1. provatsangbad@gmail.com : প্রভাত সংবাদ : প্রভাত সংবাদ
  2. mdjoy.jnu@gmail.com : dainikjoybarta.online : Shah Zoy
মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫, ০১:৩৯ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
কুমিল্লায় ২৪ ঘন্টায় ৭ জনের মরদেহ উদ্ধার দক্ষিণ মধ্যম হালিশহরে ঐকতান পরিবার’র রবীন্দ্র জয়ন্তী স্মরণানুষ্ঠান কুমিল্লায় পশুরহাটের ইজারাদারদের সাথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মতবিনিময় সভা কুমিল্লায় আগ্নেয়াস্ত্র সহ কিশোর গ্যাং লিডার গ্রেফতার কুমিলা বুড়িচংয়ে খামার ব্যবস্থাপনা ও সম্প্রসারণ বায়োগ্যাস প্রযুক্তি বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধন কুমিল্লা গোলাবাড়ি সীমান্ত দিয়ে ১৩ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করেছে বিএসএফ কুমিল্লায় পৃথক দু’টি লাশ উদ্ধার কুমিল্লা বুড়িচংয়ে অগ্নিকাণ্ডে ৪টি ঘর পুড়ে ছাই; ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়ায় ডোবার পানিতে পরে মামা ভাগনের মৃত্যু কুমিল্লা বুড়িচংয়ে ৩৬ টাকা দরে বোরো ধান ক্রয় কার্যক্রম শুরু

জাহান্নামের ভয়াবহ শাস্তি (পর্ব-১০)

  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৫ জুলাই, ২০২২
  • ১৯৮ বার পড়া হয়েছে

প্রভাত সংবাদ ডেস্ক : শাস্তির পরিমাপ থাকা চাই!
জাহান্নামের আগুন ও তার বিভিন্ন প্রকার শাস্তির কথা অধ্যায়নের সময় মানুষের পশম দাঁড়িয়ে
যায় এবং মনের অজান্তেই জাহান্নাম থেকে মুক্তি কামনা করতে থাকে। কিন্তু সাথে সাথে একথাও
মনে পড়ে যে,জীবনের সমস্ত গোনা যতই হোকনা কেন এ গোনাসমূহের শাস্তির জন্য, একটি
পরিসীমা থাকা দরকার ছিল। আর ঐ সত্ত্বা যিনি স্বীয় বান্দাদের প্রতি অত্যন্ত দয়াবান,তিনি
সর্বসময়ের জন্য কি করে মানুষকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন? এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজার আগে
প্রথমে আল্লাহ্ শাস্তি ও সাজা সম্পর্কে,একটি নিয়ম আমরা পাঠকদের দৃষ্টি গোচর করতে চাই যে,রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি মানুষকে হেদায়েতের পথে আহ্বান করে,তার আমল নামায় ঐ সমস্ত লোকদের আমলের সমান সোয়াব লেখা হবে,যারা তার আহ্বানে হেদায়েত প্রাপ্ত হয়েছে। অথচ তাদের (পরস্পরের) সোয়াবের মধ্যে মোটেও কমতি হবে না। এমনিভাবে যে ব্যক্তি মানুষকে গোমরাহির পথে আহ্বান করে,তার আমল নামায় ঐ সমস্ত লোকদের গোনার সমান গোনা লিখা হবে, যারা তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে পাপে লিপ্ত হয়েছে। অথচ গোনাকারীদের পরস্পরের গোনার মধ্যে কোন কমতি হবে না। (মুসলিম)
এ নিয়মের বিস্তারিত বর্ণনা হাবীল কাবীলের ঘটনার মাধ্যমেও স্পষ্ট হয়। যে ব্যাপারে নবী
(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ পৃথিবীতে কোন ব্যক্তি অন্যায় ভাবে নিহত হলে
আদম(আঃ) এর প্রথম সন্তান কাবীল (হত্যাকারী)ও ঐ গোনার ভাগী হবে। কেননা সে সর্ব প্রথম ঐ
হত্যার প্রথা চালু করেছে। (বোখারী ও মুসলিম)

এ নিয়মের আলোকে একজন কাফের শুধু তার নিজের পাপের সাজাই ভোগ করবে না, বরং তার
সন্তান,সন্তানদের সন্তান এমনকি কিয়ামত পর্যন্ত তার বংশে যত কাফের জন্মগ্রহণ করবে এ
সমস্ত কাফেরদের কুফরীর সাজা,প্রথম কাফের পাবে, যে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম)কে মানতে অস্বীকার করেছে। সাথে সাথে এ সমস্ত কাফেররা তাদের স্ব স্ব কুফরীর সাজাও পাবে । এ আচরণ ঐ সমস্ত কাফেরের সাথে করা হবে, যারা তাদের সন্তানাদিদেরকে কুফরীর সবক দিয়েছে এবং কুফরীর ওপর অটল রেখেছে। এ নিয়মের আলোকে প্রত্যেক কাফেরের পাপের সূচী এত বৃহৎ মনে হয় যে,জাহান্নামে তার চিরস্থায়ী ঠিকানা
ন্যায়পরায়ণতার আলাকে সঠিক বলেই স্পষ্ট হয়। এতো গেল ব্যক্তিগত একক কুফরীর কথা,
আর যদি কোন কাফের কুফরীকে সামাজিক আন্দৌলন রূপে প্রতিষ্ঠিত করে,কোন সমাজ বা
কোন রাষ্ট্র,বা সমগ্র পৃথিবীতে তা প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করে,তাহলে এ সম্মিলিত চেষ্টা প্রচেষ্টা
তার মূল গোনার সাথে আরো গোনা বৃদ্ধির কারণ হবে। আর এ বৃদ্ধির পরিমাপ ঐ বিষয়ের ওপর
নির্ভর করবে যে,এ সম্মিলিত চেষ্টা প্রচেষ্টার ফলে কত লোক পথভ্রষ্ট হয়েছে। আর এ আন্দৌলনকে প্রচার করার জন্য কত কত এবং কি কি পাপ করা হয়েছে যেমন:লেলিন কমিউনিজম নামক ভ্রান্তি আবিষ্কার করেছিল,এর পর ঐ ভ্রান্তিকে বিভিন্ন দেশে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য লাখ মানুষ নির্দ্বিধায় কতল করেছে। প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী লাখ মানুষের ওপর নির্যাতনের পাহাড় চাপিয়েছে। শহর কি শহর, গ্রাম কি গ্রাম পদদলিত করা হয়েছে।
মুসলিম অধ্যসিত এলাকা সমূহে, ইসলামের রাস্তা বন্ধ করার জন্য সর্বপ্রকার হাতিয়ার ব্যবহার
আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলের নাম নেয়াতে নিয়মানুবর্তীতা , আযানে নিয়মানুবর্তীতা,নামাযে নিয়মানুবর্তীতা,কোরআ’নে নিয়মানুবর্তীতা, মসজিদ ও মাদরাসায় নিয়মানুবর্তীতা,আলেম উলামাদের প্রতি দূরাচরণ। এ সমস্ত অপরাধ লেলীনের গোনা বৃদ্ধির করা হয়েছে।
কারণ হবে। সে শুধু তার বংশগত কাফেরদের কুফরিরই জিম্মাদার নয়, বরং অসংখ্য মানুষকে
পথভ্রষ্ঠ করার পাপের বোঝা বহন করে,কিয়ামতের দিন উপস্থিত হবে। হত্যা মরামারি,পৃথিবীতে
বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাপের সূচী ও তার বদ আমলের সাথে সম্পৃক্ত হবে। সর্বশেষ এধরণের
ইসলামের শত্রু কট্টর কাফেরের জন্য জাহান্নামের চেয়ে অধিক উপযুক্ত স্থান আর কি হতে
পারে ?
১৮৪৬ইং মার্চ মাসে মহারাজা গোলব শিং কাশ্মীর খরিদ করে,তার জোরপূর্বক শাসন প্রতিষ্ঠার
চেষ্টা শুরু করল। তখন দু’জন নেতৃস্থানীয় মুসলমান মল্লি খাঁন এবং সবজ আলী খাঁন,তার
প্রতিবাদ জানাল । তখন গোলব শিং এ উভয় নেতাকে উল্টা করে ঝুলিয়ে,জীবন্ত অবস্থায় তাদের
চামড়া ছিলার নির্দেশ দিল। এ দৃশ্য এত ভয়ানক ছিল যে,গোলাব শিংয়ের ছেলে রামবীর শিং
সহ্য না করতে পেরে,দরবার থেকে উঠে গেল,তখন গোলাব শিং তাকে ডাকিয়ে বললঃ যদি তোমার মধ্যে এ দৃশ্য দেখার মত সাহস না থাকে,তাহলে তোমাকে যুবরাজের পদ থেকে হটিয়ে দেয়া হবে। ইসলাম ও মুসলমানদের দুশমনীর এধরণের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের উপযুক্ত শাস্তি জাহান্নামের আগুন ব্যতীত আর কি হতে পারে ?
ভারত বিভক্তির সময় লর্ড,মাউন্টবেটিন,স্যার, পেটিল, হেজাক্সী লেন্সী,নেহেরু,আজহানী,
গান্ধীরা জেনে বুঝে যেভাবে ইসলামের শত্রুতার ঝর তুলে, নির্দ্বিধায় মুসলমানদেরকে হত্যা করিয়েছে,মুসলিম মহিলাদের ইজ্জত হরণ করেছে, মাসুম বাচ্চাদেরকে কতল করেছে,এর প্রতিশোধ যতক্ষণ পর্যন্ত জাহান্নামের আগুন, তার সাপ, বিচ্ছুরা না নিবে, ততক্ষণ পর্যন্ত নিরঅপরাধে নিহত মুসলমান, পবিত্র মুসলিম মহিলা, মাসুম মুসলিম বাচ্চাদের কলিজা কি করে ঠান্ডা হবে ? এমনি ভাবে বসনিয়া, কসোভা, সিসান ইত্যাদি ।
অতএব ঐ মহাজ্ঞানী অভিজ্ঞ সত্বা যিনি মানুষের অন্তরের গোপন আকাঙ্খার খবর রাখেন,কাফেরের জন্য যত শাস্তি প্রস্তুত করে রেখেছেন,তা কাফেরের উপযুক্ত শাস্তি,তার প্রাপ্যের চেয়ে বিন্দু পরিমাণ কমও হবেনা আবার বেশিও না। বরং ন্যায় পরায়ণতার ভিত্তিতে তার উপযুক্ত শাস্তিই হবে। আর আল্লাহ্ যিনি তার সমস্ত সৃষ্টি জীবের জন্য কোন পার্থক্যহীনভাবে,অত্যন্ত দয়ালু তিনি কারো ওপর বিন্দু পরিমাণ জুলুম করেন না।
অর্থঃ“তোমার রব কারো ওপর বিন্দু পরিমান জুলুম করেন না। ” (সূরা কাহাফ- ৪৯) —————চলবে।
তথ্য সূত্র : জাহান্নামের বর্ণনা।
#প্রভাত সংবাদ /র আ/৩৮

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন