শিশির সমরাট ।। কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে বিজিবি ও পুলিশ পৃথক দুটি অভিযান চালিয়ে ২ কোটি ৩৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় আমদানি নিষিদ্ধ ঔষধ ও শাড়ী কাপড় জব্দ করা সহ দুই জন চোরা কারবারিকে আটক করেছে। এসময় চোরাচালানের কাজে ব্যাবহৃত নাম্বার বিহীন মিনি পিকআপ ও একটি অটোরিকশা জব্দ করা হয়।
বুড়িচং থানা সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার দুপুরে বুড়িচং উপজেলার বাকশীমূল ইউনিয়ন সীমান্ত এলাকা থেকে মিনি পিকআপ ও অটোরিকশা দিয়ে আমদানি নিষিদ্ধ ভারতীয় জর্জেট শাড়ি নিয়ে কুমিল্লা-বুড়িচং সড়ক দিয়ে যাচ্ছে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার ওসি মোঃ মারুফ রহমানের নির্দেশনায় এসআই শরীফুর রহমানের নেতৃত্বে কুমিল্লা-বুড়িচং সড়কে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় পুলিশ দেখে চোরাকারবারি দল তাদের গাড়ি দ্রুত গতিতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে পুলিশ চোরাকারবারীদের ধাওয়া করে গাড়িসহ এসব পণ্য ষোলনল মধ্যপাড়া হাজী বাড়ি এলাকা থেকে জব্দ করে। জব্দকৃত মালামাল ৬৯০ পিস বিভিন্ন রংয়ের ভারতীয় তৈরী আমদানি নিষিদ্ধ শাড়ি ও তাদের জব্দকৃত গাড়িসহ দুইজন চোরাকারবারিকে আটক করা হয়। এ সময় একজন চোরাকারবারি পালিয়ে গেলেও দুই জনকে আটক করা হয়। জব্দকৃত শাড়ীর আমুমামিক মূল্য ২১ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
অপরদিকে একই উপজেলার সীমান্ত এলাকা খাড়েরা বিওপি’র ক্যাম্পের সদস্যরা
গোপন সূত্রে জানতে পারে চোরাকারবারীরা ভারত থেকে বিপুল পরিমাণে পণ্য নিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করছে।পরে বিজিবি সদস্যরা অভিযান চালিয়ে কালিকাপুর (গাজিপুর) বাজার থেকে আমদানি নিষিদ্ধ ঔষধ জব্দ করে। যাহার মূল্য ২ কোটি ৯০ হাজার টাকা। এ সময় চেরাকারবারিরা বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় উক্ত জব্দকৃত মালামাল ও পিকাআপ বুড়িচং থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বুড়িচং থানার এসআই শরীফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জব্দকৃত মালামাল শাড়ি, ঔষধ, মিনি পিকআপ ও অটোরিকশা’র আনুমানিক মোট মূল্য ২ কোটি ৩৮ লাখ ৩০ হাজারেরও অধিক।
আটককৃতরা হলেন, মোঃ রুবেল(১৯) ষোলনল ইউনিয়নের আগানগর এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে। মোঃ হোসেন মিয়া,বুড়িচং সদরের শিরু বেপারী বাড়ির আব্দুর রশিদের ছেলে মোঃ বাবুল মিয়া(৪৫)। পলাতক আসামি বুড়িচং সদরের শিরু বেপারী আব্দুর রশিদের ছেলে মোঃ আবুল হোসেন প্রকাশ অনিক। পলাতক আসামির বিরুদ্ধে কুমিল্লার বিভিন্ন থানায় ৪টি মামলা রয়েছে বলে জানায় পুলিশ ।
আটকৃতদের বিরুদ্ধে বুড়িচং থানায় মামলা রুজু শেষে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
#