1. provatsangbad@gmail.com : প্রভাত সংবাদ : প্রভাত সংবাদ
  2. mdjoy.jnu@gmail.com : dainikjoybarta.online : Shah Zoy
শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫০ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
কুমিল্লা বুড়িচংয়ে হাড়কাঁপানো শীত ও ঘন কুয়াশায় জনজীবন বিপর্যস্ত বাংলার কৃষক শ্রমিক জনতা কুমিল্লা গোমতী নদীর পুরো চর জুড়ে সবুজের সমারোহ।। সবজি চাষ করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা কৃষকদের রক্তস্বল্পতা দূর করতে পারে যেসব খাবার টিপু সুলতান ছিলেন একজন ধর্মনিরপেক্ষ শাসক আধুনিক অপটিকাল সিস্টেম, আলো পথ দেখাচ্ছে ঝিনুক চীনা নরম খোলসধারী কচ্ছপের চাষ, প্রজনন ও চাষ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি ইসলামী ফ্রন্টের বিবৃতি।। ভারতে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ কুমিল্লা বুড়িচংয়ে মাদকমুক্ত ও সুশিক্ষিত সমাজ গড়ার লক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মেডিকেল শিক্ষা : জ্ঞান, দক্ষতা ও মনোভাব

কুমিল্লা গোমতী নদীর পুরো চর জুড়ে সবুজের সমারোহ।। সবজি চাষ করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা কৃষকদের

  • প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৪১ বার পড়া হয়েছে

শিশির সমরাট ।। কুমিলা গোমতী নদীর বাঁধ ভাঙ্গার কারণে সৃষ্ট বন্যায় সব হারানো চরের কৃষকরা আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। সে সাথে প্রকৃতিও যেন তার নিজের রূপ মেলে ধরেছেন।পুরো গোমতী নদীর চরজুড়ে এখন সবুজের সমারোহ।

আকস্মিক বন্যায় সব হারানো কুমিল্লা গোমতী নদীর চরের কৃষকরা আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। বিশেষ করে শীত মৌসুমকে সামনে রেখে তারা নানা রকম সবজি চাষ করে তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে চান।

সম্প্রতি জেলার আদর্শ সদর ও বুড়িচং উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে চলা গোমতী নদীর কুলঘেষা জালুয়া পাড়া, পাঁচথুবী, শালধর, শ্রীপুর, রত্নবতী, বানাসুয়া, পালপাড়া, বাবু বাজার, ষোলনল, গোবিন্দপুর, গোসাইপুর কিং বাজেহুড়া সহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে শীতের সবজি রোপণ ও মাটি চাষে কৃষকদের ব্যস্ত সময় কাটছে। কেউ ট্রাক দিয়ে মাটি চাষ দিচ্ছেন, কেউ কোদাল দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করছেন। এসব জমিতে সারি সারি করে শীতকালীন সবজি ফুলকপি, বাঁধা কপি, মুলা, করলা, চিচিঙ্গা, টমেটো, পালংশাক, ডাটা শাক ও লালশাক রোপণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেকের শাক-সবজির চারা গজিয়েছে। আবার কারো কারো জমির ফলন উত্তোলন করে হাটে নিয়ে যাচ্ছে বিক্রি করার জন্য।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, গোমতীর চরের ৩ হাজার হেক্টর জমিতে ফসল আবাদ করে অনেকেই জীবিকা নির্বাহ করেন ।  তবে এবারের আকস্মিক বন্যায় তাদের প্রচুর জমির ফসল নষ্ট হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, অনেকের ঘরে তুলে রাখা ধান-চালও নষ্ট হয়ে গেছে।

কৃষকরা জানান, ঐ সময় বন্যা বা অতিবৃষ্টি না হলে আমাদের উৎপাদিত সবজি বাজারে যেতো এবং আমরা আর্থিক ভাবে লাভবান হতাম।এতে ক্রেতা-বিক্রেতারাও কিছুটা সুবিধা পেতেন। নতুন চাষ করা ফসল বাজারে যেতে আরও বেশ কয়েক দিন সময় লাগতে পারে। তারা বলেন- বন্যা ও টানা বৃষ্টির কারণে এবার চরের কৃষকরা অনেকটা পিছিয়ে গেছে। তারপরও আমরা আশায় বুক বেঁধেছি। হয়তো শিগগিরই কৃষকদের মুখে হাসি ফুটবে। অনেক কৃষক ঋণ নিয়ে সবজি চাষ করেছেন। অনেকের শ্রমিকের টাকা দেয়ার মতো অর্থ নেই। তাই সীমিত করে নিজেরাই নিজেদের মতো করে চাষ করেছেন।

বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, গোমতীর তীরবর্তী এলাকাগুলোতে এবার স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা হয়েছে। বুড়িচংয়ের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদেরকে উপজেলা কৃষি সম্প্রারণ বিভাগ থেকে বীজসহ আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন সার ও কীটনাষক সরবরাহ করা হবে বলে জানান তিনি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কুমিল্লার উপ-পরিচালক বলেন, চরের কৃষকরা শীতের সবজি চাষের মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। আমরা তাদের মধ্যে বীজসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণ বিতরণ করেছি। তাদের যে কোনো প্রয়োজনে আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য, গত ২২ আগস্ট মধ্যরাতে বুড়িচংয়ের বড়বুড়িয়া এলাকায় গোমতীর বাঁধ ভেঙে যায়। এতে আশপাশের এলাকা খাড়াতাইয়া, নানুয়ারবাজার, গোপীনাথপুর, শিকারপুর, গোসাইপুর কিং বাজেহুড়া ও জগৎপুরসহ অর্ধশতাধিক গ্রাম তলিয়ে যায়। এক সময় এর পরিধি বেড়ে পাশের উপজেলা বাহ্মণপাড়া, দেবীদ্বার, মুরাদনগর, হোমনা, তিতাসেও ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় মাসব্যাপী থাকা বানের পানিতে কমবেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় জেলার ১৪টি উপজেলাবাসী। সরকারি হিসেবে এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ঐসকল এলাকার কৃষকরা।
#

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন