মো.শাহ্ আলম শফি ।। কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার লাটুয়ার বাজার নামের একটি সাপ্তাহিক বাজার ইজারা না থাকার পরও একটি প্রভাবশালী চক্র কিছু অসাধূ সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ম্যানেজ করে খাজনা আদায় করার অভিযোগ উঠেছে। এতে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হলেও চক্রটি হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
স্থানীয় বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা দক্ষিণ ইউনিয়নের গ্রামে লাটুয়ার বাজারটির অবস্থান। দীর্ঘ বছর ধরে বাজারটি দরপত্রের মাধ্যমে ইজারা দিয়ে আসছে সরকার। এতে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব আয় হতো। প্রতি সোমবার ছিল হাট বার । দেশের বিভিন্নস্থান ছাড়াও আশপাশের খামাড়ি,ব্যবসায়ী বা মধ্যস্বত্ত্বভূগী ক্রেতা-বিক্রেতারা গরু কেনা-বেঁচা করতো। চলতি ১৪৩২ বাংলা সনে অজ্ঞাত কারণে বাজারটি সরকারীভাবে দরপত্র আহবান করা হয়নি। অভিযোগ রয়েছে,এই ফাঁকে একটি প্রভাবশালী চক্র রাজনৈতিক পরিচয়ে ভারেল্লা দক্ষিণ ইউনিয়ন তহসিল অফিসের যোগসাজশে নিয়মিত বাজারটি পরিচালনা করে আসছে। যথারিতি বিভিন্ন স্থান থেকে গরু আসছে। লোকজন সমাগম হচ্ছে। বিক্রয় শেষে সরকারীভাবে কোন নির্দেশনা না থাকলেও ক্রেতাদের কাছ থেকে হাসিল বা খাজনা আদায় করছে। আর এভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা চক্রটি হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতি সোমবার বাজার থেকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক সুত্র জানায়, স্বাভাবিক নিয়মে সোমবার বাজার বসলেও গত জুন মাসের ৭ তারিখে ঈদুল আযহা উপলক্ষে চক্রটি টানা ৩ দিন জমজমাট বাজারটি পরিচালনা করে। এথেকে প্রায় ১৩/১৪ লাখ টাকা খাজনা আদায় করে। এছাড়াও চলতি ১৪৩২ বাংলা সনের ১ বৈশাখ থেকে এক পর্যন্ত ( ২২ আষাঢ়) সময়ে আরো কমপক্ষে ৯টি বাজার থেকেও বিপুল পরিমান খাজনা আদায় করেছে। দায়িত্বশীল সুত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাংবাদিকদের জানান, যেখানে সরকার কোন বন্দোবস্ত দেয়নি সেখানে কিভাবে বাজার বসিয়ে লাখ লাখ টাকা খাজনা আদায় করছে বিষয়টি বোধগম্য হচ্ছে না। এবিষয়ে ভারেল্লা দক্ষিণ ভূমি অফিসের তহসীলদার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, আজ সকালে গরু,ছাগল নিয়ে বিক্রেতারা আসছিলো , আমি বাজারটি বসতে দেইনি, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি এবং আমি নিজে এখনও গ্রাম পুলিশ নিয়ে বাজারে অবস্থান করছি। বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.তানভীর হোসেন বলেন স্হানীয় লোকজন বাজার বসানোর চেষ্টা করে, ভুমি কর্মকর্তাসহ আমাদের লোকজন বাজারে আছে, বাজার বসতে দেওয়া হবে না।
#