নপ্রভাত সংবাদবডেস্কঃ সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশ সরকার রাজ্যের সকল মাদ্রাসাগুলিতে পঠন-পাঠন শুরু হওয়ার আগে জাতীয় সংগীত গাওয়া বাধ্যতামূলক ঘোষণা করে। এই নিয়ে সমগ্র রাজ্যে চলে বিতর্ক আর এর মাঝেই উত্তরপ্রদেশের নতুন মাদ্রাসা গুলিকে সরকারি অনুদানের তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। ফলে এই দুই সিন্ধান্তের দরুণ পরিস্থিতি যথেষ্ট উত্তপ্ত হয়ে পড়বে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।
ইতিমধ্যে রাজ্য মন্ত্রিসভায় এই প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে বলে খবর। উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশে বর্তমানে মোট ১৬,৪৬১টি মাদ্রাসা রয়েছে, যার মধ্যে যোগী সরকার মাত্র ৫৫৮টি মাদ্রাসাকে অনুদানের তালিকায় রেখে বাকি ১৫,৯০৩ টি মাদ্রাসার সরকারি অনুদান বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে । ইতিমধ্যেই সরকারি অনুদানের তালিকা থেকে নতুন মাদ্রাসা গুলিকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত রাজ্য মন্ত্রিসভায় গ্রহণ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, এই পরিকল্পনা বহুদিন ধরে নেওয়া শুরু করেছিল উত্তরপ্রদেশ সরকার।
সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশ সরকার ঘোষণা করে যে, রাজ্যের সকল মাদ্রাসাগুলিতে ক্লাস শুরু হওয়ার আগে জাতীয় সংগীত গাওয়া বাধ্যতামূলক করতে হবে। তাদের এই ঘোষণার পরেই মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক এবং হরিয়ানার মতো বিজেপি রাজ্যগুলিতেও এহেন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানানো হয়।
এক্ষেত্রে, উত্তরপ্রদেশের মাদ্রাসা বোর্ডের প্রধান ইফতিখার আহমেদ জাভেদ বলেন, “আমরা চাই মাদ্রাসায় আমাদের ছেলেমেয়েরা পড়াশোনার মাধ্যমে মূলস্রোতে এগিয়ে আসুক এবং তাদের মনে দেশপ্রেমের ভাবনা জেগে উঠুক। সেই জন্যই পড়াশোনার পাশাপাশি জাতীয় সংগীত গাওয়াকেও বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মাদ্রাসায় শিশুদের ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক শিক্ষা দেওয়া হবে এবং এর পাশাপাশি রাষ্ট্রবাদী ভাবাবেগকে তুলে ধরা আমাদের লক্ষ্য।”
প্রসঙ্গত, গতবছর বাজেটের সময় মাদ্রাসা আধুনিকীকরণ প্রকল্পের জন্য ৪৭৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করার ঘোষণা করেন যোগী সরকার। সেই সময় তাদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায় মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা। তবে বর্তমানে রাজ্যের সকল নতুন মাদ্রাসা গুলিকে সরকারি অনুদান থেকে বঞ্চিত করার এই সিদ্ধান্ত উত্তরপ্রদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সরগরম করে তুলবে বলেই মত রাজ্যবাসীর।
#বা/নি /হা