প্রভাত সংবাদ ডেস্ক : আশারা শব্দটি আরবী। যার অর্থ হচ্ছে দশ। আর মুবাশশারা শব্দের অর্থ সুসংবাদপ্রাপ্ত। অর্থ্যাৎ আশারায়ে মুবাশশারা হচ্ছে সুসংবাদপ্রাপ্ত দশজন। ইসলামী পরিভাষায় আশারায়ে মুবাশশারা বলতে বুঝায় হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে দশজন সাহাবায়ে কেরামকে জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন। মূলত দুনিয়ার জমিনে থাকতে এই দশজন সাহাবায়ে কেরাম জান্নাতের সুসংবাদ পান।

জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত দশজন সাহাবী

১। হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা:)
২। হযরত উমর ইবনুল খাত্তাব (রা:)
৩। হযরত উসমান ইবনে আফফান (রা:)
৪। হযরত আলি ইবনে আবি তালিব (রা:)
৫। হযরত তালহা ইবনে উবাইদিল্লাহ (রা:)
৬। হযরত যুবাইর ইবনুল আওয়াম (রা:)
৭। হযরত আবদুর রহমান ইবনে আউফ (রা:)
৮। হযরত সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা:)
৯। হযরত সাঈদ ইবনে যায়িদ (রা:)
১০। হযরত আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহ (রা:)

হিজরী দশম সালে মদীনায় এক ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল। ফলে বহুলোক অনাহারে ও অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছিল। কোনোদিক থেকে সাহায্য-সহযোগিতা ও খাদ্য সামগ্রী আমদানি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছিল না। এমনি এক দিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনায় মসজিদে নববীতে খুতবা দান করতে ছিলেন। এমন সময় হঠাৎ সংবাদ এল যে, শামদেশ থেকে প্রচুর খাদ্য সামগ্রী নিয়ে একদল বণিক মদীনায় আগমন করছে। তখন সব সাহাবায়ে কেরাম (রা:) বণিক দলের নিকট গমন করে। কেবলমাত্র দশজন সাহাবা তথায় গমন না করে মনোযোগ সহকারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খুতবা শ্রবণে নিমগ্ন রইলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে একে একে তাঁদের নাম উল্লেখ করে তাদেরকে বেহেস্তবাসী বলে ঘোষণা করেন।

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- আবু বাকর জান্নাতী, উমার জান্নাতী, উসমান জান্নাতী, আলী জান্নাতী, তালহা জান্নাতী, যুবাইর জান্নাতী, আব্দুর রহমান জান্নাতী, সাদ বিন আবী ওয়াক্কাস জান্নাতী, সাঈদ ইবনে যায়েদ জান্নাতী এবং আবূ উবায়দা ইবনুল জাররাহ (রা)। (তিরমিযী, মিশকাত- ৫৭৩৫)

হযরত উমর ফারুক (রা:) বলেন, কেউই ঐ ব্যক্তিদের ছাড়া খিলাফাতের হকদার নয়, যাদের প্রতি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইন্তেকাল পর্যন্ত সন্তুষ্ট ছিলেন। অত:পর ‘হযরত উমর ফারুক (রা:) তাদের নাম উচ্চারণ করতে লাগলেন, ‘উসমান,আলী, তালহা, যুবাইর, সা’দ এবং আবদুর রহমান সবাই জান্নাতী। (বুখারী ও মিশকাত শরীফ)
#