প্রভাত সংবাদ ডেস্ক: উঠতে বসতে ট্রোল হন নুসরত জাহান । ব্যক্তিগত জীবনে সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে কটাক্ষ থেকে বডি শেমিং এরও শিকার হতে হয় সাংসদ অভিনেত্রীকে। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মুখ, ঠোঁট ফুলে যাওয়া নিয়ে ট্রোল হয়েছিলেন তিনি। সেই ট্রোল পিছু ছাড়ল না এত মাস পরেও।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয় থাকেন নুসরত। এক সময় তো দেদারে টিকটক ভিডিও বানাতেন তিনি। দু বছর আগে দেশে টিকটক ব্যান হয়ে যাওয়ার রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তিনি। এমনকি নাসা থেকে বিজ্ঞানীদের এনে টিকটকের মতো অ্যাপ বানানোর দাবিও তুলেছিলেন অভিনেত্রী।
তারপর এল ইনস্টাগ্রাম রিল ভিডিও। তবে বিভিন্ন কারণে আর আগের মতো রিল বানাতে দেখা যায় না নুসরতকে। বেশ কিছুদিন পরে তাঁর রিল ভিডিওতে টিকটকের ছোঁয়া পেলেন নেটিজেনরা। বিশেষ ‘ফিল্টার’ ব্যবহার করে ইংরেজি গানের সঙ্গে লিপ সিঙ্ক করে একটি ভিডিও বানিয়েছেন নুসরত।
ভিডিওতে সমস্ত ফোকাস কেড়ে নিয়েছে অভিনেত্রীর ঠোঁট। ফিল্টারের কারণেই সম্ভবত একটু বেশিই ফোলা লাগছে নুসরতের ঠোঁট দুটো। ব্যস, নেটিজেনরা ট্রোল করার লোভ সামলাতে পারেনি। কারোর মতে, নুসরতের ঠোঁটগুলো বেলুনের মতো লাগছে। আবার একজনের মন্তব্য, ‘বিষাক্ত ঠোঁট’। এমনকি নুসরতকে ‘ডাইনি’ বলতেও ছাড়েননি নিন্দুকরা। অবশ্য প্রশংসাও কম পাননি অভিনেত্রী। তবে কোনো কমেন্টেরই উত্তর দেননি তিনি।
রবিবার ‘দাদাগিরি’ যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে খেলতে এসেছিলেন নুসরত। এদিনের পর্বে যশ জানান, ঈশানের জন্মের ঠিক পরপর একদমই রাতে ঘুমাতে পারতেন না তাঁরা। কারণ ছেলে ঠিক রাত তিনটে সাড়ে তিনটেয় জেগে যেত। তাই বাধ্য হয়ে জাগতে হত তাঁদেরও। তখনি যশের মাথায় একটা ‘দুষ্টু’ বুদ্ধি আসে। আর সেজন্য আগেভাগেই মা নুসরতের অনুমতি নিয়ে নিয়েছিলেন তিনি।
কী সেই বুদ্ধি? যশ জানান, একরত্তি ছেলেকে সারাদিন জোর করে জাগিয়ে রাখতেন তিনি। ফলে রাতে ঈশান ঘুমালে আর মাঝরাতে জেগে যেত না। যশ নুসরতও একটি শান্তির ঘুম পেতেন। ওভাবে কিছুদিন চলার পর ঈশানের ওটাই অভ্যাস হয়ে যায়। এখন আর কোনো অসুবিধা হয় না।
#বা/হা/নি