প্রভাত সংবাদ প্রতিবেদক।। তেল নিয়ে ব্যবসায়ীদের তেলেসমাতি যেন থামছেই না। সরকার নানা উপায়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কিন্ত তারপরও থেমে নেই অসৎ ব্যাবসায়ীদের কারসাজি। নতুন নতুন ফন্দি আঁটছেন তারা। ভোক্তাদের সাথে প্রতারণার মাধ্যমে তেলের সাথে অন্যান্য পণ্য কিনে নিতে বাধ্য করছেন কিছু কিছু ব্যাবসায়ী। অন্যথায় তেল বিক্রি করছেন না।
ভোক্তাদের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ পরিস্থিতি রোধে ১০ মার্চ নির্দেশনা জারি করেছে বাজার তদারকি সংস্থা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। শনিবার রাতে তা প্রকাশ করা হয়েছে। নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়-সম্প্রতি বাজার তদারকিকালে ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ব্যবসায়ীরা নিয়ম ভেঙে ভোজ্যতেলের সঙ্গে অন্য পণ্য কিনতে ক্রেতাকে বাধ্য করছেন। এতে ভোক্তা অধিকার মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তাই ব্যবসায়ীদের এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে বলা হচ্ছে। রাজধানীর মৌলভীবাজারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন তেল ব্যবসায়ী শনিবার জানান, কোম্পানিগুলো তেলের সঙ্গে তাদের অন্য পণ্য গছিয়ে দিচ্ছে। তেল চাইলেই জুড়ে দেওয়া হচ্ছে পোলাওয়ের চাল, চা পাতা, হালিম মিক্স, আটা-ময়দা নেওয়ার শর্ত। তেলের সংকট সৃষ্টির পর থেকে এমন আচরণ করা হচ্ছে। অনেক সময় অপ্রচলিত পণ্য দেওয়ার কারণে সমস্যা হচ্ছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার সাংবাদিকদের জানান, বিক্রেতারা যেন তেলের সঙ্গে অন্য পণ্য কিনতে ক্রেতাদের বাধ্য না করেন-আমরা এ বিষয়ে নজর রাখছি। অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে লিখিত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। তদারকিকালে এমন অনিয়ম সামনে এলে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। পাশাপাশি পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে পণ্য বিক্রিকালে ভোক্তাকে পাকা রসিদ দেয়া হচ্ছে না। এতে ভোক্তা অধিকার ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তাই এ রসিদ দেওয়ার আহবান জানানো হচ্ছে। নইলে বিক্রেতাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
#যু/র