1. provatsangbad@gmail.com : প্রভাত সংবাদ : প্রভাত সংবাদ
  2. mdjoy.jnu@gmail.com : dainikjoybarta.online : Shah Zoy
রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫, ০১:৪০ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
কুমিল্লা মহানগরীর শ্যুটার রাজিব গ্রেফতার মাহে রমজান সংযম, ত্যাগ, ধৈর্য্য ও শৃঙ্খলার শিক্ষা দেয়: সফিকুর রহমান কুমিল্লার বরুড়া প্রেসক্লাবের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গোমতী নদীতে মাটি কাটার ব্যাপারে কোনো প্রকার ছাড় দেয়া হবে না- জেলা প্রশাসক কুমিল্লা সংযম সাধনার মাসে বাজারে ভোগান্তি কেন? দেশে গণতন্ত্র উত্তোরণে বড় বাধা মব জাস্টিস বন্ধ চায় ইসলামী ফ্রন্ট  কুমিল্লায় অবৈধ ইটভাটা অপসারনের দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশ দৈনিক ইবি নিউজ ২৪ এর খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত কুমিল্লা হানকির জলায় অবৈধ ভাবে ফসলি জমির মাটি কাটার বিরুদ্ধে অভিযান, জব্দ ৩ টি ড্রাম ট্রাক,আটক-১ কুমিল্লায় হত্যা মামলায় যুব মহিলালীগ নেত্রী গ্রেফতার

দেশের যুবসমাজ আদর্শের বিপরীতে অন্ধকারের চোরাবালিতে হাবুডুবু খাচ্ছে!

  • প্রকাশিত: শনিবার, ৬ জুলাই, ২০২৪
  • ১৯২ বার পড়া হয়েছে

গাজী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জাবির।। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যুব সমাজ নিয়ে আলোচনা খুব জরুরি। তাদের দায়িত্ব আমাদের কাঁধে। তাদের কিভাবে প্রোডাক্টিভ করা যায়, সে বিষয়ে উম্মতের রাহবার, কারিগর, জাতির কর্ণধার ও পৃথিবীর দায়িত্বশীল কাণ্ডারীরা অধিক গুরুত্ব সহকারে দেখেন না , দৃষ্টিপাত করেন না। অথচ তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গঠনে কোরআন ও হাদীসের দিকনির্দেশনা এবং অভিভাবক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব অপরীসিম।

দেশের যুবসমাজ সঠিক গাইডলাইন না পাওয়ায় তারা আজ অন্ধকারের চোরাবালিতে হাঁটছে। তারা নিজেদের অজান্তেই হচ্ছে ধ্বংস। তারা হলো সমাজ তথা দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ । এ যুবসমাজকে উম্মাহর বৃহত্তর স্বার্থে কিভাবে কাজে লাগানো যায়। কিভাবে তাদের ধ্বংসের হাত থেকে কল্যাণের পথে আনা যায় সেটাই আজকের আলোচ্য বিষয়:-
মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘ তুমি কি মনে কর যে, গুহা ও রাকিমের অধিবাসীরা আমার নিদর্শনাবলীর মধ্যে বিষ্ময়কর?যুবকরা যখন গুহায় আশ্রয় নিল তখন তারা বলেছিল, হে আমাদের রব! আপনি নিজ হতে আমাদেরকে অনুগ্রহ দান করুন এবং আমাদের জন্য আমাদের কাজকর্ম সঠিকভাবে পরিচালনার ব্যবস্থা করুন।’ (সুরা কাহাফ: ৯-১০)।
আমরা জানি, সুরা কাহাফে মোট চারটি ঘটনার উল্লেখ আছে। তার মধ্যে আসহাবে কাহাফ তথা গুহাবাসীর ঘটনা। যে নাম দিয়ে আল্লাহ সুরার নামকরণ করেছেন সুরাতুল কাহাফ। কাহাফ মানে গুহা। ওই সময়ের ঘটনা ছিল,”একজন জালেম স্বৈরশাসক তার রাজ্যের সবাইকে শিরক করাত। সে তাওহীদবিরোধী রাষ্ট্র পরিচালনা করছিল এবং তাওহীদ বিরোধিতার ওপরই তার রাষ্ট্রকে প্রতিষ্ঠিত করেছিল। সে নাগরিকদের বাধ্য করত আল্লাহর তাওহীদের বিপক্ষে অবস্থান নিতে”। সেই রাষ্ট্রে ঈমানের বলে বলীয়ান তাওহীদের ধারক কিছু যুবক ছিল। তারা পরামর্শ করল প্রথমে আমাদের ঈমান বাঁচাতে হবে। ঈমান বাঁচানোর জন্য তারা পরিবার ও সমাজ থেকে পালিয়ে গুহায় আশ্রয় নিল। এ ঘটনা থেকে দেশের তরুণ যুব সমাজকে বুঝতে হবে এবং বুঝাতে হবে- আগে জান বাঁচানো নয়, পিঠ বা সম্মান বাঁচানো নয়। সবার আগে ঈমান বাঁচানো জরুরী। কিন্তু আমরা এ মূল্যবোধ পুরো নব্বই ডিগ্রী উল্টে দিয়েছি। আমাদের কাছে আগে জান, তারপর পিঠ, সম্মান-বংশমর্যাদা, তারপর ফ্যামেলি মেম্বার, প্রেমিক বা প্রেমিকা তারপর হলো সবশেষে ঈমান।
সেটা কিভাবে? সপ্তাহে এক দিন জুমায় এসে হাজিরা খাতায় নাম বহাল রাখি। সারা সপ্তাহে মসজিদের দিকে আসার সময় হয় না। শুধু ওই এক দিন আসি যাতে মুসলমানের খাতা থেকে অন্তত নামটা কাটা না যায়।

আসহাবে কাহাফ ছাড়াও আল্লাহ তায়ালা কোরআনে অনেক যুবকের কথা বলেছেন। রাসুল (সা.) অনেক যুবকের প্রশংসা করেছেন, দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
সেই দিকনির্দেশনা, আলোচিত যুবকদের জীবনাদর্শ, তাদের Ideology, সেই Example, প্রকৃত স্টারগুলোকে আজ আমাদের পাঠ্যপুস্তক থেকে উধাও করে দেয়া হয়েছে। পরিবার ও সমাজ থেকে তাদের আলোচনা বাদ দেয়া হয়েছে। আজ আমাদের যুবক-যুবতী, তরুণ-তরুণী, কিশোর-কিশোরীদের Model ও Star তারাই, যাদের জীবনাদর্শ অনুসরণ করলে নিশ্চিত স্থান জাহান্নামে যেতে হবে। এভাবে আজকে আমরা তরুণ ও যুবকদের মডেলগুলোকে Change করে দিয়েছি।

তাই তাদের বুকে, পিঠে Cristiano Ronaldo, Messi & Neymar এর মতো কথিত তারকাদের ছবি স্থান পায়। যারা ২/৩টা বাচ্চা জন্ম দেয়ার পর বিয়ে করে। যারা সমকামিতাকে বৈধ মনে করে। যারা সমলিঙ্গের বিয়েকে হালাল মনে করে। যারা সেগুলোকে Promote করে, সহযোগিতা করে, প্রচার করে। এমন শত শত অবৈধ কাজের চিন্তা যারা লালন করে। তাদেরকেই আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আদর্শ মনে করছে। তাই তো এদের ছবি তাদের গায়ে, ঘরে Mobile screen saver এ শোভা পায়। আপনি একজন দায়িত্বশীল অভিভাবক হিসেবে, সমাজের দায়িত্বশীল চিন্তক হিসেবে, নবীজি (সা.)-এর দায়িত্বশীল উম্মত হিসেবে কখনো কি ভেবেছেন- যুবকরা ৩/৪ জন যখন একত্রিত হয় তখন তাদের আলোচনার বিষয় কী থাকে? তারা কেউ কি খালিদ বিন ওয়ালিদ (রা.), মুহাম্মাদ বিন কাশেম ,বড় পীর আবদুল কাদের জিলানী, হযরত খাজা মইনুদ্দিন আজমিরী অথবা হযরত ইমাম হুসাইন রা: নিয়ে ভাবে? আফসোস, তারা ভাবে না। আমরাও যুবকদের নিয়ে ভাবি না।
তারা আমাদের ভবিষ্যৎ। তারাই আমাদের স্বপ্ন। তারা তাদেরকে নিয়েই আলোচনা করে যাদের অনুসরণ করলে ঈমান হারানোর পাশাপাশি তারা সরাসরি জাহান্নামে যাবে। অথচ কারো কোনো মাথাব্যথা নেই। শিক্ষকরা শিক্ষকতা করে বেতন পাচ্ছেন আর Tuition করে টাকা কামাচ্ছেন। এতেই তাদের দায়িত্ব শেষ। নবী (সা.)-এর দুইশ কোটি মুসলিম আজ পৃথিবীতে।
সম্প্রতি ৬৬ ঊর্ধ্ব বয়োবৃদ্ধ একজন নারী জাবালিয়া শহরে একটি ঘরে একাকী ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ কয়েকজন ইসরায়েলি জালেম তাঁকে বাহির থেকে বলছে, বের হয়ে আসো আমরা তোমার ঘর দখল করব। তিনি অস্বীকৃতি জানালে তাদের প্রশিক্ষিত কুকুরকে তার ওপর লেলিয়ে দেয়। সেই বৃদ্ধা নারীকে কুকুরটি ক্ষতবিক্ষত করে। আপনি ভাবতে পারেন আপনার দাদী, নানীকে কেউ এভাবে কুকুর দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করবে আর আপনি দেখেও না দেখার ভান করবেন? জানি, করবেন না। কিন্তু এমনটাই হয়েছে ফিলিস্তিনে। ঘটনা সত্য। সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে আল-জাজিরায় খবর প্রকাশ হওয়ার পর এটা সারা দুনিয়ায় আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু দুইশ’ কোটি মুসলিমের এ দুনিয়ায় এই অপরাধের বিচার কোনো মুসলিম করতে পারছে না। কারণ কী? আছে কি আমাদের কোনো পরিকল্পনা, স্বপ্ন বা লক্ষ্য তাদেরকে নিয়ে? পক্ষান্তরে ইহুদী ও খ্রিস্টানদের পরিকল্পনা আছে কিভাবে মুসলিম যুবকরা নষ্ট হবে। হালের আলোচিত ঘটনা। পাঠ্যপুস্তকে কিউ আর কোড দিয়ে স্ক্যান করার কথা বলা হচ্ছে। যাতে স্ক্যান করলে পাওয়া যাবে ইউরোপের অন্তর্বাস বিক্রীর দোকানের ঠিকানা। আবার শেখানো হচ্ছে বয়ঃসন্ধিকালে মাসিক হলে প্যাডের কথা মাকে না বলে বাবাকে বলতে, সমাজের ত্যাবু ভাঙো। নাউজুবিল্লাহ। মুসলিম যুবকদের মাঝে অশ্লীলতা চরিত্রহীন বানাতে এবং নির্লজ্জ কাজে উৎসাহিত করতে পুরো পশ্চিমা বিশ্ব তাদের মেধা, প্রযুক্তি ও অর্থ নিয়োগ করেছে। এদেশে তাদের সোল এজেন্ট, তাদের সেবাদাস এনজিওগুলো তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছে। আপন গতিতে তারা কাজ করে যাচ্ছে। তাদের গবেষণা কেন্দ্র আছে, লোক নিয়োগ করা আছে। তারা এর পেছনে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করছে। সিএনএন রিপোর্ট করেছে বাংলাদেশের জন্য তাদের বাজেট ২০০ কোটি ডলার। শুধু Sympathy তৈরী করার জন্য যে Transgenderরা একটু সমস্যায় আছে। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে কিভাবে আমাদের যুবসমাজকে ধ্বংস করা যায়। কারণ,একটি সমাজের মেরুদণ্ড হচ্ছে যুব সমাজ। তাদের কে বিপথগামী করতে পারলেই হল। তাদের লক্ষ্য ঠিকই আছে, কিভাবে আমাদের যুবকদের ধ্বংস করা যায়।

পক্ষান্তরে, আমাদের কোনো পরিকল্পনা নেই যুবকদের নিয়ে। আমাদের যুবকরা কেমন হবে, তাদের মডেল হিসেবে আমরা কাকে দাঁড় করাবো? আসুন,একটু গভীর ভাবে ভাবি এবং কোরআন ও সুন্নাহ তুলে ধরি।সূরা কাহাফের উদাহরণ সামনে তো আছেই।

আজ বিশ্বের খনিজ সম্পদের ৬৫%-৭৫% মুসলিমদের হাতে, পৃথিবীর বন্দরের চার ভাগের তিন ভাগ মুসলিমদের হাতে। আর আল্লাহর নিয়ামত মেধা তো আছেই। বর্তমানে মুসলিম Studentsরা বাংলাদেশ, ভারত, আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মেধা তালিকায় স্থান পাচ্ছে, তাদের পুরস্কৃতও করা হচ্ছে। তো মুসলিম উম্মাহর সমস্যা কোথায়? এটা সুন্দরভাবে বিশ্লেষণ করেছেন ইউরোপের প্রখ্যাত নব- মুসলিম দাঈ ইলাল্লাহ উস্তাদ মুহাম্মাদ হোবলস। একটা লেকচারে তিনি বলেছিলেন, ‘আজকে উম্মাহর এত দুর্দশার কারণ কী? এখন তো ইলম অর্জনের জন্য উপায়ের অভাব নেই। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লেকচার, ওয়াজ-নসিহত এখন ইউটিউবে ভর্তি আছে। এখন ইলমের কোনো অভাব নাই। এরপরও উম্মাহর এ দুরাবস্থার কারণ কী? কারণ উম্মাহর মধ্যে আজ (সত্যিকারের) পুরুষ নাই। There is no man in this ummah. আর যখন উম্মাহর পুরুষরা সত্যিকারের পুরুষের মতো আচরণ করে না তখন সবচেয়ে বেশী এফেক্টেড হয় উম্মাহর নারী ও শিশুরা।’ আসলেই আমরা পুরুষ আছি জেন্ডারগত দিক থেকে। কিন্তু মুসলিম বিশ্বে আজ প্রকৃত পুরুষের বড় অভাব। এ প্রকৃত পুরুষ তৈরী করতে হবে আমাদের যুব সমাজের মধ্য থেকে। আমাদের প্ল্যান আছে! আমার সন্তান এসএসসি- এইচএসসিতে Golden A+ পাবে। এরপর ভালো একটা Versity তে ভর্তি করে শুধু টাকা পাঠানো। আর তাকে নিয়ে গর্ব করা এবং স্বপ্ন দেখা। কবে সে বিসিএস শেষ করে সচিব হবে, Magistrate, TNO, এই হবে, সেই হবে। এর বাইরে আমাদের সন্তানদের নিয়ে বৃহত্তর কোনো মহৎ লক্ষ্য নেই।
আমরা উপলব্ধি করছি না- তারা তো শুধু আমাদের সন্তানই নয়। তারা রাসুল (সা.) এর রেখে যাওয়া উম্মত। তিনি রহমাতুল্লিল আলামিন, সারা বিশ্বের জন্য রহমত। বিদায় হজের ভাষণে রাসুল (সা.) বললেন, তোমরা যারা উপস্থিত আছো, তারা অনুপস্থিতদের কাছে আমার বার্তা পৌঁছে দাও।’ কী বার্তা? রাসুল (সা.) বললেন, ‘প্রচার করো, যদি একটিমাত্র আয়াতও হয়।’ (বুখারি: ৩৪৬১) ।

হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, আস্তিক-নাস্তিক সব বনি আদমের কাছে পৌছে দাও হেদায়েতের বাণী, দ্বীনের বার্তা, তাওহীদের পয়গাম। কারণ এ উম্মত হলো কল্যাণকামী উম্মত। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মত, যাদেরকে মানুষের কল্যাণের জন্য বের করা হয়েছে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১১০)।

পৃথিবীতে অন্য জাতিরা একার ভালো নিয়ে পড়ে থাকতে পারে। কিন্তু একজন ঈমানদার শুধু নিজের ভালো নিয়ে পড়ে থাকতে পারে না। তার দায়িত্ব নিজে ভালো থাকা এবং অন্যের ভালো চাওয়া। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘দ্বীন হলো নসিহা (অপরের মঙ্গলকামিতা)।’ (মুসলিম: ৫৫)।
আমার-আপনার সন্তানরা তাই পুরো জাতির জন্য সম্পদ ও আমানতদার। জাতির দায়িত্ব তাদের কাঁধে আর তাদের দায়িত্ব আমাদের কাঁধে। এই সন্তানকে যদি আমি প্রকৃত চেতনাবান ঈমানদার হিসেবে গড়ে যেতে পারি তাহলে তারা হবে আসহাবে কাহাফের যুবকদের মতো ঈমানদীপ্ত তাওহিদী যুবক। আমরা চলে গেলে তারা আমাদের জন্য দোয়া করবে- রাব্বির হামহুমা, কামা রাব্বায়ানি সাগিরা।’ (হে আমার প্রতিপালক, তাদের উভয়ের প্রতি রহম করো; যেমন তারা আমাকে শৈশবকালে লালন-পালন করেছেন)। (সুরা বনি ইসরাইল: ২৪)।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা নেক বান্দার মর্তবা জান্নাতে বুলন্দ করবেন, সে বলবে, হে আমার রব এটা আমার জন্য কীভাবে হলো? তিনি বলবেন, তোমার জন্য তোমার সন্তানের ইস্তেগফারের
কারণে।’ (আহমদ)।
এমন সন্তান তৈরী করার কোনো লক্ষ্য আমাদের আছে? যে সুরা না পড়লে নামাজ হয় না, সেই সুরা ফাতিহা কি আপনার সন্তান শুদ্ধভাবে পড়তে পারে? ওকে ছোট্টবেলায় মক্তবে দিয়েছিলেন তাতেই আপনার দায়িত্ব শেষ। সে ইসলামের বেসিক নলেজ রাখে না। হালাল-হারাম জানে না। তাকে আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ে দিচ্ছেন মানে সাগরে ছেড়ে দিচ্ছেন। সাগরে অনেক প্রজাতির হিংস্র প্রাণী আছে, যা তাকে যে কোনো সময় আক্রমণ করতে পারে। তেমনি ভার্সিটিতে ছেলেমেয়েরা ভর্তি হলেই তাকে গার্লফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ড ধরতে হয়, না হলে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অচল মনে করা হয়। আপনি
আপনার সন্তানকে সাবালক হওয়ার সময় দ্বীনের মৌলিক জ্ঞান কী কী শিখিয়েছেন? প্রিয় বন্ধুরা, সুরা কাহাফ আল্লাহ দিয়েছেন। অনেক দামী ও ফজিলতের একটি সুরা। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করবে, তার (ঈমানের) নূর এ জুমা হতে আগামী জুমা পর্যন্ত চমকাতে থাকবে।’ মিশকাত ২১৭৫)। আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের প্রথম (অপর বর্ণনামতে, শেষ) ১০ আয়াত মুখস্ত করবে সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে হেফাজত থাকবে।’ (মুসলিম: ৮০৯) ।

সুরা কাহাফ তিলাওয়াত করতে ও মুখস্থ করতে বলা হচ্ছে, উদ্দেশ্য কী? উদ্দেশ্য হচ্ছ,একটি সমাজের মেরুদন্ড হচ্ছে যুব সমাজ। সেই যুব সমাজ বা যুবকরা কেমন হবে, সেই মডেলের রূপরেখা আলোচিত হয়েছে সূরা কাহাফে। সুতরাং সূরা কাহাফ পড়ুন, সেই ধরনের যুবক গড়ুন। ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, প্রাতিষ্ঠানিক ও রাষ্ট্রীয়ভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করুন। দেশের ও পরিবারের দায়িত্বশীল অভিভাবকদের নিকট প্রত্যাশা নিজ সন্তান থেকে শুরু করে নতুন প্রজন্মের প্রতিটি নাগরিক ভালো, সুন্দর ও আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে আন্তরিক দায়িত্ব এবং কর্তব্য মনে করে অগ্রণী ভূমিকা রাখবো , ইনশাআল্লাহ।
লেখক: গাজী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জাবির, ধর্ম ও সমাজ বিশ্লেষক, সাংবাদিক ও চেয়ারম্যা-গাউছিয়া ইসলামিক মিশন, কুমিল্লা।
#

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন