নেকবর হোসেন, কুমিল্লা।। কুমিল্লার লালমাই পাহাড়। এ পাহাড়ে বৈসু মানে উৎসব, আনন্দ আর উল্লাস। তাই বুধবার চৈত্রের শেষ দিনে আনন্দ র্যালি, ফুল ভাসিয়ে, গানে সুর, নূপুরের ছন্দে, নাচের তালে তালে মেতেছে এ পাহাড়ের ত্রিপুরা পল্লীর তরুণ-তরুণীরা। নিজেদের সাজিয়েছে হরেক রকম পোশাকে। পাহাড়ি ত্রিপুরা পল্লীর ঘরে ঘরে এখন জমজমাট বৈসু উৎসবের আসর।
জানা গেছে, প্রতি বছর চৈত্রের শেষ দিনে বর্ষবরণের এ উৎসবে মেতে উঠে তারা। উৎসবমুখর হয়ে ওঠে লালমাই পাহাড়। সম্প্রীতির মিলনমেলায় মিশে যায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও বাঙালিরা।
বুধবার (৩০ চৈত্র) কুমিল্লার লালমাই পাহাড়ের ত্রিপুরা পল্লীতে গিয়ে দেখা যায়, ঘরে ঘরে রান্না হয় পাঁচন (হরেক রকম সবজির সংমিশ্রণ), লুচিমিষ্টান্যসহ নানান রকমের মিষ্টিজাতীয় খাবার। এর আগে সকাল ১০ টার দিকে ত্রিপুরা পল্লী থেকে তরুণ-তরুণীরা দল বেধে র্যালি নিয়ে আসে কুমিল্লার কোটবাড়ির বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড) এর পুকুরে। সেখানে তারা ফুল ভাসিয়ে উলুধ্বনি দিয়ে সম্পন্ন করেন গঙ্গা পূজা। এসময় তাদের র্যালিতে যুক্ত হয় সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশিষ ঘোষ ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাবলু।
সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশিষ ঘোষ বলেন, ত্রিপুরা পল্লীতে এসে খুবই ভালো লাগছে। বাংলা বর্ষ বরণ আমাদের সংস্কৃতির অংশ। পাহাড়িদের এসব অনুষ্ঠান আমাদের সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রেখেছে। তাদের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠানের মধ্যে এটি অন্যতম। আমি তাদের আশ্বাস দিয়েছি তাদের যেমন সাহায্য দরকার উপজেলা প্রশাসন থেকে তাদের পাশে থাকবো।
সালমানপুর ত্রিপুরা উপজাতি কল্যাণ সমবায় সমিতির সভাপতি সজীব চন্দ্র ত্রিপুরা বলেন, আমরা প্রত্যেক বছর চৈত্রের শেষ দিনে এই উৎসব করি। এবারেও করেছি। আমরা এখন গঙ্গা পূজার পরে আমাদের পল্লীতে বৃদ্ধস্নান অনুষ্ঠানের আয়োজন করি, তারপর আয়োজন করি অতিথি আপ্যায়নের। এরপর সারাদিন চলে আমাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিকেলে আমাদের ঘরে ঘরে সবাই নারায়ণ পূজা করে।
#প্রভাত সংবাদ /