1. provatsangbad@gmail.com : প্রভাত সংবাদ : প্রভাত সংবাদ
  2. mdjoy.jnu@gmail.com : dainikjoybarta.online : Shah Zoy
শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ০৭:০৪ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
গোমতী নদীতে মাটি কাটার ব্যাপারে কোনো প্রকার ছাড় দেয়া হবে না- জেলা প্রশাসক কুমিল্লা সংযম সাধনার মাসে বাজারে ভোগান্তি কেন? দেশে গণতন্ত্র উত্তোরণে বড় বাধা মব জাস্টিস বন্ধ চায় ইসলামী ফ্রন্ট  কুমিল্লায় অবৈধ ইটভাটা অপসারনের দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশ দৈনিক ইবি নিউজ ২৪ এর খুলনা বিভাগীয় প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত কুমিল্লা হানকির জলায় অবৈধ ভাবে ফসলি জমির মাটি কাটার বিরুদ্ধে অভিযান, জব্দ ৩ টি ড্রাম ট্রাক,আটক-১ কুমিল্লায় হত্যা মামলায় যুব মহিলালীগ নেত্রী গ্রেফতার কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধে বৃদ্ধকে হত্যা,গ্রেফতার-৮ কুমিল্লায় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে যৌথ তদারকি অভিযান ইফতারের দোয়া ও গুরুত্ব

কুমিল্লা বুড়িচংয়ে পতিত জমিতে আউশের বাম্পার ফলন; কৃষকের মুখে আনন্দের হাসি

  • প্রকাশিত: শনিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২২
  • ২১৭ বার পড়া হয়েছে

নেকবর হোসেন ।। কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার সীমান্ত এলাকার পাহাড়পুরে আউশের সোনালী ফসলে কৃষকের মুখে আনন্দের হাসি। গ্রামের কৃষকরা শ্রাবনের বাতাসে দোল খাওয়া ধান সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছে।

প্রথমবারের মত পতিত জমিগুলোতে সোনালী ফসলের বাম্পার ফলন হওয়ায় এলাকার প্রতিটি কৃষক পরিবারে আনন্দ লক্ষ্য করা যায়। ফসলের মাঠ দেখতে শুক্রবার বিকেলে হাজির হয় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা। কৃষকরা আগামী বছরও এই জমিগুলোতে আউশ ধান রোপন করার স্বপ্ন দেখছেন।
কুমিল্লা বুৃড়িচং উপজেলার সীমান্তবর্তী আনন্দপুর, বেলবাড়ি এলাকায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয় কুমিল্লায় মাঠ দিবসের আয়োজন করে। মাঠ দিবসের আগে প্রথম বারের মতো চাষ করা আউশের জমি পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ড. মোহিত কুমার দে ও কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসানসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

পতিত জমিতে আউশ আবাদ বৃদ্ধি র্কাযক্রমটির পরিকল্পনা ও সমন্বয়কারী অতিরিক্ত কৃষি অফিসার বানিন রায় অতিথিদের বেলবাড়ি মাঠে প্রথমবারের মতো চাষ হওয়া ৭০ বিঘা জমির আউশের মাঠ ঘুরে দেখান।
পরর্বতীতে অতিথিবৃন্দ মাঠের ব্রি ধান ৯৮ জাতের নমুনা শস্য কর্তন ও মাঠ দিবসে অংশগ্রহণ করেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বুড়িচং এর সহযোগিতায় ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয় কুমিল্লা উক্ত মাঠ দিবসের আয়োজন করে।

মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর কুমিল্লা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক ড. মোহিত কুমার দে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয় কুমিল্লা এর প্রধান ও সিএসও ড. মো. রফিকুল ইসলাম। মাঠ দিবসে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লার উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান, বুড়িচং উপজেলা র্নিবাহী অফিসার হালিমা খাতুন, বিএডিসি সুপারইনট্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, বুড়িচং উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. ছামিউল ইসলাম, বক্তব্য রাখেন বাকশীমূল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম সহ অন্যান্যরা। ব্রি এর বিজ্ঞানীবৃন্দ সহ দুই শতাধিক কৃষক-কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন র্উদ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মামুনুর রশিদ। কৃষিবিদ বানিন রায় স্থানীয় কৃষকদের পক্ষে পাগলী খালের উপর স্লুইচ গেট ও খালের পাড় ঘেঁষে উৎপাদিত কৃষি পণ্য পরিবহণের জন্য রাস্তার দাবি জানান। বাস্তবায়িত হলে মাঠের ২০০ বিঘা জমিতে দুই ফসলের পরির্বতে চার ফসল ও ৫০ বিঘা জমিতে বছরব্যাপি সবজি চাষ সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।
পাহাড়পুর গ্রামের বেলবাড়ি মাঠে আউশ আবাদ বৃদ্ধির কার্যক্রমটি ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয় কুমিল্লা এর অর্থায়নে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বুড়িচং কর্তৃক বাস্তবায়িত। ব্রি কুমিল্লার গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রম জোড়দাড়করণ কর্মসূচির আওতায় ইতিপূর্বে ৪০ জন কৃষককে ব্রি ধান ৪৮ ও ব্রি ধান ৯৮ জাতের বীজ সহায়তা, ব্রি হাইব্রিড ধান ৭ জাতের ২ টি প্রর্দশনী, ৬০ বিঘা জমির ২০ কেজি করে ইউরিয়া সার ও ৫৪ জন কৃষক-কৃষানীর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। সকল কার্যক্রম তদারকি করেন উপসহকারি কৃষি অফিসার মো. সাহেদ হোসেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছরের তুলনায় এ বছর বুড়িচং উপজেলায় আউশ আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে ২১০ হেক্টর জমিতে। পতিত জমিতে আউশ আবাদ বৃদ্ধির নানা কার্যক্রম গ্রহণের ফলে এটি সম্ভব হয়েছে বলে জানা যায়। তাছাড়া, প্রায় প্রতিটি গ্রামে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে প্রচলিত ব্রি ধান ৪৮ এর চেয়ে অধিক ফলনশীল ব্রি ধান ৮২, ব্রি ধান ৯৮ ও ব্রি ধান-২১ এর বীজ। এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বিঘা প্রতি ১৬-১৭ মণ ফলন পাওয়া যাচ্ছে জাত গুলোতে। এ বছর আউশে বাম্পার ফলন প্রত্যাশা করছে কৃষি বিভাগ।
#প্রভাত সংবাদ /

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন