প্রভাত সংবাদ ডেস্ক : গবেষকরা বলছেন, পেঁয়াজের আছে অনেক গুণ। এটি হৃদরােগের ঝুঁকি একেবারেই কমিয়ে দেয়। আর এ ঝুঁকি কমানাের পেছনে কাজ করে ফ্ল্যাভােনয়েড়স নামক এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ, যা পেঁয়াজে প্রচুর পরিমাণে আছে। একদল গবেষক একই ধরনের যৌগ কেসেঁটিন নিয়ে গবেষণা করে দেখেছেন- চা, পেঁয়াজ ও আপেলের মধ্যে এ ধরনের উপাদান
আছে প্রচুর পরিমাণে।
কের্সেটিন মানবদেহে এন্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, কের্সেটিন মরণব্যাধি ক্যান্সার প্রতিরােধে সহায়ক। বিশেষ করে প্রােস্টেট ক্যান্সার রােধে এটি সবচেয়ে বেশি কার্যকর। মানবদেহে কের্সেটিন যৌগ ভেঙে যাওয়ার পর মূলত এর প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। এটি দেহের বিভিন্ন অঙ্গের বাড়ন্ত ক্ষত বা প্রদাহ রােধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
কলিজা জ্বালাপােড়া বড় ধরনের একটি রােগ। এ রােগে অনেকেই আক্রান্ত। গবেষণায় দেখা গেছে, কের্সেটিন আমাদের হজমযন্ত্র ও কলিজার কার্যকারিতায় খুব কম সময়ে শরীরে শােষিত হয়। যে কারণে এর উপস্থিতি মানবদেহের রক্তে
পাওয়া যায় না। এর কারণ হিসেবে গবেষকরা বলছেন, কের্সেটিন রক্তপ্রবাহে প্রবেশ করার পরই ক্রিয়ায় অংশ নেয়ার মাধ্যমে শােষিত হয়। গবেষণায় আরও দেখা গেছে, কম মাত্রায় এ ধরনের যৌগসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণে এর প্রভাব বেশি
কার্যকর।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের খাবার গ্রহণের ফলে হৃদরােগের ঝুঁকি অনেকটা কমে আসে। এছাড়া কেসেটিন হতাশা ও
দুশ্চিন্তা রােধেও কার্যকর। হতাশা কিংবা দুশ্চিন্তা না থাকলে জীবাণু যত মারাত্মকই হােক, মানবদেহের কাছাকাছি ঘেঁষতে পারে না। তাই চালের চেয়েও সস্তা পেঁয়াজ খেয়ে হৃদরােগের ঝুঁকি কমানাে যায় সহজেই।
তথ্য সূত্র : Medicinal planks & Prosits off Bangladesh und Their Uses.
প্রভাত সংবাদ /র আ