নেকবর হোসেন ও শিশির সমরাট ।। কুমিল্লা মনোহরগঞ্জ উপজেলার লক্ষনপুর গ্রামের মালেকার বাড়ির রঞ্জিত চন্দ্র দাসের স্ত্রী সরস্বতী রানীকে ঘুমের মধ্যে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে ঘাতক স্বামী রঞ্জিত চন্দ্র দাসকে আটক করেছে মনোহরগঞ্জ থানা পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মনোহরগঞ্জ উপজেলার লক্ষনপুর ইউনিয়নের লক্ষনপুর মালাকার বাড়ির ঝাল মুড়ি বিক্রেতা সুশীল চন্দ্র দাসের ছেলে রঞ্জিত চন্দ্র দাসের সঙ্গে চাঁদপুর হাজীগঞ্জ উপজেলার বড়কুল গ্রামের উমেশ চন্দ্র দাসের মেয়ে সরস্বতী রানীর(৩০) গত ১২ বছর পূর্বে বিবাহ হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের ১০ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। সন্তান হওয়ার পর থেকে পারিবারিক বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া লেগে থাকতো । গত কয়েক মাস আগে সরস্বতী রানী ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি নিয়ে একাই ঢাকাতেই বসবাস শুরু করেন। এ দিকে তার স্বামী রঞ্জিত দাস নিজ এলাকায় একটি সেলুন দোকানে কাজ করতেন। তাদের সন্তান থাকেন দাদা-দাদীর কাছে। ঈদের ৪ দিন আগে স্বামী রঞ্জিত ঢাকায় গিয়ে স্ত্রী সরস্বতীকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ীতে ফিরেন । বৃহস্পতিবার(১৪জুলাই) বাড়ীতে স্বজনদের সাথে বসে দুপুরের খাবার খেয়ে নিজ ঘরে চলে যান তারা। পরবর্তীতে বিকাল ৩ টার দিকে সরস্বতী হঠাৎ শোর চিৎকার দিতে থাকলে আশেপাশে থাকা স্বজনরা গিয়ে দেখেন সরস্বতী রানী রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে। এসময় তার স্বামী রঞ্জিত চন্দ্র দাস দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে পরিবারের লোকজন স্থানীয় চিকিৎসককে ডেকে আনলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় একই দিন সন্ধ্যায় নিহতের বড় ভাই মিন্টু দাস বাদি হয়ে মনোহরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মনোহরগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) তপন কুমার বাকচীর নেতৃত্বে এসআই মিজানুর রহমান ও এএসআই ইমদাদুল হকসহ সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান চালিয়ে উত্তর হাওলার বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে ঘাতক রঞ্জিত চন্দ্র দাসকে আটক করে। সে এ হত্যা কান্ড ঘটিয়েছে বলে স্বীকার করে । এসময় তার দেয়া তথ্যমতে তার বাড়ি সংলগ্ন পুকুর পাড়ের কাঁদামাটিতে লোকানো হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছোড়াটি উদ্ধার করা হয়। গতকাল ( শুক্রবার) তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
#প্রভাত সংবাদ/