প্রভাত সংবাদ ডেস্ক : বৈজ্ঞানিক নাম: Glycosmis pentaphylla. বাংলা নাম: দাতমাজন, মটকিলা; বনজামির, কওয়াটুটি, মটমটি, আশশেওড়া, ইংরেজি নাম: Toothbrush Plant, Motar tree. আদিবাসি নাম: তাতিয়াং (মারমা), হতিজ্ঞিরা (চাকমা), সি মা সেরে (মারমা), মোয়াতন (গারো).
সারেদেশের গ্রামীণ জঙ্গলে, রাস্তার দুই ধারে, জমির আইল, বাড়ির পেছনে, পুরনো দালানের ইটের খাঁজে, পুকুর পাড়ে, নদীর ধারে, ঘন ঝোপের আড়ালে। সর্বোপরি প্রায় সকল জায়গাতেই জন্মাতে, বেড়ে ওঠতে পারে এরা। কোনো যত্নের প্রয়োজন নেই এই গাছে।
বীজ এবং অর্ধ পরিণত শাখা কলম দ্বারা চারার জন্ম হয়। ফুল ও ফল ধারণ ঘটে সারা বর্ষব্যাপী। চারা বীজ থেকেও জন্মায়। দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, ফিলিপাইন, দক্ষিণ চীন, অষ্ট্রেলিয়া এবং বাংলাদেশের সর্বত্র পাওয়া যায়।
আশশেওড়া-এর ঔষধ হিসাবে ব্যবহার:
ভারতীয় ঐতিহ্যগত ঔষধে উদ্ভিদটি ডায়রিয়া, কাশি, বাতজ্বর, রক্তশূন্যতা এবং জন্ডিসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। পাতার রস ব্যবহৃত হয় জ্বর, যকৃৎ পীড়া এবং কৃমিনাশকে।
পাতা আদার সাথে মিশ্রিত করে লেই তৈরী করা হয় যা চর্মরোগ এবং অন্যান্য চর্ম পীড়ায় ব্যবহৃত হয়। মূল সিদ্ধ কৃাথ মুখমন্ডলের প্রদাহে ব্যবহৃত হয়।
জাতিতাত্বিক ব্যবহার:
জাভায় মূল সিদ্ধ কৃাথ পিত্তাধিক্য আক্রমণে ব্যবহৃত। পাতা এবং মূল সিদ্ধ কাথ অন্ত্রের সমস্যায় ব্যবহার করা হয়।
ভিয়েতনামের লোকজ ঔষধে, থেতলাতো পাতা মহিলাদের সন্তান প্রসবের পর ক্ষুধাবর্ধক হিসেবে পরামর্শ দেয়া হয়।
এছাড়া তাইওয়ানের লোকজ ঔষধে, চুলকানি, স্ক্যাব, উত্তেজনা এবং আলসারের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
তথ্য সূত্র : বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ।
প্র/ স