প্রভাত সংবাদ ডেস্ক : ছাত্ররাই নির্বাচন কমিশনার, প্রিজাইডিং অফিসার, পুলিং অফিসার। ছাত্ররাই ভোটার, ভোটের প্রার্থীও ছাত্ররাই। উৎসব মুখর পরিবেশে সারাদেশের ন্যায় কুমিল্লায় স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২জুন কুমিল্লার জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো: আবদুল মান্নান বলেন, সারাদেশে একযুগে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে স্টুডেন্ট কাউন্সিল গঠনের লক্ষে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনের আগে প্রতিষ্ঠান প্রধান, ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের নিয়ে নির্বাচন সম্পর্কিত অবহিতকরণ সভা হয়েছে। নির্বাচন পরিচালনা, পর্যবেক্ষনসহ সকল কর্মকান্ড শিক্ষার্থীরাই পরিচালনা করেছে। শিক্ষার্থীদের মাঝে গণতান্ত্রিক মানুষিকতা সৃষ্টি করাই মূলত এই নির্বাচনের মূল লক্ষ্য।
সকালে কুমিল্লা মহানগরীর গুলবাগিচা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা উৎসবমুখর পরিবেশে লাইনে দাড়িয়ে ভোট দিচ্ছে। প্রিজাইডিং অফিসারের উপস্থিতিতে পুলিং অফিসাররা ভোট নিচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের আঙ্গুলে কালি দিয়ে মার্কিং করছেন। বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় শিক্ষার্থীদের নিকট প্রার্থীরা ভোট চাচ্ছেন। এ এক ভিন্নরকম পরিবেশ।
নির্বাচন কমিশনার ইমরুল কায়েস জানান, আমাদের বিদ্যালয়ে সুষ্ঠভাবে ভোট হচ্ছে। কোন রকম সমস্যা হচ্ছেনা। আশা করি আমরা সুন্দরভাবে যথাসময়ে ফলাফল ঘোষনা করতে পারবো।
ভোটাররা জানান, আমরা এই প্রথম ভোট দিচ্ছি। ভাল লাগছে। কিভাবে ভোট দিতে হয় শিখলাম।
প্রার্থীরা জানান, অন্যসব নির্বাচনের মত আমরাও একই রকম নির্বাচনে অংশগ্রহন করছি। নির্বাচনের সকল নিয়ম আমরা মানতেছি। বড় হয়ে আমরা দেশের বড় নির্বাচনে অংশগ্রহন করবো। নিজেদের এলাকার নেতৃত্ব দিব।
প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে গত ২৪ মে মনোনয়ন আহ্বান করা হয়েছে। ২৮ মে মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হয়েছে। ২৯ মে মনোনয়নপত্র বাছাই করে বৈধ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ৩০ মে মনোনয়ন প্রত্যাহার এবং চুড়ান্ত প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে । গতকাল ২জুন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য ২০১০ সালে প্রথম দেশে স্টুডেন্টস কাউন্সিল নির্বাচন শুরু হয়। নানা কারণে ২০১৩ সালের পর তা আর সম্ভব হয়নি। ৮বছর পর আবার স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সূত্র : কুমিল্লার কাগজ/