প্রভাত সংবাদ প্রতিবেদক।। শত বছর ধরে চলাচল করে আসা রাস্তা উদ্বারের দাবীতে বিক্ষোভ ও সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীরা, মঙ্গলবার (১৩মে) বিকেলে দূর্গাপুর উত্তর ইউনিয়ন এর দূর্গাপুর জিন্নত আলী ও চাপরাশি বাড়ীর প্রায় ৫০ টি পরিবার।
শত বছরের পুরনো রাস্তা হঠাৎ করে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে গঠনের পরপরই ৫০ টি পরিবারের রাস্তা বন্ধ করে দেন একই বাড়ির বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম। প্রথমে পুকুর কেটে রাস্তা সরু করেন, পরে দেয়াল নির্মান করে স্থায়ী ভাবে বন্ধ করে দেন তিনি। একাধিক বার সালিশ বৈঠকে বসলে তার আত্নীয় আওয়ামী লীগ নেতা আজাদ ও কামালের দাপটে কোন কিছুকে তোয়াক্কা না করে ৫০ টি পরিবার কে কষ্ট দিয়ে আসছে।
চলাচলের রাস্তা না থাকায় এই পরিবার গুলোর ছেলে মেয়েদেরকে বিয়ের সম্মন্ধে ও বাদা আসে, স্বাভাবিক চলাচল বিগ্ন হচ্ছে। এ পরিবার গুলোর ছেলেমেয়েরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যেতে পারেনা, এমনকি একজন মানুষ মারা গেলে সেই মৃত্য ব্যাক্তির লাসটা সঠিকভাবে নেওয়ার মতো যায়গাটুকু নাই ।
সর্বশেষ এ পরিবার গুলোর জমির পানির লাইন ও কেটে ফেলে জাহাঙ্গীর গং।সর্বশেষ তাদের জমিতে কাজ করতে আসা লোকদের ও এ রাস্তা ব্যাবহারের কারনে মারধর করার অভিযোগ করেন।এ নিয়ে কোতয়ালী মডেল থানা ও জেলা প্রশাসক বরাবর একাধিক অভিযোগ করেছেন, কিন্তু ক্ষমতার অপব্যবহার এর কারনে এর কোন সমাধান হয় নাই দীর্ঘদিনেও । তাই ৫০টি পরিবারের সকলের দাবী প্রশাসন যেন এর একটি সুষ্ঠু সমাধান করে তাদের চলাচলের রাস্তা উদ্ধার করে তাদেরকে সুন্দর ভাবে চলাচলের সুযোগ করে দেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন ভুক্তভোগী বাসার ও মো: ইয়াসিন। এ সময় আব্দুল রাজ্জাক, আব্দুল হাকিম, সাইফুল ইসলাম, আয়েত আলী সহ ভুক্তভোগী ৫০টির ও বেশি পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর আলম বলেন, যে যায়গা নিয়ে অভিযোগ এটাতো সরকারি বা তাদের জায়গা না। আমার ব্যাক্তিগত জায়গা দিয়ে তাদের চলতে দেব কি দেবনা সেটা আমার সিদ্ধান্ত। পূর্বে খালি ছিল সবাই ব্যাবহার করছে, এজন্য তো সারাজীবন তাদের চলাচলের জন্য আমি দিয়ে রাখব না?
#