প্রভাত সংবাদ ডেস্ক : লালমনিহাটের কালীগঞ্জে কবিরাজি চিকিৎসায় যৌন ক্ষমতা হারিয়ে বাবাকে হত্যা করেছেন জাহাঙ্গীর আলম। মামলার চার বছর পর ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইসমাইল। তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই কালিগঞ্জ উপজেলার অচিনতলা এলাকায় খুন হন গোলাম হোসেন। তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় গলায়, কাঁধে, ঘাড়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তার বড় ছেলের দায়ের করা মামলায় তদন্ত শুরু হলেও কোনো রহস্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।
চলতি বছরের মার্চে সপ্তম বারের মতো তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব নেন সিআইডির উপ-পরিদর্শক (এসআই) জায়েদুল ইসলাম জাহিদ।
তিনি ১০ এপ্রিল গোলাম হোসেনের দ্বিতীয় ছেলে জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করে আদালতে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলে সুকৌশলে জিজ্ঞাসাবাদে তার বাবাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
মো. ইসমাইল জানান, ২০০৯ সালের দিকে কবিরাজি চিকিৎসায় গোলাম হোসেন তার যৌন ক্ষমতা নষ্ট করে দেন। পরের বছর বিয়ে করলে বাসরঘরে তিনি বুঝতে পারেন তার যৌন ক্ষমতা নাই। সেই থেকে স্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য শুরু হয়। দীর্ঘ আট বছরের সংসার জীবনে অক্ষমতা নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে কলহ ও বিরোধ লেগে থাকলে বাবার প্রতি ক্ষোভ তৈরি হয়। একপর্যায়ে তাকে হত্যা করলে যৌন ক্ষমতা ফিরে পাবেন মনে করে পরিকল্পনা করতে থাকেন। ঘটনার দিন স্ত্রী ঢাকায় গার্মেন্টসে থাকায় এবং হালকা বৃষ্টিতে রান্না ঘর থেকে দা নিয়ে গিয়ে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেন তিনি।
এ বিষয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
#জা/নি