1. provatsangbad@gmail.com : প্রভাত সংবাদ : প্রভাত সংবাদ
  2. mdjoy.jnu@gmail.com : dainikjoybarta.online : Shah Zoy
বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩৯ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
যুগে যুগে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কুমিল্লা(দঃ)জেলা জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের আহব্বায়ক কমিটি গঠন; তাজুল ইসলাম আহবায়ক, জালাল সদস্য সচিব চৌদ্দগ্রাম হোসেনপুরে বন্যার পানিতে ভেসে গেছে কোটি টাকার মাছ; সর্বস্ব হারিয়ে দিশেহারা দুই ভাই কুমিল্লায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, চলছে ঘরে ওঠার প্রস্তুতি ব্রাহ্মণপাড়ায় বাড়ির উঠানে আসা বন্যার পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু বুড়িচংয়ে বন্যার্তদের পাশে আলোকিত যুব উন্নয়ন সংস্থা কুমিল্লা জেলা ও মহানগর শ্রমিক দলের উদ্যোগে বন্যার্তদের মাঝে ত্রান বিতরন বুড়িচংয়ে বন্যা কবলিত দুই শতাধিক পরিবারের মাঝে জিকরুল্লাহ ইসলামীয়া যুব কমিটির ত্রাণ বিতরণ কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে বন্যা কুমিল্লায় অনুমতি ছাড়া ক্যাম্প ত্যাগ করায় চাকুরি হারালেন ৯৬ আনসার

দারুহরিদ্রা’র যত ভেষজ ঔষধি গুণ!

  • প্রকাশিত: শনিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৪
  • ৫১ বার পড়া হয়েছে

প্রভাত সংবাদ ভেষজ ডেস্কঃ দারুহরিদ্রা গাছ ৩ থেকে ৭ বা ৮ ফুট পর্যন্ত উচু হলেও শাখাগুলি নিম্নভিমূখী, পাতাগুলির কিনারা (ধার) দাঁতযুক্ত, শাখাগ্রে সরু সরু কাঁটা থাকে, কিন্তু এই গাছ সমতলে হয় না। নীলগিরি ও হিমালয়ের বিভিন্নপ্রান্তে সাধারণত ৩ থেকে ১১ হাজার ফুট উচ্চতার মধ্যে জন্মে। দারুহরিদ্রা গাছের ফুল হয় বসন্তকালে আর ফল হয় গ্রীলকালে। এই গাছের ছোট কিসমিসের মতো শুকনো ও টক ফলগুলি ইউনানি চিকিৎসক ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করে। দুই প্রজাতির দারুহরিদ্রা পাওয়া যায় এদের বৈজ্ঞানিক নাম Berberis aristata এবং Berberis asiatica. এই দুই ধরণের গাছই ঔষধ হিসাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

ঔষধি গুণ:
************

ব্রণ বা মেচেতায়: এই কাঠ ঘষে চন্দনের মতো করে লাগালে বিশেষ উপকারী পাওয়া যায়।

মুখের ক্ষতে: এই কাঠ ঘষা মধুর সঙ্গে মিশিয়ে লাগালে উপশম হয়।

রক্তপ্রদরে: (মেনোরিজিয়া, Menorrhagia) এই গাছের ছালের ক্বাথ ব্যবহার করতে হয়।

শ্বেতপ্রদরে: (লিউকোরিয়ায়, Leucorrhoea) এর ক্বাথ ব্যবহার, এমনকি কাঠ ঘষে চন্দনের মতো করে (১ চামচ) দুধ সহ খেলে উপকার হয়।

রক্তার্শে (Bleeding piles): এই বনৌষধিটি ব্যবহারের কথা চরকে কয়েক বার বলা হয়েছে, তাছাড়া ওয়াট সাহেবের গ্রন্থেও দেখা যায় যে, ডাক্তার পানি (Dr. Panny) ৫-১০ গ্রেণ মাত্রায়, ঐ কাঠ থেকে তৈরী রসোত মাখনের সঙ্গে ব্যবহার ক’রতে (খাওয়ার জন্য) দিতেন এবং ঐ রসোতের জল তৈরী করে অর্শের বলি ধুতে বলতেন। তবে বর্তমান সময়ে ভাল রসোত যখন পাওয়া যাচ্ছে না, তখন ঐ কাঠ যথা নিয়মে সিদ্ধ করে সেই জল ব্যবহারে ক্ষতি কি?

ব্রণের গর্ত পূরনে (ঘা পুরাবার জন্য): দারুহরিদ্রার সিদ্ধ ক্বাথ তৈলের সঙ্গে পাক করে সেই তৈল ক্ষতে ব্যবহার করলে ক্ষতটি তাড়াতাড়ি পরে যাবে। এক্ষেত্রে যতখানি তৈল (তিলের) নিতে হবে, তার দ্বিগুণ দারুহরিদ্রা নিয়ে ক্বাথ করতে হবে। এ পদ্ধতি আয়ুর্বেদীয় তৈল পাকের।

পিষ্টক মেহে: যাদের প্রস্রাব চটচটে রকমের হয়, তাঁরা এই দারুহরিদ্রা আর হলুদ সমপরিমাণ নিয়ে (৬ গ্রাম পরিমাণে) ক্বাথ করে প্রত্যহ সকালে কাঁচা দুধ মিশিয়ে খাবেন। (এটা সুশ্রুতের যোগ।)

কোষ বৃদ্ধিতে (Hydrocele): মেদস্বী দেহ, শরীরে কফের প্রাধান্য যেখানে, সেক্ষেত্রে দারুহরিদ্রার কাষ্ঠ ১ থেকে ২ গ্রাম নিয়ে থেতো করে পানি দিয়ে বেটে সেটা ছেকে খেতে হবে।

নেত্ররোগে: গরম জলে দারুহরিদ্রা (৩ গ্রাম) থেতো করে ভিজিয়ে রাখতে হবে। ৪। ৫ ঘণ্টা অন্তর খেতে দিলে চোখ লাল, ব্যথা, ফুলা, জলঝরা, পিচুটি পড়া ইত্যাদি নিবৃত্তি পায়। (এটাও বাগভটের।)
তথ্যসূত্রঃ চিরঞ্জীব বনৌষধি।

#

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন