প্রভাত সংবাদ ডেস্ক : হাদিস শরিফে জান্নাতের অস্তিত্বের প্রমাণ:
মাসআলা -১ঃ রামাযান মাসে জান্নাতের দরজা সমূহ খুলে দেয়া হয়:
عن ابي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال اذا جاء
رمضان فتحت أبواب الجنة و غلقت أبواب النار و صفدت الشياطين، (رواه مسلم)
অর্থঃ“আবুহুরাইরা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত , তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন রামাযানের আগমন ঘটে , তখন জান্নাতের দরজা সমূহ
খুলে দেয়া হয়। আর জাহান্নামের দরজা সমূহ বন্ধ করে দেয়া হয়। শয়তানকে জিঞ্জরাবদ্ধ করা
হয়।” (মুসলিম)
মাসআলা – ২ঃকবরে জান্নাতী ব্যক্তিকে জান্নাতে তার ঠিকানা দেখানাে হয় ?
عن ابن عمر رضي الله عنهما قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا مات
أحدكم فانه يعرض عليه مقعده بالغداة والعشي فان كان من أهل الجنة فمن اهل
الجنة وان كان من أهل النار فمن أهل النار، رواه البخاري
অর্থঃ“ইবনে ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত , তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যখন তােমাদের কোন লােক মৃত্যু বরণ করে তখন সকাল-
সন্ধা তার ঠিকানা তার সামনে পেশ করা হয় , যদি জান্নাতী হয় তাহলে জান্নাতে (তার ঠিকানা
তাকে দেখানাে হয়। আর যদি জাহান্নামী হয় (তাহলে জাহান্নামে তার ঠিকানা তাকে দেখানাে
হয়)”। (বােখারী)
মাসআলা – ৩৪ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)জান্নাতে ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহু)
এর ঠিকানা দেখে এসেছেন ঃ
عن ابي هريرة رضي الله عنه قال بينما نحن عند النبي صلى الله عليه وسلم اذ
قال بينا أنا نائم رأيتني في الجنة فاذا امراة تتوضأ الى جانب قصر فقلت من هذا القصر؟
فقالوا لعمر بن الخطاب رضي الله عنه فذكرت غيرته فوليت مدبرا فبکی عمر وقال
اعليك يارسول الله صلى الله عليه وسلم ؟ رواه البخاري
অর্থঃ “আবু হুরাইরা (রাযিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন আমরা একদা
নবী(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট ছিলাম তখন তিনি বললেন ঃ আমি ঘুমন্ত
অবস্থায় ছিলাম হটাৎ করে আমি আমাকে জান্নাতে দেখতে পেলাম ? আমি একটি অট্রালিকার
পাশে এক মহিলাকে ওজু করতে দেখে জিজ্ঞেস করলাম যে , এ অট্রালিকাটি কার ? তারা বলল
ও এটা ওমর বিন খাত্তাব (রাযিয়াল্লাহু আনহুর) আমি তখন তার আত্মমর্যাদা বােধের কথা চিন্তা
করলাম। তাই আমি ফিরে গেলাম। ওমর (রাযিয়াল্লাহু আনহু)বললেন ঃ হে আল্লাহর রাসূল!
আমি কি আপনার ওপর অত্মমর্যাদা বোধ দেখাব”? (বােখারী)
জান্নাতের নাম সমূহ
মাসআলা – ৪ঃ জান্নাতের একটি নাম দারুসসালাম ঃ (নিরাপত্বার ঘর)
.
والله يدعو إلى دار السلام ويهدي من يشاء إلى صراط مستقيم)
অর্থঃ“ আর আল্লাহ শান্তি ও নিরাপত্তালয়ের প্রতি (জান্নাতের প্রতি)আহ্বান করেন যাকে ইচ্ছা তাকে সরল পথ প্রদর্শন করেন। ( সূরা ইউনুস-৩৫)
মাসআলা – ৫ জান্নাতের অপর নাম দারুল মুত্তাকীন (পরহেযগার লােকদের গৃহ) ঃ
وقيل الذين اتقوا ماذا أنزل ربكم قالوا خيرا للذين أحسنوا في هذه الدنيا حسنة
ولدار الآخرة خير ونعم دار المتقين، جات عن يدخلونها تجري من تحتها الأنهار
لهم فيها ما يشاؤون كذلك يجزي الله المتقين
অর্থঃ“ পরহেযগারদেরকে জিজ্ঞেস করা হয় , তােমাদের পালনকর্তা কি নাযিল করেছেন ?
তারা বলে মহা কল্যাণ । যারা এ জগতে সৎ কাজ করে, তাদের জন্য কল্যাণ রয়েছে এবং
পরকালের গৃহ আরাে উত্তম। পরহেযগারদের গৃহ কি চমৎকার ? সর্বদা বসবাসের উদ্যান , তারা
যাতে প্রবেশ করবে তার পাদদেশ দিয়ে স্রোতস্বিনী প্রবাহিত হয়। তাদের জন্য তাতে তাই
রয়েছে যা তারা চায় । এমনিভাবে প্রতিদান দিবেন আল্লাহ্ পরহেযগারদের কে”। (সূরা নাহল-
৩০,৩১)
মাসআলা – ৬ জান্নাতের অপর নাম দারুল কারার
(স্থায়ী বসবাসের গৃহ)।
یا قوم إنما هذه الحياة الدنيا متاع وإن الآخرة هي دار القرار
অর্থঃ হে আমার কাওম, পার্থিব এ জীবন তাে কেবল উপভােগের বস্তু ,আর পরকাল হচ্ছে।
স্থায়ী বসবাসের গৃহ”। (সূরা আল মুমিন – ৩৯)
মাসআলা – ৭ জান্নাতের অপর নাম মাকামুন আমীন (নিরাপদ স্থান) ঃ
فإن المتقين في مقام أمين، في جنات وعيون و
অর্থঃ“ নিশ্চয়ই আল্লাহ্ ভীরুরা নিরাপদ স্থানে থাকবে। উদ্যানরাজি ও নিঝরিণীসমূহে”।
(সূরা দোখান ৫১,৫২)
মাসআলা – ৮ : জান্নাতকে দারুল আখেরা (পরকালের ঘর ও বলা হয় ?
ولدار الآخرة خير للذين اقوا أفلا تعقلون
অর্থঃ“ পরহেযগারদের জন্য পরকালের ঘরই উত্তম , তারা কি এখনাে বুঝে না” । (সূরা
ইউসুফ- ১০৯)
মাসআলা – ৯ : জান্নাতকে জান্নাতুন নায়ীম (নে’মত ভরপূর জান্নাত) ও বলা হয় ?
والسابقون السابقون، أولئك الممقوت، في جنات النعيم
3
অর্থঃ“অগ্রবর্তীগণ তাে অগ্রবতীই। তারাই নৈকট্যশীল , অবদানের উদ্যান সমূহে”। (সূরা
ওয়াকেয়াহ্ ১০,১২)
মাসআলা – ১০: জান্নাতকে জান্নাতে আদন ও বলা হয় ?
أولئك لهم جنات عدن تجري من تحتهم الأنهار يكون فيها من أساور من
دهب ويلبسون ثيابا ځضرا من سندس وإستبرق متكئين فيها على الأرائك نعم الثواب
حشت مرتفقا
অর্থঃ“ তদের জন্য আছে বসবাসের জান্নাত , তাদের পাদদেশে প্রবাহিত হয় নহর সমূহ।
তাদের তথায় স্বর্ণ- কংকনে অলংকৃত করা হবে এবং তারা পাতলা ও মােটা রেশমের সবুজ
কাপড় পরিধান করবে এমতাবস্থায় যে , তারা সিংহাসনে সমাসীন হবে। চমৎকার প্রতিদান এবং
কত উত্তম আশ্রয়”। (সূরা কাহ্ফ- ৩১)
………….(চলবে)
তথ্য সূত্র : জান্নাতের বর্ণনা।
#প্রভাত সংবাদ/র আ/৫০