1. provatsangbad@gmail.com : প্রভাত সংবাদ : প্রভাত সংবাদ
  2. mdjoy.jnu@gmail.com : dainikjoybarta.online : Shah Zoy
সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ০২:২১ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
দক্ষিণ মধ্যম হালিশহরে ঐকতান পরিবার’র রবীন্দ্র জয়ন্তী স্মরণানুষ্ঠান কুমিল্লায় পশুরহাটের ইজারাদারদের সাথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মতবিনিময় সভা কুমিল্লায় আগ্নেয়াস্ত্র সহ কিশোর গ্যাং লিডার গ্রেফতার কুমিলা বুড়িচংয়ে খামার ব্যবস্থাপনা ও সম্প্রসারণ বায়োগ্যাস প্রযুক্তি বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধন কুমিল্লা গোলাবাড়ি সীমান্ত দিয়ে ১৩ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করেছে বিএসএফ কুমিল্লায় পৃথক দু’টি লাশ উদ্ধার কুমিল্লা বুড়িচংয়ে অগ্নিকাণ্ডে ৪টি ঘর পুড়ে ছাই; ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়ায় ডোবার পানিতে পরে মামা ভাগনের মৃত্যু কুমিল্লা বুড়িচংয়ে ৩৬ টাকা দরে বোরো ধান ক্রয় কার্যক্রম শুরু কুমিল্লা বুড়িচংয়ে আ’লীগ নেতা সাহেব আলী চেয়ারম্যান গ্রেফতার

কুমিল্লায় মধ্যযুগীয় কায়দায় চোর সনাক্তের প্রক্রিয়া, কাফন পরিয়ে শোয়ানো হলো কবরে!

  • প্রকাশিত: শুক্রবার, ২ জুলাই, ২০২১
  • ৬৮০ বার পড়া হয়েছে

  প্রভাত সংবাদ প্রতিবেদক।। কুমিল্লায় চোর সনাক্তের জন্য মধ্যযুগীয় কায়দায় জীবিত মানুষকে কাফনের কাপড় পড়িয়ে কবরে শোয়ালেন এক কবিরাজ।

ঘটনাটি ঘটেছে, গত ২৬ জুন কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বাকই উত্তর ইউনিয়নের নুরপুর মুন্সীবাড়ীতে।

ঘটনার বিবরনে জানা যায়, কুমিল্লা লালামাই উপজেলার নুরপুর গ্রামের কাতার প্রবাসী আমিনুল ইসলামের ৮৫ হাজার টাকা চোরি হওয়ার ঘটনায় কথিত কবিরাজ সালাউদ্দিনের পরামর্শ দেন বাড়ির উঠানে কবর খুঁড়ে সন্দেহভাজনদের কাফনের কাপড় পরিয়ে কবরে শোয়ালে প্রকৃত চোরের মুখ দিয়ে রক্তবমি হবে এবং নাক দিয়ে রক্ত ঝরবে। এ পদ্ধতিতেই চোর ধরার পাশাপাশি চুরি হওয়া টাকাও উদ্ধার করা যাবে।

কথিত কবিরাজ সালাউদ্দিনের এমন কথায় চুরি হওয়া ৮৫ হাজার টাকা ও চোরকে ধরতে নিজ বাড়ির উঠানে কবর খোঁড়েন কাতার প্রবাসী আমিনুল ইসলাম। বাজার থেকে নিজেই কাফনের কাপড় কিনে এনে স্থানীয় সোহাগ হোসেন ও সাব্বির হোসেনকে পরিয়ে কবরে শোয়ান। কিন্তু তারা কেউ রক্তবমি করেনি। তাই চোরও ধরা পড়েনি ।
এমন ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীদের কোন
একজন গোপনে নিজের মোবাইলে ওই ঘটনার ৫৭ সেকেন্ড ও ১১ সেকেন্ডের দুটি ভিডিও করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দিলে তা ভাইরাল হয়ে যায়।

ভিডিও দুটিতে দেখা গেছে, কবরে নামার পর কাফনের কাপড় দিয়ে সোহাগের মুখ ঢেকে দেন প্রবাসী আমিনুল ইসলাম। কিন্তু রক্তবমি না হওয়ায় সোহাগ কিছুক্ষণ পর নিজেই কবর থেকে উঠে আসেন।
ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী সোহাগের বাড়িতে সালিশ বৈঠক বসে। কিন্তু অভিযুক্ত আমিনুল ইসলাম সময় চাওয়ায় বৈঠক স্থগিত করা হয়। পরে প্রবাসী আমিনুল ইসলাম, তার স্ত্রী ফেরদৌসী, স্থানীয় আব্দুল ওহাব ও সালাউদ্দিন কবিরাজের বিরুদ্ধে লালমাইয়ের ইউএনও অজিত দেবের কাছে লিখিত আবেদন করেন ভুক্তভোগী সোহাগ। ইউএনও তাৎক্ষনিক বিষয়টি লালমাই থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে লালমাই থানার এসআই কামাল হোসেন বুধবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সত্যতা পান। ওই সময় থেকেই অভিযুক্ত প্রবাসী আমিনুল ইসলাম ও তার স্ত্রীসহ বাকিরা পলাতক।

লালমাই উপজেলার বাগমারা বাজারে ‘মুশকিল আশান’ চেম্বার দিয়ে লোক-ঠকানোর কার্যক্রম চালাচ্ছেন কথিত কবিরাজ মো. সালাউদ্দিন। মোবাইলে তিনি বলেন, আমি যে পদ্ধতিতে বলেছি- তারা সেই পদ্ধতিতে কাজ করেনি। এ কারণেই চোর ধরা পড়েনি।

লালমাইয়ের ইউএনও অজিত দেব বলেন, এটা ফৌজদারি অপরাধ। লালমাই থানা পুলিশকে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
প্রভাত সংবাদ/র আ

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন