মোহাম্মদ শাহ্ আলম শফি।। সম্প্রতি ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বন্যার কবলে পরে কুমিল্লা জেলার ১৪ট উপজেলা। তার মধ্যে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ডাকাতীয়া নদীর পানিতে ডুবে যায় উপজেলার অধিকাংশ নিচু এলাকা । এতে পানিতে ভেসে গেছে হোসেনপুর গ্রামের
দুটি দিঘীর প্রায় ৭ মেট্রিক টন মাছ। যার আনুমানিক মুল্য ১ কোটি টাকারও বেশি।
উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, চৌদ্দগাম উপজেলার ৪নং শ্রীপুর ইউনিয়রে ডুমুরিয়া গ্রামের সলিম উদ্দীনের ছেলে আমান উল্লাহ ও তার ভাই আহছান উল্লাহ একই এলাকার হোসেন পুরে দুটি দিঘীতে প্রায় দুই বছর যাবৎ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করে আসছে কিন্তু বন্যার কবলে পরে এখন নিঃস্ব হয়ে পড়েছে দুই ভাই।
মৎস্য চাষি আহছান উল্লাহ জানা, বন্যায় আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে। চোখের পলকে আমার দীর্ঘ দিনের কষ্টার্জিত মাছের খামার নিমিষেই শেষ হয়ে গেল। আমার আর কিছুই রইল না। পথে বসে গেলাম। ব্যাংক ঋণ, কর্মচারীদের বেতন, ফিড ও ঔষধ কোম্পানির বকেয়া টাকা কিভাবে পরিশোধ করবো জানিনা। হাউমাউ করে কান্না জড়িত কন্ঠে কথা গুলো বলছিলেন মৎস্য চাষী আমান ইল্লাহ ও তার ভাই আহছান উল্লাহ। তারা আরো বলেন, ব্যাংক লোন, আত্মীয় স্বজন থেকে ধার নিয়ে ও নিজের কাছে যা ছিল সবকিছুই খামারে বিনিয়োগ করেছি। প্রায় ২৪০ একর জায়গায় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ উৎপাদন করে আসছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ ভালো ভাবে আমার ব্যবসা চলছিল। বন্যার আগে কোটি টাকার মালিক ছিলাম, আর এখন আমরা পথে বসে গেলাম, দেনার দায়ে দিশেহারা।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শেফাউল আলম জানান, বন্যায় চৌদ্দগ্রামে মৎস্য ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ উপদেষ্টা, সচিব ও মহাপরিচালক মহোদয় চৌদ্দগ্রাম পরিদর্শন করেছেন। ওইসময় আমরা প্রস্তাব করেছিলাম ব্যাংক লোন ছয় মাস থেকে এক বছর যেন না নেওয়া হয় এবং স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়া হয়। এছাড়া মৎস্য চাষে উপকরণ দ্রুত যেন দ্রুত সময়ে দেওয়া হয়। যাতে করে তারা আবারও মাছ চাষে মনোযোগী হতে পারে।
#