1. provatsangbad@gmail.com : প্রভাত সংবাদ : প্রভাত সংবাদ
  2. mdjoy.jnu@gmail.com : dainikjoybarta.online : Shah Zoy
শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৪১ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
তিতাসে বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আ’লীগের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত    কুমিল্লা পুলিশ সুপারের বাঙ্গরা বাজার থানা পরিদর্শন কুমিল্লা তিতাসে স্বর্ণ ব্যবসার আড়ালে মাদক কারবার, আটক-১ কুমিল্লায় বিলুপ্তির পথে খেজুর গাছ! কুমিল্লায় নির্বাচন- পূর্ব অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষে অনুসন্ধান কমিটি গঠিত বিএনপির ১৫ কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক ৩০ এমপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন কুমিল্লা-৯ নির্বাচনী এলাকায় বিএনএম মনোনীত প্রার্থী মোঃ হাছান মিয়া কুমিল্লা মুরাদনগরে বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়া মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী কলেজের অভাবনীয় সাফল্য কুমিল্লায় ১২৬ কেজি গাঁজা সহ ১ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

আমেরিকায় ট্যাক্সিক্যাব চালিয়ে বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়ায় গড়ে তুলেছেন একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

  • প্রকাশিত: বুধবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৩
  • ৮৩ বার পড়া হয়েছে

গাজী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জাবির, বুড়িচং,কুমিল্লা।।আমেরিকায় ট্যাক্সিক্যাব চালিয়ে বাংলাদেশের মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী তার নিজ এলাকা কুমিল্লার বুড়িচং- ব্রাহ্মণপাড়ায় গড়ে তুলেছেন একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শুধু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই না তিনি গড়ে তুলেছেন মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানা, ঈদগাহ এবং কবরস্থান। এসব প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে তিনি এক অনন্য নজির স্থাপন করেছেন।

মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী নিউইয়র্কে কখন ট্যাক্সিক্যাব চালান, কখনও কাজ করেন ফাস্টফুডের দোকানে। এমনকি প্রবাস জীবনের প্রথম দিকে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। বর্তমানে দেশে না থাকলেও ভালো কাজে সবসময় তিনি তাঁর চিন্তা চেতনা দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন এবং সমাজসেবামূলক ধারাবাহিক কর্মকান্ডের কারণে তিনি এলাকাবাসীর কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার একজন মানুষে পরিনত হয়েছেন। এসব কর্মকাণ্ডের কারণে  পেয়েছেন দেশী বিদেশী অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা। মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী শুধু কুমিল্লা নয়, গোটা বাংলাদেশের গর্ব। দেশের এই কৃতি সন্তানের  এসব কার্যক্রম দেশ-বিদেশে মানুষের মুখে মুখে। তিনি ১টি ২টি নয়, এলাকায় ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়েছেন। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে ৬ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছেন এবং দুই শতাধিক কর্মচারী কর্মরত আছেন। কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ধান্যদৌল গ্রামের কৃতি সন্তান

মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী মাধ্যমিক পাস করার পর ১৯৮৩ সালে জীবিকার তাগিদে কাতার পাড়ি জমান। সাড়ে ৫ বছর পর বিদেশ থেকে দেশে এসে সামাজিক ও ধর্মীয় চিন্তা থেকে ১৯৮৮ সালে গ্রামে ঈদগাহ ও কবরস্থান তৈরি করেন। ১৯৮৯ সালে ধান্যদৌল গ্রামে বাবার নামে আবদুর রাজ্জাক খান চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। ২০০২ সালে  মুমু রোহান চাইল্ড কেয়ার প্রি-ক্যাডেট কিন্ডারগার্টেন নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।

১৯৯৬ সালে মা ও দাদির নামে আশেদা- জোবেদা ফোরকানিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন।  ১৯৯৯ সালে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা সদরে প্রতিষ্ঠা করেন মোশাররফ  হোসেন খান চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ। কলেজটিতে ১০টি বিষয়ে অনার্সসহ ১টি বিষয়ে মাস্টার্স পড়ার সুযোগ রয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয় ইন্টারমিডিয়েট, অনার্স ও ডিগ্রী পরীক্ষা কেন্দ্র রয়েছে। এর পাশাপাশি মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী ১৯৯৯ সালেই উপজেলা সদরে সাবেক আইনমন্ত্রী, প্রয়াত এমপি আব্দুল মতিন খসরু নামে মহিলা ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। টাকার অভাবে গরিব- ছেলেমেয়েরা যাতে শিক্ষাবঞ্চিত না হয় সে জন্য মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে প্রতিবছর শিক্ষাবৃত্তি দিচ্ছেন তিনি। এধরণের মানবিক উদ্যোগে সাড়া দিয়েছে এলাকার মানুষের মনে। এলাকার জনকল্যাণে মোশাররফ খান চৌধুরীর উদ্যোগ ও অবদানের কথা উঠে আসে, দলমত ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে এলাকার সবার কাছে। মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী বলেন , আমি আমার বাবা স্বপ্ন একে একে বাস্তবে রুপ দিয়ে যাচ্ছি। সমাজসেবার এই ব্রত অব্যাহত রাখতে পারলেই শান্তি পাবো। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি জানান, প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষাব্যবস্থা আরও মানসম্মত করতে চাই। সেটা কিভাবে করা সে লক্ষ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ, প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে স্মার্ট প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে এবং মানুষের পাশে থেকে জীবন উৎসর্গ করে যেতে চাই।

তিনি এশিয়ান ডেমোক্র্যাটিক অ্যাসোসিয়েশন লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড , ফোবানা অ্যাওয়ার্ড, জজিয়া আটলান্টা, আমেরিকা। কুমিল্লা সোসাইটি অ্যাওয়ার্ড, আমেরিকা। সিটি হল অ্যাওয়ার্ড, নিউইয়র্ক, আমেরিকা। কুমিল্লা সোসাইটি স্বর্ণপদক অ্যাওয়ার্ড, আমেরিকা। কুমিল্লা সোগাইটি উত্তর আমেরিকা উনক অ্যাওয়ার্ডসহ দেশে/ বিদেশে পেয়েছেন অসংখ্য  সম্মামনা পুরস্কার পদক ও সংবর্ধনা।
#

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন