1. provatsangbad@gmail.com : প্রভাত সংবাদ : প্রভাত সংবাদ
  2. mdjoy.jnu@gmail.com : dainikjoybarta.online : Shah Zoy
মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫৩ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
কুমিল্লা বুড়িচংয়ে মাদকমুক্ত ও সুশিক্ষিত সমাজ গড়ার লক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মেডিকেল শিক্ষা : জ্ঞান, দক্ষতা ও মনোভাব কুমিল্লায় ফেন্সিডিলসহ ভারতীয় নাগরিক আটক কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার চালকসহ নিহত-৭ কুমিল্লা টাউনহলের এডহকসহ ২টি উপ কমিটি ঘোষণা আসুন শীতার্ত অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াই কুমিল্লা বুড়িচং ফকির বাজার ইসলামিয়া ছুন্নিয়া আলিম মাদ্রাসায় কৃতি শিক্ষার্থী ও শিক্ষক বিদায় সংবর্ধনা কুমিল্লা মনোহরগঞ্জের মৈশাতুয়ায় বিএনপির কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হাসিনাবিরোধী আন্দোলনে যাঁরা ছিলেন সবাইকে নিয়ে একটি জাতীয় সরকার গঠিত হবে : বরকত উল্লাহ বুলু কুমিল্লা দাউদকান্দিতে স্লোগান দিতে গিয়ে যুবদল নেতার মৃত্যু

১০০ কূপ খননের পরিকল্পনা নিয়েছে পেট্রোবাংলা, বাপেক্স একাই ৬৮ কূপের দায়িত্ব নিতে আগ্রহী

  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪
  • ১০৭ বার পড়া হয়েছে

প্রভাত সংবাদ ডেস্ক।। দেশে স্থানীয় উৎস থেকে গ্যাস উৎপাদন বাড়াতে পেট্রোবাংলা ২০২৬-২৮ সালের মধ্যে স্থলভাগে ১০০ কূপ খননের পরিকল্পনা নিয়েছে। এসব গ্যাসকূপ থেকে গ্যাস উত্তোলনে তিনটি বিতরণ কোম্পানির আওতায় খনন করা হবে। এর মধ্যে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) একাই ৬৮টি কূপের দায়িত্ব নিতে আগ্রহী। তবে তিন বছরের মধ্যে বিপুলসংখ্যক এসব কূপ খনন বাপেক্সের একার পক্ষে সম্ভব কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাছাড়া এ কাজের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থসংস্থানেও বড় ধরনের অনিশ্চয়তা রয়েছে। পেট্রোবাংলা সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বর্তমানে দেশে গ্যাসের প্রকৃত চাহিদা রয়েছে ৩৮০ কোটি ঘনফুট। গ্যাসের ঘাটতি মেটাতে এবং আমদানিনির্ভরতা কমাতে স্থানীয় গ্যাস অনুসন্ধানে জোর দিয়েছে পেট্রোবাংলা। সে লক্ষ্যে পেট্রোবাংলা স্থানীয় কোম্পানি ও বিভিন্ন দেশী-বিদেশী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কাজ করছে। স্থানীয় উৎস থেকে গ্যাস উৎপাদন বাড়ানোর জন্য পেট্রোবাংলা বদ্ধপরিকর। এজন্যই ১০০ কূপ খননের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। জ¦ালানি বিভাগে চিঠি পাঠানো হয়েছিল, সেখান থেকে অনুমতি পাওয়া গেছে। প্রস্ততি আগেই নেয়া হয়েছে, যাতে দ্রুত অর্থের সংস্থান করা যায়। সূত্র জানায়, জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে যে ১০০টি কূপ খনন করা হবে, তার মধ্যে ৬৯টি অনুসন্ধান কূপ। বাকি ৩১টি বিদ্যমান কূপের ওয়ার্কওভার করা হবে। এর মধ্যে একাই ৬৮টি কূপ খননের মাধ্যমে বাপেক্স জাতীয় গ্রিডে ২০২৮ সাল নাগাদ দৈনিক আরো ১৩৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস যুক্ত করতে চায়। এ হিসাব বিবেচনায় নিলে বাপেক্সকে বছরে ২২টিরও বেশি কূপ খনন করতে হবে। বাকি ৩২টি কূপ খনন করবে গ্যাস উত্তোলন কোম্পানি বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (বিজিএফসিএল) ও সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল)। ১০০ কূপ খননে মোট ১৯ হাজার ৫০ কোটি টাকা ব্যয় প্রাক্কলন করা হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১৩ হাজার ৩২৮ কোটি এবং গ্যাস উন্নয়ন তহবিল (জিডিএফ) ও কোম্পানির নিজস্ব অর্থায়ন প্রাক্কলন করা হয়েছে ৫ হাজার ৭২২ কোটি টাকা। সূত্র আরো জানায়, জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ বাড়াতে বর্তমানে ৪৮টি কূপ খননের প্রকল্প চলমান। এর মধ্যে বাপেক্স ২২টি কূপ খননের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে, যার মাধ্যমে সংস্থাটি দৈনিক ২৮১ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যুক্ত করতে চায়। যদিও চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১২৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের নিশ্চয়তা পাওয়া গেছে। এ পরিস্থিতিতে পেট্রোবাংলা নতুন করে তিন বছরে ১০০ কূপ খননের যে পরিকল্পনা নিয়েছে সেটিকে জ¦ালানি বিশেষজ্ঞরা উচ্চাভিলাষী বলছেন। তাদের মতে, এর চেয়ে কম লক্ষ্য নিয়ে এগোলে প্রাপ্তিটা আরো বেশি হতো। তাছাড়া বাপেক্সের একার পক্ষে এত স্বল্প সময়ে কূপ খননেরও অভিজ্ঞতা নেই। তাছাড়া কূপ খননের জন্য বাপেক্সের চারটি রিগ রয়েছে। আর একটি রিগের পুনর্বাসনের কাজ চলমান। বর্তমান সক্ষমতা অনুযায়ী দেশের স্থলভাগে প্রতিটি কূপ খননে বাপেক্সের তিন-চার মাস সময় প্রয়োজন। সে হিসেবে নতুন পরিকল্পনায় তিন বছরে সংস্থাটির ১২টির বেশি কূপ খনন করা সম্ভব নয়। এদিকে বর্তমানে জাতীয় গ্রিডে প্রতিদিন ২৬০ কোটি ঘনফুটের মতো গ্যাস যুক্ত হচ্ছে। এর মধ্যে বাপেক্স সরবরাহ করছে সাড়ে ১৪ কোটি ঘনফুট। চলমান ২২টি কূপ খননের প্রকল্প থেকে আরো ২৮ কোটি ১০ লাখ ঘনফুট গ্যাস যুক্ত করার কথা রয়েছে। এ ছাড়া ৬৮টি কূপ থেকে আরো ১০৭ কোটি ঘনফুট। সব মিলিয়ে ২০২৮ সাল নাগাদ জাতীয় গ্রিডে বাপেক্সের মোট গ্যাস সরবরাহ লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়াবে ১৫০ কোটি ঘনফুট। অন্যদিকে এ বিষয়ে বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ শোয়েব জানান, নিজস্ব রিগ, জনবল ও কারিগরি দক্ষতায় বাপেক্স ৬৮টি কূপ খনন করবে। পেট্রোবাংলার বৃহৎ এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দুই বছর আগে থেকেই প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। তবে বাপেক্সের একার পক্ষে তো আর এত কূপ খননে বিনিয়োগ করা সম্ভব নয়। তাই এসব প্রকল্পে অর্থায়ন সরকার নিজেই করবে। গ্যাস উত্তোলনে আমাদের যে লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়েছে, সেটি পূরণ করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে।
সূত্রঃ দৈনিক জনতা
#

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন