শিশির সমরাট ।। আজ কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। নির্বাচনে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌঁছেছে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনসহ (ইভিএম) অন্যান্য সরঞ্জামাদি।
কুমিল্লা জিলা স্কুলের শহীদ আবু জাহিদ মিলনায়তন থেকে ২৭ টি ওয়ার্ডের ১০৫টি ভোট কেন্দ্রের দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা রির্টানিং কর্মকর্তার কাছ থেকে সরঞ্জামাদি বুঝে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সহায়তায় স্ব-স্ব ভোটকেন্দ্রে পৌঁছান।
বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুসিক নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তা মোঃ শাহেদুন্নবী চৌধুরী।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমরা সুষ্ঠু ভোট করার জন্য বদ্ধপরিকর। পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্কুলার অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রত্যেকটি কেন্দ্রেই পর্যাপ্ত পুলিশ, আনসার, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন। জেলা প্রশাসক, পুলিশের কর্মকর্তারা সবাই সজাগ থাকবেন। এছাড়া নগরীর প্রবেশপথসহ বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। আমি আশাবাদী, একটি ভালো নির্বাচন উপহার দিতে পারবো।
এদিকে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গতকাল (১৪ জুন) সকালে কুমিল্লা স্টেডিয়ামে জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনে যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অস্থানে রয়েছে। কুমিল্লার নির্বাচনকে সারাদেশের মডেল নির্বাচন হিসেবে উপহার দিতে চাই। এজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, সিটি করপোরেশনে ২৭টি ওয়ার্ডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোট ৩ হাজার ৬০৮ জন সদস্য নিয়োজিত আছেন। এর মধ্যে ৭৫টি চেকপোস্ট, ১০৫টি মোবাইল টিম, ১২ প্লাটুন বিজিবি, ৩০টি র্যাব টিম, ৫০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ৯ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন। আশা করছি আমরা সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে পারবো। তিনি এসময় সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়ে বলেন, আমরা সবাই নিরলসভাবে এ নির্বাচনে কাজ করবো।
এবারের নির্বাচনে মেয়রপদে ৫নজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এরা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত (নৌকা প্রতীক), স্বতন্ত্র প্রার্থী সদ্যবিদায়ী মেয়র মনিরুল হক সাক্কু (টেবিল ঘড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্ থীনিজাম উদ্দিন কায়সার (ঘোড়া), ইসলামী আন্দোলনের রাশেদুল ইসলাম (হাত পাখা) এবং নাগরিক কমিটির কামরুল আহসান বাবুল (হরিণ)।
এছাড়া কাউন্সিলর পদে ১০৮ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
২৭টি ওয়ার্ডে ১০৫টি ভোট কেন্দ্রে ৬৪০টি ভোটকক্ষে ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে নারী ১ লাখ ১৭ হাজার ৯২ এবং পুরুষ ১ লাখ ১২ হাজার ৮২৬।
#প্রভাত সংবাদ/