প্রভাত সংবাদ ডেস্ক : কচুরিপানা এখন আর অবহেলা আর ফেলে দেয়ার জিনিস নয়। কচুরিপানাও অর্থনীতিতে রাখছে ভূমিকা। কচুরিপানাকে কাজে লাগিয়ে উৎপাদন করা হচ্ছে ফিউশন শাড়ি, কর্মস্থান হয়েছে গ্রামের প্রায় ৪৫০ মহিলার।
এমন অসম্ভব কাজকে সম্ভব করেছেন ঝাড়খণ্ড প্রদেশের এক যুবক। তাঁর কীর্তিতে অবাক হয়ে যাচ্ছে সবাই। এই যুবক কচুরিপানা দিয়ে তৈরি করছেন শাড়ি। যুবকের এই উদ্যোগে কাজ পেয়েছেন প্রায় ৪৫০ জন মহিলা। একই সাথে জলাশয় থাকে নিষ্কাশন হচ্ছে কচুরিপানার। কীভাবে এই অসাধ্য সাধন করছেন এই যুবক?
পুকুর বা জলাশয়ে কচুরিপানা আমরা সবাই দেখেছি। এছাড়াও কচুরিপানার উপর ফুটে থাকা বাহারি ফুল আমাদের সবার নজর কাড়ে। জলজ এই উদ্ভিদের ইংরেজি নাম ওয়াটার হায়াসিন্থ। এই কচুরিপানা দ্রুত বংশবিস্তার করে। প্রতি দু সপ্তাহে এর আকৃতি দুগুন বৃদ্ধি পায়। কচুরিপানা দ্রুত বংশবিস্তার করার জলাশয় বা পুকুর দ্রুত ঢেকে যায় এই উদ্ভিদে।
এর ফলে সূর্যের আলো ও বাতাস প্রবেশ করতে পারে না জলের গভীরে। তাই কচুরিপানা জলাশয় ও জলজ প্রাণীদের জন্য বিপদের আরেক নাম।
ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের জামশেদপুরের ইঞ্জিনিয়ার গৌরব আনন্দ এই সমস্যার একটি সমাধান বের করেছেন। কচুরিপানা থেকে সুতো ও সেই সুতো থেকে শাড়ি উৎপাদনের ব্যবস্থা করেছেন তিনি। গৌরব বাবু এই ক্ষেত্রে এক ঢিলে মারতে চেয়েছেন দুই পাখি।
এ উদ্যোগের ফলে একদিকে জলাশয় থেকে নিষ্কাশন হবে কচুরিপানা, অন্যদিকে এর মাধ্যমে কর্মসংস্থান হচ্ছে গ্রামের মহিলাদের। অনেক আগে থেকেই কচুরিপানা দিয়ে কাগজ, ম্যাট ইত্যাদি হস্তশিল্প তৈরি করা হত। গৌরব সেই ধারণাকে আরও একধাপ এগিয়ে কচুরিপানার ফাইবার গুলিকে ফেব্রিক্স হিসেবে ব্যবহার শুরু করেছেন।
এর ফলে তৈরি করা সম্ভব হয়েছে বিশ্বের প্রথম ফিউশন শাড়ি। গৌরব এই শাড়ি তৈরিতে সাহায্য নিচ্ছেন বাংলার শান্তিপুরের তাঁতিদের। ‘স্বচ্ছতা তু কারে’ নামো একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন চালান গৌরব, যা নদী ও জলাশয় পরিষ্কারের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। এই অভিযান চলার সময় ২০২২ সালে গৌরবের মাথায় আসে সেই সুতো দিয়ে শাড়ি তৈরির কাজের কথা।
#বা/হা/নি