গাজী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জাবির।। বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী পৌষ ও মাঘ এই দুই মাস শীতকাল।
শীতের সকাল এক অপরূপ সৌন্দর্যে বাংলার প্রকৃতি সজ্জিত হয়। সবুজ ঘাসের ডগায় ফোঁটা ফোঁটা শিশির বিন্দু, ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে সূর্যের সোনালি আলো ঘাসের ডগায় জমে ,শিশির বিন্দুর ওপর এসে পড়ে তখন সোনার টুকরো ঝলঝল করে। গ্ৰামের বধুরা পিঠা তৈরি আর খেজুরের রস রান্নায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। বিচিত্র শীতের পিঠার কথা লিখতে কবিরা ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
(শীতের পিঠা নিয়ে এক কবির কবিতা:-শীতের পিঠা, শীতের পিঠা-ঝাল নোনতা বেজায় মিঠা।
পাটিসাপটা, চিতই ভাপা-মালাই ঠাসা কিংবা ফাঁপা।
খেজুরের রসে হাবুডুবু-মাখছে খালা, ভাজছে বুবু)।
এসময় শহরের তুলনায় গ্রামে শীতের প্রকোপ বেশি থাকে ।
গ্রামের শীতের সকালের মতো শহরের শীতের সকালটা এত মনোরম হয় না। শীত ভোগ্যময় এবং রূপময় হলেও-কারো কারো জন্য চরম অভিশাপও।
কারণ,যাদের গরম কাপড়ের অভাব – বসবাসের নির্দিষ্ট জায়গার অভাব -তাদের জন্য শীতকাল নিদারুণ কষ্টের অভিশাপের বটে। বৃদ্ধরা শীতে ঠকঠক করে কাঁপে আর সূর্যের একটু উত্তাপের জন্য সারা রাত, ভোর হওয়ার অপেক্ষায় থাকে ।
শীতকালে অনেক দেরিতে সূর্যের দেখা মেলে,
তাই সূর্যের কাছে আকুতি—হে সূর্য, তুমি তো জানো, আমাদের গরম কাপড়ের কত অভাব, সারা রাত খড়কুটা জ্বালিয়ে এক টুকরো কাপড়ে কান ঢেকে কত কষ্টে শীত কাটে।তবুও সোনার বাংলার খেটে খাওয়া, কৃষক, শ্রমিক জনতা,শত কষ্টের পরও মহান আল্লাহর বিচিত্র দান শাকসবজি, মাঠে মাঠে হলুদ সর্ষে ফুলের সমারোহ দেখে, আর অন্যদেশের পাখিগুলো শীত এলেই তাদের নীড় খোঁজে নেয় বাংলার বুকে, তা দেখে শত কষ্টের মাঝেও আনন্দে মেতে ওঠে আর বাংলার কৃষক শ্রমিক মেহনতি জনতা।
#