প্রভাত সংবাদ ডেস্ক : শ্বেতদ্রোন, দন্ড কলস, দল কলস, ধুবরি, দোর কলস, কান শিশা, কাউন শিশা, ধুরপ শাক,ডুলফি, হলকষা, দেবদ্রোন ইত্যাদি নামে পরিচিত এ উদ্ভিদ।
ইংরেজি নাম – Wite Verticillal.
বৈজ্ঞানিক নাম – Leucas indica ( L.) R. br. Ex Vatke.
উদ্ভিদ পরিবার -Lamiaceae.
দন্ডকলস বর্ষজীবী অল্প সংখ্যক শাখা-প্রশাখা বিশিস্ট উদ্ভিদ। দন্ডকলস রবি মেৌসুমে অর্থাৎ শীতকালে রবি ফসলের ক্ষেতে বেশী পরিমাণে জন্মাতে দেখা যায়। ধারণত এটা উঁচু জমিতে বৃদ্ধি এবং বিস্তৃতি বেশী লাভ করে। যেনে নেয়া যাক এর ঔষধি গুনের ব্যবহার সম্পর্কে :-
★ হাঁপানি বা শ্বাস কষ্ট হলে দন্ডকলসের শিকড় তুলে গোল মরিচের সঙ্গে বেটে খুব ভোরে সূর্য উঠার আগে পিড়িতে সূর্য মুখী হয়ে দাঁড়িয়ে ৩ দিন খেতে হয়। এতে উপকার পাওয়া যায়।
★ সর্দি জ্বর হয়ে শরীর ব্যথা হলে দন্ডকলসের পাতা সিদ্ধ করে কালিজিরা, রসুন কাঁচা মরিচ ভেঁজে পাটায় বেটে ভর্তা করে ভাতের সাথে খেলে ব্যাথা দূর হয়।
★ছোট বাচ্চাদের সর্দি হলে পাতা বেটে মায়ের দুধের সাথে মিশিয়ে মাথার চাঁদিতে দিয়ে রাখলে সর্দি ভাল হয়ে যায়। এ ছাড়া ছোট বাচ্চাদের সর্দি হলে দন্ডকলসের ফুলের মধু খাওয়ালে ভাল উপকার পাওয়া যায়।
★ পেট ফাঁপায় ও বদহজম হলে, এই পাতা সিদ্ধ করে ভর্তা করে খেলে সেই দোষটা সেরে যাবে।
★ বাচ্চা এবং বড়দের চোখে ছানি পড়ে বা পানি পড়ে সেই সময় ২ ফোঁটা রস দিলে ভাল উপকার পাওয়া যায়।
★ শরীরে বিষ ব্যথা হলে বা বাতের ব্যথায় দন্ডকলস ছেঁচে রস করে খেতে দেয় এতে উপকার পাওয়া যায়।
★ গর্ভবতী মা ও শিশুদের খিচুরি ও জাও ভাতের সাথে সিদ্ধ দিয়েও এই শাক খাওয়ানো হয়।
★ পেটে কৃমি হলে এই শাক ভেজে খাওয়ালে তার উপশম হয়।
★ এই গাছ পাটায় বেটে রস বের করে হালকা গরম করে বাচ্চাদের বুকে মালিশ করে দিলে সর্দি-কাশি ভালো হয়ে যায়।
★ গবাদিপশু বিশেষ করে ছাগলের পেটে পীড়া ও মুত্র রোগ নিরাময়ের ক্ষেত্রে দলকলস শাকের পাতার রস পিষে খাওয়ালে উপকার পাওয়া যায়।
★ ডায়াবেটিস রোগে প্রতিদিন ১০ গ্র্যাম পাতার রস ২টি গোল মরিচের সাথে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
★ কোনো স্থান মচকে গেলে সঙ্গে সঙ্গে শ্বেতদ্রোণের ৫/৬ টি পাতা নিয়ে তার সাথে ৪/৫ ফোটা কেরোসিন তেল ও আধা চিমটি লবণ মেখে মালিশ করলে মচকনো স্থান ভালো হয়ে যায়।
★ দীর্ঘ দিনের পুরনো কাশি থাকলে কয়েক দিন ধরে অল্প কয়েকটি পাতা বেজে খেলে কাশি ভালে হয়।
★ সর্দির কারণে মাথা ধরা হলে ২০/২৫ টি পাতা পিষে রস করে সামাণ্য লবণ দিয়ে খেলে ৩/৫ দিনে ভালো হয়।
★খোস পাচড়ায় পাতা বেটে পেস্ট করে লাগালে খোস পাচড়া ভালো হয়।
সূত্র : ভারতীয় বনৌষধি।