্তাকীদেরকে ? এটাইতাে তাদের পুরস্কার ও পত্যাবর্তন স্থল। (সূরা ফুরকান -১৫)
………………(চলবে)
তথ্য সূত্র : জাহান্নামের বর্ণনা।
#প্রভাত সংবাদ /র আ/২৪