প্রভাত সংবাদ ডেস্ক : মাসআলা -১১: ঈমান আনার পর সৎ আমল কারী জান্নাতে প্রবেশ করবেঃ
মাসআলা – ১২: জান্নাতের ফল সমূহ নাম ও আকৃতির দিক থেকে দুনিয়ার ফলের অনুরূপ হবে ।
মাসআলা – ১৩: জান্নাতী মহিলাগণ বাহ্যিক ক্রটি যেমন (হায়েয, নেফাস) এবং অভ্যান্তরিন
ক্রটি যেমনঃ (রাগ, গিবত, হিংসা) ইত্যাদি থেকে পবিত্র থাকবে।
মাসআলা – ১৪: জান্নাতের জীবন হবে চিরস্থায়ী ও
ويشير الذين آمنوا وعملوا الصالحات أن لهم جنات تجري من تحتها الأنهار
كلما زقوا منها من ثمة رزقا قالوا هذا الذي ترزقنا من قبل وأثوا به متشابها ولهم فيها
أزواج مطهرة وهم فيها خالدونه
অর্থঃ“ (আর হে নবী) যারা ঈমান এনেছে এবং সৎ কাজ সমূহ করেছে , আপনি তাদেরকে এমন জান্নাতের সুসংবাদ দিন, যার পাদ দেশে নহর সমূহ প্রবাহমান থাকবে। যখনই তারা খাবার হিসেবে কোন ফল প্রাপ্ত হবে , তখনই তারা বলবে , এতো অবিকল ঐ ফল যা ইতি পূর্বে আমরা প্রাপ্ত হয়েছিলাম। বস্তুত তাদেরকে একেই প্রকৃতির ফল প্রদান করা হবে। আর তাদের জন্য শুদ্ধচারিনী রমণীকুল থাকবে। আর সেখানে তারা অনন্তকাল অবস্থান করবে। (সূরা বাক্বারা-২৫)
মাসআলা – ১৫: জান্নাতীগণ কিয়ামতের দিন সর্বপ্রকার অপমান ও লাঞ্ছনা থেকে নিরাপদ
থাকবে ?
মাসআলা – ১৬: জান্নাতীরা জান্নাতে আল্লাহর দীদার লাভ করবে ?
اللذين أحسنوا الحسنى وزيادة ولا يرهق وجوههم قولا ذلة أولئك أصحاب
الجثة هم فيها خالدون
অর্থঃ যারা সৎকর্ম করেছে তাদের জন্য রয়েছে কল্যাণ এবং তার চেয়েও বেশি। আর তাদের মুখ মন্ডলকে আবরিত করবে না মলিনতা কিংবা অপমান। তারাই হল জান্নাত বাসী , এতেই তারা বসবাস করতে থাকবে অনন্ত কাল। (সূরা ইউনুস – ২৬)
মাসআলা •১৭ঃ ঈমানধারদের মধ্য থেকে যাদের অস্তরে পরস্পরের ব্যাপারে কোন প্রকার
হিংসা বা অপছন্দনীয়তা থাকবে জান্নাতে যাওয়ার পর আল্লাহ্ তা মিটিয়ে দেবেন ঃ
ونزعنا ما في صدورهم من غل تجري من تحتهم الأنهار وقالوا الحمد لله
الذي هدانا لهذا وما كنا لنهتدي لولا أن هدانا الله لقد جاءت سل رنا بالحق وودوا
أن تلكم الجنة ورموها بما تم تعملون
অর্থ“ তাদের অন্তরে যে দুঃখ ছিল , আমি তা বের করে দিব। তাদের তল দেশ দিয়ে
নিঝরণী প্রবাহিত হবে। তারা বলবে ? আল্লাহর শােকর। যিনি আমাদেরকে এ পর্যন্ত
পৌঁছিয়েছেন , আমরা কখনাে পথ পেতাম না। যদি আল্লাহ আমাদেরকে পথ পদর্শন না করতেন। আমাদের প্রতিপালকের দূত আমাদের নিকট সত্য কথা নিয়ে এসেছিল , আওয়াজ আসবে ? এটি জান্নাত তােমরা এর উত্তরাধিকারী হলে তােমাদের কর্মের প্রতিদানে । (সূরা আরাফ- ৪৩)
মাসআলা – ১৮: জান্নাতে জান্নাতীরা কখনাে ক্ষুধা এবং পিপাসা অনুভব করবে না ?
মাসআলা – ১৯: জান্নাতে না বেশি ঠান্ডা হবে না বেশি গরম বরং নাতিশীতােষ্ণ থাকবে ?
.
إن لك ألا تجوع فيها ولا تعرى، وأنك لا تظما فيها ولا تضحی
অর্থঃ“তােমাকে এই দেয়া হল যে , তুমি এতে ক্ষুধার্ত হবে না এবং বস্ত্রহীন হবে না। আর
তােমার পিপাসও হবে না এবং রােদ্রের কষ্ট ও পাবে না। (সূরা ত্বা- হা- ১১৮,১১৯)
মাসআলা – ২০: একেই বংশের নেককার লােকেরা যেমন ঃ বাপ-দাদা , স্ত্রী, সন্তান ,
ইত্যাদি জান্নাতে একেই স্থানে থাকবে?
>
جنات عدن يذځلوئها ومن صلح من آبائهم وأزواجهم وراتهم واللائكة
لون عليهم من كل باب، سلام عليكم بما صبرتم فنعم عقبى الدار )
>
অর্থঃ তা হচ্ছে বসবাসের বাগান। তাতে তারা প্রবেশ করবে এবং তাদের সৎকর্মশীল
বাপ-দাদা , স্বামী- সাত্রী ও সন্তানেরা। ফেরেশতারা তাদের নিকট আসবে প্রত্যেক দরজা দিয়ে ,
বলবে তােমাদের সবরের কারণে তােমদের ওপর শান্তি বর্ষিত হােক। আর তােমাদের এ পরিণাম
গৃহ কতইনা চমৎকার”। (সূরা রা’দ- ২৩,২৪)
মাসআলা -২১: জান্নাতীদের জান্নাতে কোন প্রকার কষ্ট বা পরিশ্রম করতে হবে না ?
يمسهم فيها تصب وما هم منها بمخرجين
অর্থঃ“যে তাদের মােটেই কষ্ট হবে না এবং তারা সেখান থেকে বহিস্কৃতও হবে না”।
মাসআলা – ২২: জান্নাতে জান্নাতীদের সাথে যথেষ্ট সম্মানজনক ব্যবহার করা হবে।
মাসআলা – ২৩: জান্নাতের খাদেমরা জান্নাতী লােকদের জন্য সাদা রংয়ের সুমিষ্টি মদের
পান পাত্র পেশ করবে ?
মাসআলা – ২৪: জান্নাতী মদ নেসা মুক্ত হবে ?
মাসআলা – ২৫: পাখার নীচে লুকায়িত সুরক্ষিত ডিমের চেয়ে নরম ও সুন্দর চোখ বিশিষ্ট
হুরে ইন জান্নাতীদেরকে পুরস্কার সরূপ দেয়া হবে ।
–
وأولك لهم رزق معلوم، فواكه وهم كمون، في جنات النعيم، على ممر
متقابلين يطاف عليهم بكأس من معين ، بيضاء لذة للشاربين ، لا فيها غول ولا هم عنها
نزفون، وعندهم قاصرات الطرف عين، كائهن بيض مكون)
অর্থঃ“ তাদের জন্য রয়েছে নির্ধারিত রিযিক ,ফলমূল এবং তারা হবে সম্মানিত। (আরাে
রয়েছে) নে’মতের উদ্যান সমূহ। (তারা) মুখামুখি আসনে আসীন হবে। তাদেরকে ঘুরে ফিরে
পরিবেশন করানাে হবে স্বচ্ছ পান পাত্র। সুশুভ্র যা পানকারীদের জন্য সু স্বাদু। তাতে মাথা ব্যথার
উপাদান নেই। আর তারা তা পান করে মাতাল ও হবে না। তাদের নিকট থাকবে নত আয়তলােচনা তরুণি গণ। যেন তারা সুরক্ষিত ডিম। (সূরা সাফফাত-৪১-৪৯)
মাসআলা ২৬: জান্নাতীদের জন্য জান্নাতে আদিনে এমন বাগানসমূহ থাকবে যার দরজাসমূহ তাদের জন্য সর্বদা খােলা থাকবেঃ
মাসআলা – ২৭: জান্নাতীরা সেকেন্ডের মধ্যে যথেষ্ট ফল-মূল , পানীয় পান করবে , আর
তা সাথে সাথেই হজম হয়ে যাবে ?
মাসআলা • ২৮: জান্নাতী হুরগণ খুব সুন্দর , লাজুক ও সুন্দর চোখ বিশিষ্ট তারা তাদের স্বামীদের সম বয়স্কা হবেঃ
মাসআলা – ২৯: জান্নাতের নেয়ামত সমূহ কখনাে কমবেও না এবং শেষ ও হবে না ?
–
-وإن للمتقين لكن ماب، جنات عدن مفتحة لهم الأبواب متكئين فيها يدعون
فيها بفاكهة كثيرة وشراب ، وعندهم قاصرات الطرف أراب، هذا ما توعدون ليوم
الحساب ، إن هذا ترزقنا ما له من فاد کا
অর্থঃ আল্লাহ ভীরুদের জন্য রয়েছে উত্তম ঠিকানা : তথা স্থায়ী বসবাসের জান্নাত ,তাদের জন্য তার দ্বার উন্মুক্ত রয়েছে , সেখানে তারা হেলান দিয়ে বসবে। সেখানে তারা চাইবে অনেক
ফল-মূল ও পানীয়। তাদের পাশে থাকবে আয়তনয়না সমবয়স্কা রমণীগণ। তােমাদেরকে এরই প্রতিশ্রুতি দেয়া হচ্ছে বিচার দিবসের জন্য। এটা আমার দেয়া রিযিক যা শেষ হবে না”। (সূরা
সােয়াদ- ৪৯-৫৪)
মাসআলা – ৩০: জান্নাতীরা জান্নাতে তাদের সতী স্ত্রীদেরকে নিয়ে আনন্দময় জীবন যাপন
করবে ?
মাসআলা – ৩১: জান্নাতে দাম্পতীদের সামনে সােনার থালে বিভিন্ন প্রকার খানা পরিবেশন
করা হবে এবং সােনার পানি পাত্রে বিভিন্ন প্রকার পানীয় পেশ করা হবে
মাসআলা – ৩২ : জান্নাতে চক্ষু ও অন্তর জুড়ানাের মত সর্বপ্রকার ব্যবস্থাপনা থাকবে ?
মাসআলা – ৩৩: জান্নাতী লােকদের সম্মানের ও উৎসাহের জন্য বলা হবে যে , তােমাদের
আমলের প্রতিদান সরূপ তােমাদেরকে এ নেমত ভরপূর জান্নাত দান করা হল ঃ
را ځلوا الجنة أنتم وأزواجكم تحبون، يطاف عليهم بصحاف من دهب
وأكواب وفيها ما تشتهيه الأنفس وتل الأعي وأنتم فيها خالدون، وتلك الجنة التي
أورثتموها بما تم تعملون لكم فيها فاكهة كثيرة منها تأكلون
অর্থঃ“ তােমরা এবং তােমাদের বিবিগণ জান্নাতে সানন্দে প্রবেশ কর। তাদের নিকট পরিবেশন করা হবে স্বর্ণের থালা ও পান পাত্র। আর তথায় রয়েছে মনে যা চায় এবং নয়ন যাতে তৃপ্ত হয়। তােমরা তথায় চিরকাল থাকবে। এইযে জান্নাতের উত্তরাধিকারী তােমরা হয়েছ , এটা তােমাদের কর্মের ফল। তথায় তােমাদের জন্য আছে প্রচুর ফল-মূল । তা থেকে তােমরা আহার করবে”। (সূরা যুখরুফ -৭০-৭৩)
মাসআলা – ৩৪: জান্নাতে কোন প্রকার দুঃখ্য বেদনা , মুসিবত, চিন্তা থাকবে না।
মাসআলা – ৩৫: জান্নাতীদের পােশাক হবে চিকন ও পূরু রেশমের।
———————-(চলব)
তথ্য সূত্র : জান্নাতের বর্ণনা।
#প্রভাত সংবাদ/র আ/৫৩